মধ্যরাত - লক্ষ্মী বিশ্বাস
মধ্যরাত
লক্ষ্মী বিশ্বাস
অমাবস্যার রাতের কালো অন্ধকারের মতো কিছুটা অন্ধকার সজলের চোখেও নেমে এসেছিল।শান্তি প্রিয় চেহারাটাই যেন বদলে দিয়েছিল কিছু অপূর্ণ ভাবনা।সকলের সমস্ত চাহিদা মিটিয়ে অবশেষে তার ঘুমোনোর সময়। তবে ঘুম ও আসছে না।সকালে আবার লড়াই।প্রতিদিনের বেঁচে থাকার লড়াই। নিজেকে সুখী প্রমাণিত করার লড়াই। বালিশের নীচ থেকে একটা বিড়ি টানতে লাগলো সে। বিড়ির ধোঁয়াটা সাত বছর আগের স্মৃতি কে মনে করিয়ে দেয়। সেদিন উপায় ছিল না, রিনিকে বলেছিলাম কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে। সে বলেছিল, "আমার শিরদাড়া নাকি কখনোই সোজা হবে না"। ব্যাস সব শেষ। আজ আমি হাসছি, না জানি এই হাসির আড়ালে এক সময় কতো দুঃখই না লুকিয়ে রেখেছিলাম। না জানি কতো ছেলে মেয়ে আমার মতো বিড়ি, আর নিকোটিনের নেশায় প্রতিনিয়ত মরছে। তবে আমি কি বেঁচে আছি? বেঁচে আছি কথাটি বলতেই এক বুক দীর্ঘ নিঃশ্বাস পরছিলো মাটিতে। আজ আমার শিরদাঁড়া সোজা হয়েছে। বাবা-মায়ের একমাত্র অবলম্বন হতে পেরেছি। সেই প্রতিদিন একটা শার্ট পরেই তোমার সাথে দেখা করতে যেতে হতো। আজ হাজারটা শার্ট হয়েছে, কিন্তু দেখা করবো কার সাথে, সেই তুমি টাই তো আর আমার নেই! দরজার কপাট খুলে বাইরে বেরিয়ে দেখি হাজারো তারা ঘিরে ফেলেছে এক চাঁদকে। আমার হাজারো বিলাসিতার মাঝে সেই তুমিময় অভাবটাই যেন মিটছে না। সেদিন শিরদাঁড়া সোজা ছিল না, কিন্তু মনে অনেক তৃপ্তি ছিলো। আজ মধ্যরাতের চাঁদকে সাক্ষী রেখে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছে_"আমি কি ভালো আছি? "
Comments
Post a Comment