আলোর দিশা সাহিত্য পত্রিকা - জানুয়ারী সংখ্যা ২০২৪



আলোর দিশা সাহিত্য পত্রিকা 
ব্লগজিন - জানুয়ারী সংখ্যা ২০২৪
প্রতিষ্ঠাত্রী ও সম্পাদিকা - সোমা বিশ্বাস 

প্রকাশক - আলোর দিশা প্রকাশন 
শ্রীরামপুর, হুগলী 
যোগাযোগ - ৬২৯১৭৫৬৫২৪ 
ইমেল - aalordishasahityapotrika@gmail.com 



স্বাধীনতা
অমল ভট্টাচার্য্য 

একটা চায়ের দোকানে আড্ডা চলছিল,
রাজনৈতিক নেতা, কর্মী,সমাজসেবী, বিদ্বজ্জন,  মানুষের মতো দেখতে কিছু সাধারণ মানুষ ছিল।
আমিও মুখোশ সরিয়ে মানুষ সেজে তাদের মধ্যেই ছিলাম। 

স্বাধীনতা দিবসের আগের সন্ধ্যে,
চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে কথা উঠল স্বাধীনতার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে।
শুনলাম দলমত নির্বিশেষে সবাই স্বীকার করে নিলেন যে কাঙ্খিত স্বাধীনতার থেকে আমরা কয়েক যোজন দূরে।
সকলের গলাতেই আক্ষেপের সুর।
আমি চুপচাপ ছিলাম দেখে সকলে আমার মতামত জানতে চাইলেন। 
মুখোশ যখন সরিয়ে মানুষের মতো সেজেছি তখন আমিও সত্য কথা সত্য ভাবেই ব্যক্ত করলাম। 

আপনারা দেশের জনতা, নেতা,  বিদ্বজ্জন, সমাজকর্মী সবাইকেই অপমান করলেন। 
আসলে আমার দেশ সম্পূর্ণ স্বাধীনতার স্বাদে ভরপুর, 
স্বাধীনতার ছবি প্রস্ফুটিত হয় দূর থেকে দূর।
কোথা থেকে শুরু করব ? 
শুরু করা যাক ঘর থেকেই। 

ছেলে মেয়ে গুরুজনদের মানে না আজকাল, 
আমরা দুঃখ করি এটা নিয়ে সকাল বিকাল।
কিন্তু এটাইতো ছেলে মেয়েদের স্বাধীনতা।
কে তার বাবা,মাকে বৃদ্ধ বয়সে দেখবে কি দেখবে না ,
সেটা ঐ বৃদ্ধ বৃদ্ধার ছেলে মেয়েদের স্বাধীনতা।
ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য গুন্ডামি থেকে নির্বাচনে কারচুপি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের স্বাধীনতা।
চাকরি রাষ্ট্র দিতে পারছে না বলে একটা যুবকের বীর্যের চাপ তো থামবে না,
অতএব ধর্ষণ করাটা সেই যুবকের স্বাধীনতা।
বাড়ি করতে, বাড়ি ভাড়া নিতে, চাকরি পেতে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে সরকারের ঘোষিত ত্রাণ পেতে ঘুষ দেওয়া বা ঘুষ নেওয়া তাদের স্বাধীনতা।
ঘুষ দিয়ে শিক্ষিত হওয়ার সার্টিফিকেট কেনাটাও ক্রেতা ও বিক্রেতার স্বাধীনতা।
পণের পরিমাণ মনমতো না হলে বধূ নির্যাতন থেকে তাকে পুড়িয়ে মারা সেটাও সেই পরিবারের স্বাধীনতা।
পুলিশ এফ আই আর নেবে কি নেবে না সেটা তাদের স্বাধীনতা।
কাকে কখন কি কারণে সরকার লাইনে দাঁড় করাবে সেটা ক্ষমতাসীন সরকারের স্বাধীনতা।
কাকে গরীব থেকে গরীব বানাবে আর
কাকে ধনী থেকে আরও ধনী সেটাও সরকারের স্বাধীনতা।
নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দেওয়া আর সরকারে এসে প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করা দুটোই তাদের স্বাধীনতা।
এগুলো সবই আমরা পেয়েছি, আমার দেশ পেয়েছে। বলুন আপনারা আমি ভুল বলেছি ?

