Posts

Showing posts from July, 2021

উপসর্গ (ছোটগল্প) -- অরবিন্দ সরকার

২৮/০৭/২০২১                     উপসর্গ                  (ছোটগল্প)           -- অরবিন্দ সরকার                                                                       বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ। গ্রামের নাম জোতকমল। জোতদারদের বাস এখানে, চারিদিকে ফসলের জমির মাঝে এই গ্রাম।একটি পাড়া আছে শেষপ্রান্তে মজুরশ্রেণীর বাস সেখানে।জোতদারেরা ওইসব বাড়িতে ওঠাবসা করে একবিঘা,দুইবিঘার ফসলের বিনিময়ে। ওদের তালের তাড়ি,পচাই মদের ভাগীদার এরা। এক জোতদার হৃষিকেশ সামন্ত তার ভাগীদারের বাড়ীর সব দায়িত্ব নিয়েছেন। ভাগীদার মোটাসোটা বুদ্ধি- তেঁতুল কোনাই। তেঁতুলের বিয়ের ক'নে দেখা ও বিয়ে দেওয়া তিনি সম্পন্ন করেছেন।মেয়ের বাবা ,মা ও মেয়ের কারোরই মত ছিলো না। মোড়ল মেয়ের বাপ মাকে টাকা দিয়ে রাজী করিয়েছেন।আর মেয়েকে সোনার গয়না, শা...

ফ্রুট পার্টি - দেবারতি গুহ সামন্ত

শিরোনাম - ফ্রুট পার্টি কলমে - দেবারতি গুহ সামন্ত কাটা ফলগুলো কখন থেকে অবহেলায় পড়ে আছে প্লেটে, অবাধ‍্য মাছিরা সব করছে ভনভন, ওদের জ্বালায় কানেকশন প্রব্লেম ইন্টারনেটে। না না চিকেন ইন্টারনেট নয়, গুগুল সার্চ করার ইন্টারনেট। মাছিদের এ‍্যন্টেনায় পড়ছে না ধরা, ওয়াই ফাইটা কিছুতেই হচ্ছে না সেট। সবাই মিলে ইউজ করলে যা হয়, কানেকশন প্রব্লেমে নেট হয়েছে জ‍্যাম। ফুড সার্চিং প্রসেস করছে না কাজ, তাই কাটা ফলগুলোর করুণ পরিনাম। আরও কিছুক্ষণ থাকলে পড়ে, শুরু হবে ফলের শরীরে পচন ধরা। তাড়াহুড়ো নয়,নেটে জ‍্যাম কাটাতে হলে, হটস্পট করতে হবে ভাড়া। হটস্পটের দৌলতে এবারে এসেছে হাই ইন্টারনেট স্পিড, সিস্টেম এখন মোটামুটি ক্লিয়ার। মাছিদের এ‍্যান্টেনা গুলো করছে ভালোই কাজ, সবাই মিলে এনজয় করছে কাটা ফল পার্টি,সঙ্গে দামী বিয়ার।

প্রথম দেখা - অরবিন্দ সরকার

২৭/০৭/২০২১           " প্রথম দেখা "     -- অরবিন্দ সরকার    বহরমপুর,মুর্শিদাবাদ। যেদিন তোমায় সুপ্রথম দেখা, সন্ধ্যায়, সন্ধ্যাতারার   ফাঁকে, অস্পষ্ট আবছায়ে, তুমি একা চুল গুলো অমাবস্যায় ঢাকে। গাইছিলে গান, জড়তা মাখা, শ্রোতা আমি , চেয়ে নত মুখে, মনের সীমান্তে,এ স্পর্শ রেখা, গণ্ডি  মাপামাপি এঁকে বেঁকে। বাতাসের গুঞ্জন,ন্যাকাবোকা শিহরণ জাগে, আল্পনা  এঁকে, বন্ধ নয়নে, অন্ধ  ভ্যাবাচ্যাকা, অশান্ত হৃদয়ে, দুই হাত রেখে। জোনাক্ আলো,ঝিঁঝিঁ পোকা, তুলসীতলে প্রদীপশিখা জেগে নিভু নিভু প্রাণ, চমকিত দেখা, ওষ্ঠাধরে পরাগরেণু  সোহাগে।

