আলোর দিশা সাহিত্য পত্রিকার ওয়েব ম্যাগাজিন সংখ্যা - ২
আলোর দিশা সাহিত্য পত্রিকার ওয়েব ম্যাগাজিন সংখ্যা - ২
প্রকাশ তারিখ - ২৫ জুলাই ২০২১
সম্পাদনায় : সোমা বিশ্বাস
উপদেষ্টা : সোমনাথ নাগ
সহযোগিতায় : সৌভিক দেবনাথ, বাপি শেখ, সন্তু প্রামাণিক , সুদেষ্ণা দাস, রাজু দত্ত
আলোর দিশা সাহিত্য পত্রিকার ওয়েব ম্যাগাজিন সংখ্যা প্রকাশিত হলো। সকল কবি ও সাহিত্যিক ও পাঠক-পাঠিকা বন্ধুকে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
- সোমা বিশ্বাস
প্রচ্ছদ - সৌভিক দেবনাথ
লেখা পাঠানোর ঠিকানা - aalordishasahityapotrika@gmail.com
ওয়েবসাইট - aalordishasahityapotrika.blogspot.com
লেখকসূচী -
রূপালী গোস্বামী, সমরেশ হালদার, অরবিন্দ সরকার, রেজাউল করিম করিম, মনীষা ঘোষ, শর্বরী পাল, দেবারতি গুহ সামন্ত, সন্তু প্রামাণিক, সত্য রঞ্জন বণিক, সৌভিক দেবনাথ, সাগর হালদার, রুশো আরভি নয়ন
কবিতা গুচ্ছ :-
শিরোনাম - উল্টো রথ
কলমে - রূপালী গোস্বামী
মাসির বাড়ি থেকে চলল প্রভু
চড়ে আপন রথে,
বোন সুভ্রতা, দাদা বলরাম
চলছে সাথে সাথে।
রথের রশি নিয়ে হাতে
ভক্তরা দিচ্ছে জয়ধ্বনি,
হাসি মুখে দেখে প্রভু
মেলি আপন নয়ন খানি।
শিরোনাম - শেয়ালের বিয়ে
কলমে - সমরেশ হালদার
শেয়াল যাবে বিয়ে করতে
টোপর মাথায় দিয়ে
কাঠবিড়ালি লাফাচ্ছে খুব
নাচছে তা ধিন শুয়ে,
হাতি বাজায় বড় কাঁসর
ঝুম্ ঝুমঝুম ঝুম্
তাই না দেখে বিড়াল ভায়া
নাচছে তা ধুম ধুম্,
চড়ুই পাখির কিচিরমিচির
দোয়েল বাজায় বাঁশি
কোকিল যে আজ মধ্যমনি
গালভরা তার হাসি,
টুনটুনি টি মাঝে মাঝেই
হাতির পিঠে বসে
বরষা বেলার গান ধরেছে
ব্যাঘ্র মামার রোষে,
সবার সামনে হাতির দল
মাঝখানে পশু পাখি
সবার শেষে ব্যাঘ্র মামা
সজাগ যে তার আঁখি,
শেয়াল ভায়া হাতির পিঠে
ধূতির কোছা নিয়ে
হেলে দুলে চলল সবাই
পথে লাইন দিয়ে।।
শিরোনাম - দু-কান কাটা
কলমে - অরবিন্দ সরকার
বহরমপুর,মুর্শিদাবাদ।
মানুষের ভোটে নেতা গনতন্ত্র জয়,
দলবদল নেতার অন্য ফুলে মধু,
লড়াই ক'রে মরদ চুপিসারে বধূ ,
হারাধনে ঘরকন্না নেই লজ্জা ভয়।
কাপুরুষ তাঁরা জানে, ভূলুণ্ঠিত রায়,
পদত্যাগ না করেই তরী অন্যঘাটে,
রায়ের মাথায় লাথি,সূয্যি গেল পাটে,
ভোটের খরচা বোঝা স্বপ্ন শুন্যতায়।
দলবদল প্রহসনে ভোট দিয়ে বোকা,
আসমুদ্র হিমাচলে কত নষ্ট অর্থ,
মানুষের কাঁধে শুল্ক উন্নয়ন ব্যর্থ,
প্রতিশ্রুতির বন্যায় সবেতেই ধোঁকা।
পরীক্ষা না দিয়ে পাশ, তেমনি মেম্বার
নমিনেশন ফাইলে অস্ত্র হাতিয়ার।
শিরোনাম - ঈদ আমাকে আন্দোলিত করে না
কলমে - রেজাউল করিম করিম
