ছুঁচোর কীর্ত্তন - অরবিন্দ সরকার
২৬/০৬/২০২১
ছুঁচোর কীর্ত্তন
(রম্যরচনা)
-- অরবিন্দ সরকার
বহরমপুর,মুর্শিদাবাদ
অশোভনের রত্নালঙ্কার আর ভালো লাগে না।সোনা দানায় রুচির পরিবর্তন। অঢেল বিষয় সম্পত্তি কাকে করবে দান এই নিয়েই লড়াইয়ে তার মতামত নিষ্প্রাণ। দ্বিতীয়ার চাঁদ শুভ! তাই দ্বিতীয়ার সঙ্গে মধুচন্দ্রিমায় সবকিছুই স্থাবর অস্থাবর সম্পদের বিনিয়োগ।নাকে সুড়সুড়ি দিলে হাঁচি পড়ে।বগলে সুড়সুড়ি কাতুকুতু লাগে। প্রেমের সুড়সুড়ি পরকিয়া জাগে।
ঘরের গচ্ছিত রত্ন সে তো কালো।কালোকে সাদায় রূপান্তরের নাম পরকিয়া। হিসাব বহির্ভূত বেহিসাবি লজ্জাশীলা মূলধন কালোরত্ন। বুড়ো কালে ভীমরতি! খোলামেলা মধুকরের মধুচক্র,অলির আনাগোনা দুকানকাটা নগরপথে কীর্ত্তন।
আতরের গন্ধে ইতর ছুঁচোর গন্ধ কি ঢাকা যাবে।
মল্লিকপাড়ার শ্রীকাঞ্চন চেহারায় ছুঁচোর মতন। বায়োস্কোপের নামডাকে কামিয়ে পয়সা, নামীদামী নেতা এখন। অতএব অরুচি বিবাহবন্ধন।ও সব সেকেলে নাপিত পুরুতের মিশ্রণ বিবাহ প্রথা।মার গুলি বৈদিক যুগের। নাচা গানা আয়া নেবেন খানসামা। ছুঁচোর কীর্ত্তন শুরু। জনসাধারণের এসব হ'লে কতো তার আচার বিচার টিকাটিপ্পনি,আইনে রাহাজানি,ঘরদোর জ্বালিয়ে বিদেশে রপ্তানি। কুঁজোর চাই চিৎ হয়ে শুতে!
ফুসরৎ রথে চেপে অন্যসম্প্রদায়ে করলেন বিয়ে,রানী এলেন ভোজ খেয়ে, এ নাকি বিয়েই নয়? দুজন দুজনের সঙ্গী- লিভ্ টোগেদার। বিবাহ বিচ্ছেদের দরকার নেই তাই পরকীয়া। মানুষ কাদের করেছেন জনপ্রতিনিধি, কে দিচ্ছেন এতে ইন্ধন। শুরু নাটকের দৃশ্য, নায়িকা দেখাচ্ছেন তার শরীরে বাসা বেঁধেছে সন্তান। লীলাখেলার কুশলীবেরা অস্বীকার পিতৃত্বের দাবীদার।কে বলে দেবেন জনক কে! চলছে তৃতীয় ব্যক্তির সন্ধান।মা ও জানেন না কার সন্তান।ক্ষমতার চরম শিখরে ছুঁচোর কীর্ত্তন শুরু। এদের মানসম্মানে লাগে না,এরা মানেন না লঘুগুরু!
গরীবের পেটের দায়ে বা একটু ভুলের মাশুলে শুনতে হয় ছিনার ,বেশ্যা-- আর এদের গলে মালা ঝোলে, নাই কোনো কেচ্ছা! গরীবের অমাবস্যা,পা পিছলে গেলেই গ্রহন।টাকার বেটা পাহাড়কাটাদের পূর্ণিমার জ্যোৎস্না! আঙুল তোলা বারণ!
২৬/০৬/২০২১
Comments
Post a Comment