পিতৃমাতৃদিবস ( রম্যরচনা) - অরবিন্দ সরকার

২৫/০৭/২০২১               " পিতৃমাতৃদিবস "                  ( রম্যরচনা)           -- অরবিন্দ সরকার           বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ। পঞ্চায়েত ভবনের মাঠ ।চকদিয়ারা জনকল্যান সেবা সমিতি আজকে পিতৃমাতৃদিবসে  বাপ- মায়ের একদিন ক'রে ছাড়বে! শ্রাদ্ধ ফুল চন্দন দিয়ে সভা। বিড়বিড় করে চলেছেন মান্নান হোসেন। এমন সময় ওর বাবা মানোয়ার হাজির - বেটা কি বলছিস বিড়বিড় করে তখন থেকেই। মান্নান হতচকিত হয়ে শুরু করলেন বাপ্ তুমি আমাকে পৃথিবীতে এনেছো । তোমার দায়িত্ব আমাকে লালন পালন করার। আমি জন্মানোর পরপরই তুমি মাকে তালাক্ দিয়েছো।তারপর ক্রমান্বয়ে চার পাঁচটি লিক্যা করেছো । সৎমায়ের হাতে আমি বড়ো হয়েছি।সে কি রকম স্নেহ ভালবাসা দিয়েছেন , তুমি খোঁজ নাওনি। তুমি সংসারের সংখ্যা বৃদ্ধি করেই চলেছো। সংসার চালাবার ক্ষমতা নাই তো বিয়ে করছো কেন? আর আজ সংসারের জনসংখ্যা চোদ্দো জন।তাও তো মাকে তালাক না দিলে পনের হতাম।মা ও যেন কেমন! সে আবার বিয়ে করে সংসার পেতেছে। আমাকে ভুলে গেছে।  আজ পি...

উত্তমাধম - অরবিন্দ সরকার

                উত্তমাধম               - অরবিন্দ সরকার            বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ।               ২৬/০৭/২০২১                    "উত্তমাধম"               - অরবিন্দ সরকার            বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ। নেমকহারাম,ইতর            নর বেইমান , পশুপক্ষী সততার          বুদ্ধি পরিচয়ে, জানোয়ার সংজ্ঞা আঁটা,মানুষের গায়ে, প্রভূ ভক্ত এরা সব          বাঁচায় পরাণ। পড়েছিলাম পুস্তকে     বেজির কাহিনী, বিড়ালের গপ্পো সব         একই রকম,  সাপের প্রবেশ মুখে      আটকে সক্ষম, উল্টিয়ে প্রহার দেয়      ঘাতক বাহিনী। নিশ্চিন্তে ঘুমায় প্রভূ    সারমেয় জাগে, অতন্দ্র প্রহরী সম    ...

প্রস্তর প্রেমিক - দীপ ঘোষ

প্রস্তর প্রেমিক         দীপ ঘোষ স্বপ্নগুলো অবাক করে      প্রতি রাতের জোছনায়, তাকে ছুঁতে বড় ইচ্ছে করে      ভালবাসার সেই লহমায় ।  জানতে তাকে দিইনি কভু      ভালবাসি তাকে কতটা, সিক্ত ঠোঁটের নেশায় আমি      সে আজও আমার কাছে অধরা ।  ধোঁয়া আমি ছাড়ছি রোজ      নিচ্ছি তামাক নিরন্তর,  হাসি আজও নিজের উপর       আমিতো সেই 'প্রেমিক প্রস্তর'