এক নাগাড়ে কথাগুলো বলে গেলাম, 
এখন শ্রোতাদের উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম।


২৮/০১/২০২৪

           জীবন মরণ জলে
             অরবিন্দ সরকার (বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ) 
 
 নৌকায় থাকা খাওয়া,মাছ ধরা জালে,
ঘরসংসার এখানে,ভিটে মাটি হারা,
জন্ম মৃত্যু নৌকা মাঝে, লেখাপড়া ছাড়া,
জলে জীবন তাঁদের, ঢেউ ছন্দ তালে।

আহ্নিক বার্ষিক গতি, জীবিকার কালে,
সুন্দরবনে জেলেরা, মৎস্যজীবী তারা,
তাদের সঙ্গী পড়শী, হাতে বৈঠা ধরা,
চাঁদ সূর্য গ্রহ তারা,মেঘ বৃষ্টি ভালে।

ডাঙায় বাঘ নজরে, জলেতে কুমির,
রক্ত ভেসে লাল জল, নৌকা আশেপাশে,
মানুষে বাঘে লড়াই, নৌকা দেখে স্থির,
অভাবে মধুর খোঁজে, প্রাণ হাতে ত্রাসে।

লোকালয়ে চাই আলো,জ্ঞানের আধার,
জীবন্মৃত বসবাস,যেন কারাগার।

 পরাধীনতার রেশ 
 সারদা হালদার (কলকাতা- বাঘাযতীন)

কত বীর বিপ্লবীর আত্মবলিদানেই পেয়েছি যে এই স্বাধীনতা
অথচ দেশের অভ্যন্তরেই চালিয়ে যাচ্ছি ঘৃণ্য স্বেচ্ছাচারিতা!
'শক্তি একতায়, মুক্তি সততায়' জানি এগুলো কথার কথাই
ভুগছি আমরা অবিরত ভাবে ন্যায় ও নীতি হীনতায়! 
রন্ধ্রে রন্ধ্রে সমাজেই সেই থেকে গেছে পরাধীনতার রেশ
তিলে তিলে শেষ হতে হতেই মোরা হচ্ছি যে নিঃশেষ! 
উৎপীড়কের বিচার সভায় নির্দোষের হয় সাজা প্রাপ্তি
বলতে পারো, কত দিনে হবে এই দুর্দিনের সমাপ্তি?! 
নীরবে নিভৃতে গুমরে মরে স্বতন্ত্রেরও নৈতিক বাণী
তেরঙ্গার ওই পতপতানিতে তাই স্বাধীনতার সুদিন গুনি!


স্বাধীনতা 
অনুপ কুমার জানা

মুক্তি পেয়েছি ইংরেজ শাসনের 
     এখনও পাইনি স্বাধীনতা ,
বঞ্চিত মোরা মৌলিক অধিকারে 
      মেলেনি ন্যায়ের মান্যতা ।

  শাসন ছিল জোর জুলুমের 
       ইংরেজ শাসন কালে , 
      স্বচ্ছতা তবু ছিল সর্বত্র
      উন্নয়নের বেড়াজালে । 

    শিক্ষা ছিল উন্নতমানের
    অপেক্ষা রাখে না বলার , 
সম্মান ছিল শিক্ষিত মানুষের
  ছিল না বেকারত্বের জ্বালার । 

  আইন ছিল যথার্থই দেশে 
      হয়তো একটু কড়া , 
সবাইয়ের জন্য সমান আইন
      ভাঙলে শাস্তি চড়া । 

   আইন প্রকৃত ছিল বলেই 
   পেয়েছি আজ স্বাধীনতা ,
ছিয়াত্তর বছর মুক্ত ইংরেজ 
  তবুও আবদ্ধ পরাধীনতা ।