ঈদ আমাকে আন্দোলিত করে না।
পাশের বস্তিতে ছয় বছরের শিশু
একমুঠো ভাতের জন্য অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে।
আর কেউ পোলাও-কোরমা খেতে না পেরে
ফেলে দেয় নর্দমায় অথবা ময়লা স্তুপে।
ঈদ আমাকে আন্দোলিত করে না।
যখন বিত্তবান মানুষেরা কোরবানি ঈদে
কে কতো দামি নিরীহ পশু কোরবানি
দিতে পারে,-
সেই প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত।
ঠিক তখন কনকনে শীতের রাতে
একটা কম্বল অথবা একটা গরম
কাপড়ের জন্য,-
দাঁতের উপর দাঁত রেখে
খট্-খট্ শব্দে নির্ঘুম রাত কাটায়
মানুষগুলো।
জানিনা বিধাতা কোন পরীক্ষা নেয়
এই অনাথ,নিষ্পাপ,মা-হারা,বাবা হারা
শিশুদের ও হতোদরিদ্র মানুষের।
শিরোনাম - চিঠি
কলমে - মনীষা ঘোষ
ছোট্ট মেয়ে রচি,
এই মাস দুয়েক আগে পৃথিবীতে এলো মেঘের ডানায়
লিখলো চিঠি মস্ত একটা
বাবা তুমি ভাবছো ভালোই আছি,
কই তুমি তো দাওনি হামি।
তাইতো আমার অভিমানী এই চিঠিটা,
অজুহাতের পাহাড় বুনে
থাকো তুমি আমার থেকে অনেক দূরে।
আমার দোষ কি বলো,
আমি পারি না যে হাঁটতে,
তাই তো তোমায় রোজি বলি আসতে।
তোমায় ছেড়ে সত্যিই কি থাকা যায়,
তুমি বলো , তুমি কেমন করে থাকো।
আমার যে ভীষণ কষ্ট হয়,
কথা বলতে শিখিনি যে এখনও
তাই তো বলতে পারি না তোমায়।
'বাবা' তুমি চলে এসো না আমার মামার বাড়ি,
আমরা তিন জন এখানেই থাকবো ।
এখন শুধুই তোমার অপেক্ষায়,
রইলো রচি।
শিরোনাম - মাতৃভাষার বিভীষিকা
কলমে - শর্বরী পাল
আজ এক অচেনা সময়ে বাঁধা মাতৃভাষার কবচ,
যে অক্ষরের জীবদ্দশার জন্য এত হানাহানি,
সেই অরণ্যচারী ইতিবৃত্তের সারকথা আজ কেমন যেন লুণ্ঠিত৷
যে সফলতার কেতন উড়াতে বাঙালির সাহসের যবনিকার পতন ঘটল দিনরাত,
নিজ ললাটের রক্তে লাল হলো অধিকারের কণ্ঠস্বর,
সেই গর্জে ওঠা বিপ্লব আজ কেমন যেন ম্লান!
এই বিশ্বায়নের যুগেও ফুটপাতে বসে থাকে অর্ধনগ্ন অনাহারী জীব৷
উন্নয়নের বড়াইয়ে হেরে যায় সহস্র নিপীড়িত হাড়৷
বাউল গানের পাগল সুর আজ ঠিক যেন ভবিতব্য৷
বিদ্রোহের সংজ্ঞাগুলোতেও ছেয়ে থাকে হিংস্রাত্মক কামনার উন্মাদনা৷
আমরা আকাশ ছুঁতে চাই ---
তাই রঙিন খামে যত্নে তুলে রাখি সম্মান,
আর সুখের চাদরে মুড়ে দিতে চাই, চড়া দামের অপমান৷
আজ হঠাৎ করে হারিয়ে যায় শৈশব,
বার্ধক্যের প্রলোভনে পালিয়ে যায় যৌবন৷
খাপছাড়া পাহাড়ের পাদদেশে তলিয়ে যায় স্বরবৃত্ত,
খরস্রোতা নদীটা সমতলে এলেই দ্বন্দ্ব বাঁধায় মাত্রাবৃত্ত ও অক্ষরবৃত্তের মাঝে৷
অপেক্ষা শুধু উঠে দাঁড়াবার৷
কবিতার আশার দোলা উষ্ণ৷
নেই কোন অন্ধের যষ্টি,
নেই চেনা পথ,
না আছে অন্য কোন আকাশ!