আলোর দিশা সাহিত্য পত্রিকার ওয়েব ম্যাগাজিন সংখ্যা - ২

Image
আলোর দিশা সাহিত্য পত্রিকার ওয়েব ম্যাগাজিন সংখ্যা -  ২ প্রকাশ তারিখ -  ২৫ জুলাই ২০২১ সম্পাদনায় :  সোমা বিশ্বাস  উপদেষ্টা :  সোমনাথ নাগ সহযোগিতায় :  সৌভিক দেবনাথ, বাপি শেখ, সন্তু প্রামাণিক , সুদেষ্ণা দাস, রাজু দত্ত সম্পাদকীয় : আলোর দিশা সাহিত্য পত্রিকার ওয়েব ম্যাগাজিন সংখ্যা প্রকাশিত হলো। সকল কবি ও সাহিত্যিক ও পাঠক-পাঠিকা বন্ধুকে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানাই।                             - সোমা বিশ্বাস  প্রচ্ছদ - সৌভিক দেবনাথ  লেখা পাঠানোর ঠিকানা -  aalordishasahityapotrika@gmail.com  ওয়েবসাইট -  aalordishasahityapotrika.blogspot.com লেখকসূচী -  রূপালী গোস্বামী, সমরেশ হালদার, অরবিন্দ সরকার, রেজাউল করিম করিম, মনীষা ঘোষ, শর্বরী পাল, দেবারতি গুহ সামন্ত, সন্তু প্রামাণিক, সত্য রঞ্জন বণিক, সৌভিক দেবনাথ, সাগর হালদার, রুশো আরভি নয়ন কবিতা গুচ্ছ :- শিরোনাম  - উল্টো রথ কলমে  - রূপালী গোস্বামী  মাসির বাড়ি থেকে চলল প্রভু চড়ে আপন রথে, বোন সু...

আলোর দিশা সাহিত্য পত্রিকার ওয়েব ম্যাগাজিন সংখ্যা - ১

Image
আলোর দিশা সাহিত্য পত্রিকার ওয়েব ম্যাগাজিন সংখ্যা - ১ অভিজিৎ রায় (পলতা, উত্তর চব্বিশ পরগনা)  প্রকাশ তারিখ - ১৯ জুলাই ২০২১ সম্পাদনায় : সোমা বিশ্বাস  উপদেষ্টা : সোমনাথ নাগ সহযোগিতায় :  সৌভিক দেবনাথ, বাপি শেখ, সন্তু প্রামাণিক , সুদেষ্ণা দাস, রাজু দত্ত  সম্পাদকীয় : আলোর দিশা সাহিত্য পত্রিকার ওয়েব ম্যাগাজিন সংখ্যা প্রকাশিত হলো। সকল কবি ও সাহিত্যিক ও পাঠক-পাঠিকা বন্ধুকে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানাই।                             - সোমা বিশ্বাস  লেখা পাঠানোর ঠিকানা - aalordishasahityapotrika@gmail.com  ওয়েবসাইট - aalordishasahityapotrika.blogspot.com  কবিতা :   শিরোনাম - বিয়ের সেই মন্ত্র কলমে - দেবারতি গুহ সামন্ত বিয়ের পবিত্র মন্ত্রোচ্চারণ আজও কানে বাজে, "যদিদং হৃদয়ং তব,তদস্তু হৃদয়ং মম" তে বয়ে যায় প্রেমের ফল্গুধারা। শুভদৃষ্টিতে থাকে চার চোখ মিলনের অবিস্মরণীয় মুহুর্ত, মালা বদলে একে অন‍্যের কাছে করত‍ে হয় মাথা নত। কন‍্যা সম্প্রদানে সবচেয়ে মুল‍্যবান সম্পদ,আদরের ধন,প্রাণ...