কেটেছে আজ গরিবতা দেশের 
     কাটেনি মননে গরিবতা ,
জুটেছে যদিও শিক্ষা সবাইয়ের 
     জাগেনি এখনও মানবতা ।

  পাচ্ছি কতোটা প্রকৃত শিক্ষা 
    এসেছে সময় পরীক্ষণের ,
শিক্ষা দাতাগন দায়িত্বশীল কতোটা 
    আলোচ্য আজ সে বিষয়ের । 

কতোটা মজবুত শিক্ষা কাঠামোর 
     প্রশ্ন জাগে হৃদয়-দ্বারে  ,
দিয়েছি যাদের শাসনের ভার
   দিয়েছে শাসন পন্য করে ।

      ---------------- ০ --------------- 


হ্যাপি নিউ ইয়ার 
দীপঙ্কর বেরা

কত স্বপ্ন সত্যি হয় না তবু সামনে যেতে
এক পা দু পা চলতে চলতে সব কিছু সব পেতে,
নতুন দিশায় বর্ষ বরণ দিন এলো দিন চাওয়ার
আজকে যে তাই মহাধূমধাম হ্যাপি নিউ ইয়ার।

নিজের শপথ নিজের কাছে চাইছে কত কিছু
নিজের জমি গান পুরাতন নিয়েছে তার পিছু,
আবার ঘুরে দিন গোনা দিন শুরু কিছু পাওয়ার
কাউন্টডাউন আজকে থেকে হ্যাপি নিউ ইয়ার।

পারি নি যা করতে যত করব এবার আশা
দেখতে আকাশ মাটির বুকে গড়ব শান্তি বাসা,
এ বছরে হবোই হবো ইচ্ছের পিঠে সওয়ার,
শুধরে নেওয়া আজকে যে ভাই হ্যাপি নিউ ইয়ার।

পেছন ফিরে সামনে তাকাই মেলবন্ধনে থাকা
যেমন করে দিন ও রাতের সন্ধিক্ষণে আঁকা,
আসছে বছর যাবে বছর কত কিছু হওয়ার
হাত ধরে সব থাকব, আজকে হ্যাপি নিউ ইয়ার।


বীর যোদ্ধা
রাজকুমার বর

কত যুবকের কেড়েছে ওরা প্রাণ
কত বীর দিয়েছে তারা বলিদান।
স্বপ্ন ছিল মুক্ত হবে পরাধীন দেশ
শেষ হবে অত্যাচারের দুঃখ ক্লেশ।
 যুবকরা এগিয়েছিল স্বাধীনতার লক্ষ্যে
গুলির আঘাত সহ্য করে আপন বক্ষে।
গোলাম হয়ে বাঁচতে হবে এই ছিল লজ্জা
তাই তারা বেছে নিল কন্টক সজ্জা।
স্বাধীন হলো দেশ কাজটি ছিল শক্ত
স্বাধীনতা আনতে দিয়েছে তারা কত রক্ত।
বিদেশিদের হাত থেকে পেয়েছি মোরা মুক্তি
স্বাধীন দেশে বীর যোদ্ধাদের জানাই শ্রদ্ধা ভক্তি। 