আজও যখন রবির কিরণে পৃথিবীর সূর্যোদয় হয়,
তখনও হয়তো শহীদ স্মরে হাহাকারের মহাষৌধি৷
হয়তো বিষণ্ন দুপুরের একরাশ কান্না কাটিয়ে বোকা স্বপ্ন দেখে বেঁচে থাকার৷
হাজারো মাইলফলক হেঁটে পেরোবার লোভে আকৃষ্ট হয় জীবন-যাপন৷
কলমে - দেবারতি গুহ সামন্ত
এ্যালার্ম ঘড়িটা বেজেই চলেছে,"ট্রিং ট্রিং ট্রিং,"
একঘেয়ে আওয়াজে বিরক্ত রণি,ঘুমটা পুরো চটকে গেল।
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে সবে ছটা,
তাহলে তো আর একটু ঘুমানোই যায়।
ঠিক আটটা নাগাদ গরম ধোঁয়া ওঠা বেডটি নিয়ে হাজির হবে শ্রেয়া,
সদ্য স্নান করে আসা ভিজে চুলগুলো আলতো করে ছোঁয়াবে রনির গালে।
এটাই ওর ঘুম ভাঙানোর প্রসেস,
এসব ভাবতে ভাবতেই রণির দুচোখের পাতা ভারী হয়ে আসে।
হঠাৎ ও দেখে চারিদিকে বরফের পাহাড়,সূর্যের লুকোচুরি,
মাথার ওপর ঝকঝকে নীল আকাশ,নীচে সবুজ ঘাসের গালিচা।
রণি আর ওর সদ্য বিবাহিত স্ত্রী,শ্রেয়া,
কি দারুণ লাগছে শ্রেয়াকে,জিন্স টপ আর লাল সাদা চূড়ায়।
ফাটাফাটি কম্বিনেশন,ঠিক ওদের জুটির মতো,এক্কেবারে হট,
জায়গাতা শিমলা,হানিমুনে এসেছে ওরা,ওই তো শ্রেয়ার পেছনে ওও দৌঁড়াচ্ছে।
না না,আনন্দ খুনসুটিতে নয়,ওদের তাড়া করেছে কিছু হিংস্র পশু রূপী মানুষের দল।
উদ্দেশ্য,লুঠতরাজ ও শ্রেয়ার নরম মাংসকে উপভোগ করা,
এটা রণি হতে দিতে পারে না কিছুতেই,ওর প্রাণ দিয়ে ও রক্ষা করবে ওর প্রিয়তমাকে।
হঠাৎ চারদিক থেকে ঘিরে ধরল ওরা,সংখ্যায় পাঁচজন,
মুখে চোখে আদিম লালসা,আচমকা রণির মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করল কেউ,
দুচোখ বুজে আসছে রণির,মাথার পেছন দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে টাটকা তাজা লাল রক্ত।
একি,ওরা যে শ্রেয়াকে ধরে ফেলেছে,ওর শত চিৎকারেও থামছে না,
একটা একটা করে ওর গায়ের কাপড় খুলে ফেলছে।
আর পারছে না রণি চোখ খুলে রাখতে,অন্ধকারের চাদর নেমে আসছে ওর চোখে,
তবুও শেষ বারের মতো ও দেখে নিতে চাইছে ওর শ্রী কে।
উফ,গেল তো আবার এ্যালার্মের আওয়াজে ঘুমটা ভেঙে,
ইচ্ছে করছে এল্যার্মটাকে আছড়ে ফেলে ভেঙে দিতে।
কিন্তু তা আর পারছে কই রণি,ও তো এখন দেওয়ালে টাঙানো,ফুলমালায় সাজানো ছবি,
এটা তো একটা হাসপাতাল,যেখানে মানসিক রুগী দের চিকিৎসা হয়।
ওই তো বেডে শুয়ে আছে ওর শ্রী,চোখের ফ্যালফ্যালে দৃষ্টি দেওয়ালে স্থির,
এ্যালার্মের শব্দে ঘুম ভেঙে গেছে,একটু পরে ডাক্তারবাবু এসে ওষুধ দেবে ওকে।
চোখের কোনা দিয়ে নোনতা জল গড়িয়ে ভিজিয়ে দিচ্ছে শ্রেয়ার ভাঙা গালদুটো,