প্রিয় নেলসন - সৌভিক দেবনাথ

প্রিয় নেলসন         সৌভিক দেবনাথ  প্রিয় নেলসন, আমি তোমার আর কালোর প্রেমের কবিতা লিখব। লাল কিংবা নীল রং দিয়ে নয়, কালো রঙ দিয়ে লিখব।  যে রঙে রচিত হয়েছে সভ্যতার এক নতুন ইতিহাস। ঠিক কি কালো? নাকি আরো একটি রঙ মিশে আছে তাতে? ওই তো, সাদা আর কালো; যদিও সেতো শুধু ওপর-ওপর, ভেতরটা যেন সব রঙেরই লাল কনিকার। ওই তো সেদিন, তুমিই তো দেখেছিলে_ কালোর পায়ে বেড়ি, অবসন্ন দেহে টেনে চলা সাদার জয়রথ, আবার সেই রথের চাকাতেই পীষে যেতে কালোকে! তুমিই তো সেদিন খুঁজে পেয়েছিলে_ সাদা রঙের পৈশাচিক হাসিতে কালোর বুকের পাঁজর ভাঙ্গার আওয়াজ! হ্যাঁ সেই কালো,  যে কালো নিরাশার রঙ, যে কালো ব্যর্থতার রঙ। কিন্তু সেদিন, তুমিই তো শিখিয়েছিলে_ ব্যর্থতাই তো সফল হবার অনুপ্রেরণা দেয়, নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর! (নেলসন ম্যান্ডেলাকে তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে উৎসর্গকৃত।)

সাফল্য - ৬ - সোমা বিশ্বাস

Image
সাফল্য - ৬ সোমা বিশ্বাস সহজেই কি কারো সাফল্য কেড়ে নেওয়া যায়? ধরো, কেউ রাতের পর রাত জেগে বই পড়ছে। বছর খানেক তপস্যা করার পর ফার্স্ট হলো আর লাস্ট বেঞ্চের ছেলেটা চিরকুট কেটে নিয়ে গিয়ে...  সারাবছর বই না পড়ে পরীক্ষা দিলো, ধরাও পড়লো।  তার কি আর সেই আনন্দটা থাকবে জেতার?  সাফল্য হয়তো পাবে সে, ক্লাসে উত্তীর্ণ হবে,  শিক্ষক মহাশয় দয়া করে দুটো বেশী নম্বর দিয়েও দেবে।  কিন্তু আনন্দ? আদৌ কি থাকবে সাফল্যের?  যার রাস্তা হবে যত দীর্ঘ, যত পাথুরে,  গন্তব্যস্থলে পৌঁছোবার আনন্দ থাকবে তার তত তীব্র।  সাফল্য শর্টকাটে পাওয়া যায় না, সাফল্য সহজলভ্য নয়,  অবস্থা ভেদেও সাফল্য কিন্তু দ্বিমুখী হয়।  রচনা - ২২ জুন ২০২১, শ্রীরামপুর হুগলি

অবিভক্ত আশা - সমরেশ হালদার

অবিভক্ত আশা                     সমরেশ হালদার                             ১৪,০৭,২১ অবিভক্ত ভারত তখন করিম চাচা হেসে রোজ সকালে নাস্তা করেন ভারতবর্ষে এসে,  একই নদী পদ্মা গঙ্গা নাম দিয়েছি আমরা একই সূর্যের তাপ নিয়ে রোজ পোড়াই গায়ের চামড়া,  সাজু'র ব্যাথায় জসীমউদ্দীন নক্সীকাঁথার মাঠে চির অমলিন ছিলেন তিনি আছেন পদ্মার ঘাটে,  ভোর হতেই আজানের সুর এদিকে হরির নাম এটাই মক্কা হোক মদিনা হোক বৃন্দাবন ধাম,  ভাটিয়ালী ও পশ্চিমী তান একটি গানের সুর হলেন তিনি বিশ্বকবি আমার রবি ঠাকুর।।

রথের শুভেচ্ছা - রূপালী গোস্বামী

রথের শুভেচ্ছা      রূপালী গোস্বামী  রথে চড়ে জগন্নাথ চলেছে মাসির বাড়ি  দাদা বলরাম, বোন সুভ্রদ্রার  সঙ্গে রয়েছে তারি। রথের রশি ধরে এসো সবে মারো টান, পাঁপড় ভাঁজা আর জিলিপিতে ভরবে পরাণ। ছোট্ট বেলা রথের মেলায় মজা ছিল দেদার,  ভেঁপু বাঁশির মিঠে সুরে হতাম ঘরের বার। নাগরদোলা, ভোজবাজি আর মাদারির খেলা,  খেলনা, পুতুল কেনার ফাঁকে ফুরাতো যে বেলা। ঘরে যখন ফিরতাম সবে নিয়ে হাসি মুখ,  আড়ালেতে হাসতো প্রভু হেরি ভক্তের সুখ। অপার করুণার সাগর, সে বাঞ্ছা কল্পতরু,  তার নাম করে স্মরণ, শুভ দিনের হোক শুরু। 12/7/2021 -------------

