অতুলনীয় বিধান - দেবারতি গুহ সামন্ত
অতুলনীয় বিধান
দেবারতি গুহ সামন্ত
আজ পয়লা জুলাই,আন্তর্জাতিক ডাক্তার দিবস করা হয় পালন,
এই বিশেষ দিনটিতে ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়কে সকলে মনে মনে করে স্মরণ।
উল্লেখযোগ্য,আঠারোশো বিরাশী সালের এই বিশেষ দিনটিতে উনি করে জন্মগ্রহণ,
আবার এই একই দিনে উনিশশো বাষট্টি সালে আশি বছর বয়সে করেছিলেন মৃত্যুবরণ।
ডাক্তারি ছাড়াও ছিলেন তিনি সমাজ সেবার সাথে যুক্ত,
স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগদান করে ভারতবর্ষ কে করতে চেয়েছিলেন ইংরেজ শাসনমুক্ত।
উনিশশো আটচল্লিশে পশ্চিম বাংলার প্রধান মন্ত্রী পদে তিনি হন নিযুক্ত,
এফ আর সি এস ও এম আর সি পি ডিগ্রীধারী ছিলেন তিনি,ভারতরত্ন সম্মানে হয়েছিলেন ভূষিত।
প্রচন্ড ভালোবাসতেন তখনকার দিনের বিখ্যাত ডাক্তার নীল রতন সরকারের মেয়ে কল্যানীকে,
কিন্তু পূর্ণতা পায়নি ওনার প্রেম,অযোগ্য পাত্রের তকমায় ছাড়তে হয়েছিল ওনার ভালোবাসাকে।
প্রেমিককে না পেয়ে কল্যানী দেবী কেড়েছিলেন নিজের প্রাণ,
পরে ওনার স্মৃতিতে ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায় কল্যানী শহর করেছিলেন প্রতিস্থাপন।
এছাড়াও দুর্গাপুর,বিধাননগর,অশোকনগর,হাবড়ার মত শহরের প্রতিষ্ঠাতা তিনি,
ইতিহাসে গড়েছিলেন নজির,পশ্চিম বাংলার বাইরেও ছড়িয়েছিলেন ওনার প্রবল ব্যক্তিত্বের প্রতিধ্বনি।
যাদবপুর টিবি হাসপাতাল,কমলা নেহরু হাসপাতাল,ভিক্টোরিয়া প্রতিষ্ঠানের মত বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানে ছিল ওনার প্রাণঢালা অবদান,
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল আ্যসোশিয়েসনএর জন্মদাতা তিনি,পাশাপাশি বানিয়েছিলেন চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হাসপাতাল ও চিত্তরঞ্জন সেবা সদন।
মানুষের সেবা করাই ছিল ওনার প্রধান কর্ম ও ধর্ম,সে কাজে কখনও করেননি একটুও অবহেলা,
প্রেমিকা কল্যানীকে ভুলতে না পেরে আজীবন ছিলেন চিরকুমার,কল্যানীর স্মৃতিতেই ভাসিয়েছিলেন জীবনের ভেলা।
সবার উর্ধে ছিলেন উনি,নিজের বাড়ি পর্যন্ত করে গিয়েছিলেন জনগনকে দান,
ওনার অবদান অনস্বীকার্য,আজকের এই বিশেষ দিনটিতে জানাই ওনাকে শতকোটি প্রণাম।
Comments
Post a Comment