চাইলেও মোছাতে পারবে না রণি,ও যে এখন শুধুই নীরব দর্শক।
শিরোনাম - মিথ্যে জানা দরকার
কলমে - সন্তু প্রামাণিক
এ হৃদয় জুড়ে বিষাক্ত বিষের আস্ফালন-
বৈরাগ্যেও মুক্তি নেই।
যুক্তিহীন মিথ্যা আর-
স্বার্থপরতার করাল গ্রাসে,
ভেঙে ফেলি মানবতার প্রাচীর।
আস্তিন গুটিয়ে মুষ্টিবদ্ধ হাত,
আবার একটা মিথ্যে লড়াইয়ে আহ্বান।
কুহকিনী হয়ে ডাকো আমায়,
অপ্রয়োজন ছেড়ে প্রয়োজনের তাগিদে।
বিশ্বাস রাতের সব-
মিলিয়েছে ভোরের আলোতে।
তিমির রাতের বেলা দেখেছি এক-
বিভৎস রূপের রহস্য।
না আজ আর পিছু নয়,
লড়াই এপার-ওপার-
সত্যিরা যদি হেরে যাক তবু,
মিথ্যে জানাটাই দরকার
কলমে - সত্য রঞ্জন বণিক
যদি অভিমানে কবির কলম থামে,
কবি নিজের প্রতি ভালোবাসা অপ্রেমে।
কবিতাও কাঁদে অক্ষরহীন ভাষায়,
কবিতা প্রেমিক মন ভোগে দুরাশায়।
কবিমন সৃষ্টিতে নিমগ্ন হৃদয় জুড়ে,
ভাবনায় আকাশ ছুঁয়ে দিগন্তে ওড়ে।
কলমে আঁকে ছবি শব্দাক্ষর বিন্যাসে,
সৃষ্টির আল্পনা সাদাকালো ক্যানভাসে।
ফল্গুধারার অস্থিত্বে মৃত্যুহীন প্রাণ,
বঞ্চিত পাঠকের মহতী অসন্মান।
অলিখিত ভাবনা বেদনায় অস্থির,
কলমের ঠোঁটে স্তব্ধতা মূক বধির।
কবি তুমি অনন্যা, বিরল প্রতিভায়
সমুজ্জ্বল কিরণে আলোকিত শোভায়।
শিরোনাম - দহন
কলমে - সৌভিক দেবনাথ
লাল নীল এই শহর পরিত্যক্ত হয়েছে আজ,
পচন ধরা তাঁর কংক্রিটের ভীড়ে পড়ে আছে বেনামী স্বপ্নেরা৷
চারিদিকে শুধু নেশার আর্তনাদ,
শুধু নিকোটিনের ধোঁয়া আর জীবন্ত লাশের গন্ধ।
সেই শহরের কোন এক রংচটা জানালার পাশে আমি একা দাড়িয়ে আছি,
তার নিস্তব্ধ আকাশটা আমায় বলে যাচ্ছে_
সত্যিই কি তুমি এতোটাই নিষ্ঠুর?
বুকের যে বাম পাশ টায় মাথা রেখে তুমি আবেগে হারিয়ে যেতে,
সেখানে আজ গোল্ড ফ্লেকের ধোঁয়ার রাজত্ব।
নির্ঘুম রাতের নিকোটিনের টান মনে করিয়ে দিচ্ছে-
তোমার শেষ বলে যাওয়া কথাগুলো।
দূর থেকে ভেসে আসছে বিরহের কবিতার সুর,
গাছের ডালে ডানা ঝাঁপটাতে ঝাঁপটাতে ক্লান্ত হয়েছে কোন ভীনদেশী পাখি,
রঙহীন এই রঙিন শহরে স্বপ্নগুলো মিশে গেছে বিসাক্ত নিকোটিনের ধোঁয়ায়,
আর আমি নিজের অস্তিত্ব খুঁজে চলেছি সেই অস্পষ্ট ধোঁয়াতে।
কোন একাকী ল্যাম্পপোস্টের মাথায় জ্বলতে জ্বলতে নিস্তেজ হয়েছে নিঃসঙ্গ সোডিয়ামের আলো।
জ্বলন্ত সিগারেটের নিঃশ্বাসে বিষাক্ত ধোঁয়া
জীবনের দামে কিনেছি নিকোটিনের রাসায়নিক বিক্রিয়া,
জ্বলছে নিকোটিন,পুড়ছে জীবন,পুড়ছে স্বপ্ন,পুড়ছি আমি,
জানি না কতদিনে ছাই হবো!