জয় জগন্নাথ - দেবারতি গুহ সামন্ত

জয় জগন্নাথ দেবারতি গুহ সামন্ত সকাল থেকেই টানা মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে, মনটা একদমই ভালো নেই আদিদেভের,ছোট্ট করে আদি। আজ রথযাত্রা,রথের চাকা ঘোরা মানেই পূজোর আগমনী সুর বাজছে, তবু কিছুতেই অশান্ত মনটা হচ্ছে না শান্ত। পাঁচ বছর আগে এই দিনেই আদি হারিয়ে ফেলেছিল তার প্রিয়তমা আদিত্রি কে। নামের মিল থাকায় বন্ধুরা মজা করে বলত রাজজোটক। সত‍্যিই তাই,ওদের মতো রোমান্টিক কাপল ছিল অনেকেরই ঈর্ষার কারণ। কিন্তু সেসব পাত্তা না দিয়ে গড়গড়িয়ে এগোচ্ছিল ওদের প্রেমের চাকা। দুজনেই আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছে, পাশ করে নামী কোর্টে ওকালতিও করে আদিত্রি। কিন্তু আদিদেভ তখনও চাকরি না পাওয়ায়, ওদের বিয়েতে বাধ সাধে আদিত্রির বাবা। অন‍্য জায়গায় আদিত্রিকে পাত্রস্থ করা হবে এই সিদ্ধান্তে আদিত্রি নিজেকে ঘরবন্দী করে ফেলে, সাথে ভগবানকে কথাও দেয় যদি ওদের বিয়ে সুসম্পন্ন হয় ও সেদিন নিজে ঠাকুরের পুজো দেবে। শেষমেষ মেয়ের জেদের কাছে হার মেনে, আদিত্রির বাবা মেনে নেন আদিদেভকে জামাই হিসেবে। সেই সঙ্গে শর্ত রাখেন,কোনদিন যদি তার আদরের মেয়ের এক ফোঁটা চোখের জল পড়ে, ততক্ষণাৎ তিনি এ বিয়ে ভাঙতে দুবার ভাববেন না। শর্তে রাজি হয় আদিদেভ,ওর পুরো আত্মবিশ্বাস ছিল, ও থা...

ও দাদুভাই - অমরেশ বিশ্বাস

Image
ও দাদুভাই  অমরেশ বিশ্বাস  ও দাদুভাই ও দাদুভাই  তোমার মত কেউ  আর নাই  তুমি ভীষণ ভালো  তুমি এলে খুব মজা হয় তুমি এলে ভয় দূর হয়  দূর হয়ে যায় কালো। ও দাদুভাই ও দাদুভাই  এসো আবার আমি তা চাই যাবে না তো ভুলে ভাবব তোমায় দিনে রাতে থাকব তোমার অপেক্ষাতে রাখব দুয়ার খুলে। তোমায় আবার আসতে হবে বলো তুমি আসবে কবে খুশি হব এলে আসতে হবে তাড়াতাড়ি  নইলে তোমায় দেব আড়ি আমায় ভুলে গেলে।

"জীবন জীবিকা" -- অরবিন্দ সরকার

১১/০৭/২০২১               "জীবন জীবিকা"            -- অরবিন্দ সরকার           বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ জীবিকায় প্রতিভাত   সুন্দর জীবন, কর্মহীন বেকারের      অসহ যন্ত্রণা, কাজচাই কাজদাও  মিছিলে মন্ত্রনা, হাহাকার চতুর্দিকে    দাঁড়িয়ে শমন। সমাজের নেতা যারা  তাদের বেতন, সেবামূলক কাজের  লজ্জার দক্ষিণা, সবাই যদি নেতৃত্বে      কর্ম সম্ভাবনা, নেতাস্বপ্নে মন্ত্রপাঠ    ওড়াও কেতন। লেখাপড়ায় কি হবে,  যোগ্য বাহুবল, টিপছাপে নেতা মন্ত্রী    সুপরিকল্পনা জীবন মরন পণে     জীবিকা লড়াই, টাকার খেল্ উড়ন্ত       জবর দখল, শক্তিমান পালোয়ান ,  দলের জল্পনা, নিরীহ গোবেচারার,কি আছে বড়াই?

চাহিদা - রবি শঙ্কর মুখোপাধ্যায়

চাহিদা    রবি শঙ্কর মুখোপাধ্যায়  দীনমজুরে সাধারণ মানুষ আমি ভাই,   কী করে দিন চলবে, তা ভেবে কুল না পাই।  কোন রকমে যদি বা চলছিল সংসার,  লক্ ডাউনে তাও বা হলাম পুরো বেকার!  স্ত্রী -অপত্য নিয়ে এবার পথে বসার সামিল,  জীবনের হিসেব যে, হলো পুরো গরমিল।  ইলেকট্রিকের বিল দেখে আঁতকে উঠি আমি!  এবারের মতো মাফ করো গো সরকার তুমি।  করোনা তুমি এত ভীষণ কেন হলে?  জীবন ও জীবিকা বুঝি এবার যাবে চলে!  দীনমজুরে সাধারণ মানুষ আমি ভাই ; জীবনে বাঁচার রসদ টুকু যে চাই। চাইনা আর জীবন নিয়ে ছেলে খেলা,  আমাদের সাথে আর না হোক হেলাফেলা। গরীব হলেও আমরা কিন্তু দেশের সিংহ ভাগ - আমাদের অভিযোগ গুলো গুরুত্ব পাক। ন্যায্য অধিকার নিয়ে আজ সবাইকে জানাই - বাঁচার "চাহিদা" গুলো যেন  আমরা পাই।                  ######

মা --অরবিন্দ সরকার

        অক্ষর সোপানে                     মা        --অরবিন্দ সরকার      বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ।                     মা                    তুমি                 আমার               রক্ষাকারী              গর্ভধারিনী           লালন  পালনে     ত্রুটি    নাহি   তোমার!   আত্ম   সুখ    ছাড়ি    যত্ন                             বাঁচিয়ে      রেখে     পরিবার।    বৃদ্ধা       কালে  বৃদ্ধাশ্রমে       স্ত্রীর    কানাকানিতে,     ...

হৃদয় ছোঁয়ার দাম - সন্তু প্রামাণিক

Image
হৃদয় ছোঁয়ার দাম  সন্তু প্রামাণিক  ওই মেয়ে তোর হৃদয় ছোঁবো খরচ কতো বল? একটা বুকের ভালোবাসায় ঘর বাঁধবি চল। একটা সাগর প্রেম দেবো। আর- একটা কুটির ঘর। দখিন পানে মস্ত সাগর উত্তরে পাহাড়। ঝরনা জলে স্নান সারবি নদীর জলে কেলি, দাওয়ায় বসে দু'জনেতে হাসবো খিলিখিলি। আকাশ-বাতাস সঙ্গী হবে, রোদের ঝলকানি। বনের মধু, গাছের ফলে চাঁদের আলো'খানি। রাতের আকাশ তারায় ভরা আমার বুকেই মাথা। গগন পানে চেয়ে থেকেই বুনবো গল্পগাথা। ওই মেয়ে; তোর এতেই হবে? নাকি, আর'ও কিছু চাই? বাড়ি-গাড়ি অট্টালিকায় মনের রসদ নাই। আমি হলাম দিলদরিয়া, তোর হৃদয় ছুঁতে চাই। ভেবে দেখিস সময় পেলে। এর চেয়ে- ভালো উপায় নাই।             