জানিনা এ রাতের শেষ কোথায়-
জানালার কোণে বসে সেই ভীনদেশী পাখিটা আবার কবে ডানা ঝাপটাবে,
তোমার ফেলে যাওয়া স্মৃতিরা কবে এই রঙচটা জানালার পাশে ইতি টানবে?
সেইদিন স্মৃতির দহন হবে ডলফিন ম্যাচ এর প্রত্যেকটি কাঠিতে,
সেইদিন অনুভূতির মরন হবে
পায়ে পিষে যাওয়া গোল্ড ফ্লেকের ফিল্টারে,
সেইদিন এই শহরে আমি আমার একাকীত্বের মৃত্যুবীজ বুনে যাবো।
শিরোনাম - মনের দস্যিপোনা
কলমে - সাগর হালদার
মনের মধ্যে উতল হাওয়া
কার্ফু জারি বাইরে
সহসা বৃষ্টি চোখের কোণে
মন মানতে নাহি চায়রে।
জানালা দিয়ে সুদূর দেখি
ওল্টাই স্মৃতির খাতা
গৃহকোণে মন বসেনা
উড়ন্ত বইয়ের পাতা।
বাস্তবটা এমন কেনো
দুপুর কাটছে ডালে-ভাতে
উড়ন্ত মন বিদেশ বিভুঁই
পক্ষীরাজের সাথে।
ঘরে বসেই সিলিং দেখি
পেরিয়ে গেলো বর্ষ
স্বপ্নে শুধু দু-হাত বাড়াই
আকাশ করতে স্পর্শ।
শিরোনাম - অন্ধকার
কলমে - চিন্ময়ী সেনশর্মা
একটা অন্ধকার তাড়া করছে পিছন পিছন
দম বন্ধ হয়ে ছুটছি ক্রমাগত .....
আতঙ্কে দপ দপ করছে বুক থেকে নখ l
গা গোলানো রাজনীতির পাঁক ;
জোনাক বাতি ম্রিয়মান !
ন্যায় দণ্ড হাতে যার ۔۔۔۔
সে তো কালো কাপড়ে বেঁধেছে চোখ
দন্ডায়মান ঠায় ! সমাজের উপহাস l
চোখ খোলার সময় এবার এসেছে !
ত্রিনয়ন দিয়ে বেরিয়ে আসুক রক্ত রোষ ;
নতুন ভোর হোক পুবে ....
পশ্চিমে যাক অন্যায় রোদ ll
শিরোনাম - নিকষকৃষ্ণ ফ্রেম
কলমে - রুশো আরভি নয়ন
অনর্গল কথা বলে যাওয়া ছেলেটাও একদিন নিশ্চুপ হয়ে যাবে,অবহেলার চোরাবালি মুখে গুজে।
লাল গোলাপেও শতাব্দী পেরিয়ে শুভাস সমাপনী হবে, কীটনাশকের শিশির ছোঁয়ার পরশে।
আকাশের একফালি চাঁদ ধূসর বর্ণ ধারণ করবে, নামমাত্র প্রেমিকার অপবিত্রতার আবেশে।
রঙের আঁচড়ে শূন্য ক্যানভাসে আর্টিস্টের কল্পিত চরিত্রের ঘটবে বীভত্স অপমৃত্যু।
ধীরে ধীরে রঙিন দুনিয়াটা বাঁধতে থাকবে বিদঘুটে নামক নিকষকৃষ্ণ ফ্রেমে।
হারিয়ে যাবে মান-অভিমান,থাকবেনা কোন আবেগ অনুভূতির পালাবদল কিংবা বিবেকের কাঁটাতার।
পূজো পেরিয়ে ঈদ আসবে চলে যাবে দিনের পর দিন বছরের পর বছর অথবা সময়ের অভিযান।
কাম্য-মরণ হবে সেদিন প্রেমিকের স্লোগান,প্রেমিকের স্লোগান।
সন্তান ও পিতৃর অনাবিল স্নেহে মুখরিত অসাধারণ সুন্দর একটা কবিতা ।(মনীষা ঘোষ) ভীষণ ভালো লাগল রে বন্ধু ।❤❤😍😍
ReplyDeleteখুব সুন্দর কাজ। মুগ্ধ ও আপ্লুত।
ReplyDeleteDarun ! Asadharon!! sob writer er jonno janai onk onk suvechha,,,, alada vabe boli "chithi" kobita ti Mone daag kete gelo
ReplyDelete