সেই অ্যাকোয়ারিয়ামটা - দেবারতি গুহ সামন্ত

Image
শিরোনাম - সেই আ‍্যকোয়ারিয়মটা কলমে - দেবারতি গুহ সামন্ত বড়সড় রঙচঙে আ‍্যকোয়ারিয়ামটা, ছোট্ট রোহনের খুব পছন্দের। পকেটমানি বাঁচিয়ে কেনা এই আ‍্যকোয়ারিয়ামটা, ওর কাছে ভীষণ ভীষণ আনন্দের। পড়ার ফাঁকে অথবা দুপুরে না ঘুমিয়ে, ছোট্ট রোহন ভাব জমায় মাছেদের সঙ্গে। রঙবেরঙের মাছেরা ওকে নিয়ে যায় স্বপ্নের দুনিয়ায়, নিয়মের বেড়াজাল যেখানে দেখায় না তার অঙ্গভঙ্গী। নিয়ন টেট্রা,গাপ্পিস,মোলিস,প্লেটিস,জেব্রা ডেনিয়োস, ফুড়ুৎ ফাড়ুৎ ছুটে এদিক সেদিক। আরো আছে,গোল্ড ফিস,আ‍্যঞ্জেল ফিস,রেনবো ফিস, রামধনুর সোনালী রঙ ছড়ায়,আর হাসে ফিক ফিক। জলজ উদ্ভিদের ছাড়া অক্সিজেনে বাঁচে রোহনও, মাছেদের জলকেলিতে নিজেকেও মনে হয় ছোট্ট মাছ। কল্পনায় দুটো পাখনা লাগিয়ে দেয় নিজের ছোট্ট দুই কাঁধে, যেটা কিনা পড়ার ভারে জর্জরিত,ক্লান্তির চারাগাছ। কড়া শাসন আর নজরদারির হাঁসফাস করা দমবন্ধ গন্ডীতে, এক টুকরো মুক্তির আকাশ এই আ‍্যকোয়ারিয়াম। ছড়ানো ছেটানো নুড়ি পাথরের আড়ালে লুকিয়ে খুশি, রোহন খুঁজেই চলেছে সেই খুশিগুলো,এটাই যে তার নিজেকে দেওয়া একমাত্র ইনাম।

বর্ষার আকাশ - দিলীপ কুমার দাস

Image
শিরোনামঃ বর্ষার আকাশ  কলমেঃ দিলীপ কুমার দাস  তারিখঃ ০৯/০৭/২১ আমি বর্ষার আকাশ          হঠাৎ বৃষ্টি হয়ে ঝরি               রোদ আর মেঘের সাথে                        খেলি লুকোচুরি।  আমি বর্ষার আকাশ          হঠাৎ ধূলো ঝড় তুলি,                 অঝোরে বৃষ্টি নামিয়ে                          ফোঁটাই ফুলের কলি।  আষাঢ় শ্রাবণ  মাসে          আসি ফিরে বারবার                   ফল মূল শাঁক সবজি                          সবুজের রঙে সমাহার। আমি বর্ষার আকাশ          ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ি,                হঠাৎ করে ঝনঝনিয়ে      ...

পরান ‎۔۔۔۔۔চিন্ময়ী সেনশর্মা ‎

পরান ۔۔۔۔۔ চিন্ময়ী সেনশর্মা  তারিখ  ۔۔۔10/6/21 হৃৎযন্ত্র টা চলছে টিক টিক শব্দে  দুটি অলিন্দে চলে সময়ের স্রোত ; ছোট আর বড় কাঁটা খেলে লুকোচুরি  চব্বিশ ঘন্টার নোঙর বাঁধা খেয়া ঘাটে l কখন যে কার ছোটা বন্ধ হবে ۔۔۔۔ না জানার দেশে থাকে সে নাবিক l কেড়ে নেবে ঘড়ি ; খুলে দেবে কাঁটা  বরফের হিম জমাবে স্তব্ধতার আস্তরণ ll

শিবের গাজন - অরবিন্দ সরকার

          শিবের গাজন         - অরবিন্দ সরকার         বহরমপুর,মুর্শিদাবাদ। কদর্য ভাষা প্রয়োগ   তর্জনী উপরে, শরম বালাই নেই      উচ্চনীচ জ্ঞান, লঘু গুরু ফারাকের    নাহি সমাধান, জগাখিচুড়ীর জট    পাথর কাঁকরে। সহিষ্ণুতা চোরাবালি, শিখরে উড্ডীন, ধর্ষিতার অপরাধে       ধর্ষকের মালা, বিচারের আগে রব, ছোট্ট তত্ত্বজ্বালা, অপরাধ তারতম্য       কাঠগড়া দীন। বিচারক রায়দানে     কলম কাঁপুনি, কলম পকেটে গুঁজি   কর্মের প্রস্থান, জরিমানা হামাগুড়ি  লজ্জা নিবারণ, দান খয়রাতি সেবা  কাদার লেপুনী, সব পাপ ক্ষয় মুছে  নিঃস্ব পরিত্রান, ভণ্ড তপস্বিনী জপে মহোচ্ছোব ধ্যান।

চঞ্চল চিত্ত - দিলীপ কুমার দাস

চঞ্চল চিত্ত  দিলীপ কুমার দাস  দিনের শুরুর সেই স্নিগ্ধ সকালে শুধুই মনে পড়ে তোমাকে,  এক বিশেষ অনুভূতির স্পর্শে মন চঞ্চলতায় ভরে দেয় আমাকে।  আনমনে ভাবি তোমার কথা  জানি এ এক বড় আস্পর্ধা,  কল্পনার পালকে ভর করে  এই মন ছুঁয়ে যায় স্পর্শতা।  এই চঞ্চল চিত্ত উড়ে যায়  নীল আকাশে পানে, অনুভবের পাখা মেলে  তোমারই সনে। কেনো জানি বেহায়া মন  চায় তোমার সান্নিধ্য,  শত অভিমানের নদী পাড়ি দিতে  এই বেহায়া মন বাধ্য। তারিখঃ ০৮/০৭/২১

কোন মুখটা তোমার? - সন্তু প্রামাণিক

Image
কোন মুখটা তোমার?        সন্তু প্রামাণিক এ এক প্রশ্নের খেলা, উওর পাই কই ? এত মুখ দেখি আমি, তোমার মুখটি কই ? দুপুর রোদে ক্লান্ত শ্রমিক দরদরিয়ে ঘামে। কাঁটাতারের কাছেই সেনা সজাগ অপর পানে। ব্যস্ত মুদি পসরা নিয়ে  কলু আবার ঘানে, মাস্টার মশাই ইস্কুলেতে খুকু দিঘীর পানে। জেলে জলে জাল ফেলে আজ ধরছে চুনোপুটি। রাঘব বোয়াল এসির ঘরে হাসছে লুটোপুটি। গরীব দুঃখী পরের বাড়ী, কাজের অন্বেষণে। বারবণিতা রাতের বেলার কাঁদে ঘরের কোণে। এত মুখের মাঝেই আমি খুঁজি তোমার মুখ। সেই মুখেতেই শান্তি আছে, সেথায় সর্বসুখ।          ‌         

জবাবদিহি - সৌভিক দেবনাথ।

জবাবদিহি        সৌভিক দেবনাথ। বাড়ির ওপর ডিশ টিভির অ্যান্টেনার মতো সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে চাঁদ। চারপাশের সব কুকুরগুলো চাঁদের দিকে তাকিয়ে উচ্চস্বরে চিৎকার করে চলেছে, একটি মানুষ নিরব দৃষ্টিতে দেখছিলো সেটা।  তারপর গম্ভীর কণ্ঠে সে কুকুরগুলোকে বললো,  ‘ঘেউ ঘেউ করে তোমরা কি পাও?  তোমাদের চিৎকারে চাঁদ মাটিতে নেমে আসবে না।’ তখন কুকুরেরা তার কথা শুনে চিৎকার থামালো,  নেমে এলো ভয়ংকর নির্জনতা।  কিন্তু যে মানুষটি তাদের সাথে কথা বলছিলো,  সেই মানুষটি বাকি রাত নির্জনতা ভঙ্গ করতে ঘেউ ঘেউ চালিয়ে গেলো।