নেতাজি ২০২৪ এ 
রবিব্রত ঘোষ 


২৩ শে জানুয়ারী। সুভাষ চন্দ্রের জন্মদিন।
এই একটি মানুষকে নিয়ে বাঙালির গর্বেবুক ফুলে ওঠার দিন । সুভাষচন্দ্র কে নিয়ে বাঙালি অনেক বেশি সেনসিটিভ। 
আমরা এখনো স্বপ্ন দেখি একদিন হঠাৎ করে সুভাষচন্দ্র ফিরে আসবেন আমাদের সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
বাস্তববোধের প্রবল অভাব তার শিশুসুলভ স্বপ্ন দেখতে অভ্যস্ত আমরা এখনো যে সাবালকই হতে পারিনি এগুলি হচ্ছে তার প্রমাণ।।
ব্রিটিশ শাসনের সময় যতটা বিশৃঙ্খলা এবং কঠিন শাসন শোষন ছিল সেসব এখন অতীত। নির্দ্বিধায় বলা যায়, স্বাধীন ভারতবর্ষ অনেক বেশি এগিয়ে গেছে। এখনো অত্যাচার অনাচার হলেও হলেও প্রতিবাদ করা যায়, আইনি ব্যবস্থা রক্ষাকবচ আছে। এবং তার থেকেও বড় কথা দেশে গণতন্ত্র আছে অত্যাচারী শাসক কে বদলে ফেলার রাস্তাও আছে।
আমরা সেই রাস্তায় না হেঁটে এখনো কান্না জুড়বো নেতাজি কবে আসবেন তার দিকে।
এই নেতাজির মতো নেতার ফিরে আসা নিয়ে সুভাষচন্দ্রের একটি খুব সুন্দর বক্তব্য আছে। উনি বলছেন

কেউ কেউ বলেন যে নেতার অভাবে যুবকেরা কিছু করে উঠতে পারছে না। আমার বক্তব্য এই যে নেতা যদি খুঁজে না পাওয়া যায় তবে তোমরা চুপ করে বসে থাকবে তোমরাই নেতা সৃষ্টি করে কাজে লেগে যাও। নিজেদের বিবেক-বুদ্ধির আলোয় তোমরা নিজেরাই পথ আবিষ্কার করো। নেতা আকাশ থেকে পড়ে না, কাজের মধ্যে দিয়েই নেতা গড়ে ওঠে।
নেতাজির আদর্শ রয়েছে আমাদের দরকার ছিল কিছু ছোটখাটো নেতাজি কে তৈরি করা। একটি ছোট্ট উদাহরণ দেবো। জাপান ।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আক্ষরিক অর্থেই প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল । আর আজ ,কয়েক দশক পরেই বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম শক্তি। কিভাবে হল ?ওখানে তো নেতাজির মতো কেউ ছিলেন না দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর। আসলে ওখানে দেশ গড়তে গিয়ে অনেক ছোট ছোট নেতাকে তৈরি হয়ে গিয়েছিলেন যারা ছোট ছোট জায়গায় নেতৃত্ব দিতে পেরেছেন একটা বড় আদর্শ ও স্বপ্নকে সামনে রেখে।
আমাদের আজ ছোট ছোট কিছু নেতাজি দরকার। যারা আদর্শকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে পারবেন।
দেশবাসীর মূল সমস্যা ছিল স্বাধীনতার পরই তারা ধরে নিয়েছিলেন এবার সরকার আমাদের জন্য সবকিছু করবে আর আমরা চুপচাপ থাকব। বলা যেতে পারে বংশ রক্ষার দায়িত্ব ছাড়া আর সমস্ত কিছুর দায়িত্বই আমরা সরকারের ওপরে ছেড়ে দিয়েছিলাম।
আমরা আত্মনির্ভরশীল হইনি। দাবিদার মুখর ভেরিফায়েড ভিখারী হয়েছে মাত্র। নেতারা আমাদেরকে তাদের দাবার বোরের মত , পুতুল নাচের পুতুলের মত ব্যবহার করে গেছেন।
সমস্যাটা অনেক আগেই নেতাজি বুঝিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন ।উনি বলছেন, তরুণরা এতদিন পরে বুঝতে পেরেছে তারা খেলার পুতুলের মত।কামান বন্ধুকের সামনে তাদেরই বারবার এগিয়ে এগিয়ে গিয়ে আত্ম বলিদান করতে হয় ।অথচএমন অনেক যুদ্ধ হয় যা শুধু চক্রান্তের ফলে এর দ্বারা কোন জাতির কোন প্রকৃত উন্নতি হয় না।
কিছুদিন আগে একটা হিসেব করে দেখছিলাম পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৩৬০ বারের মতো ছাত্র আন্দোলন হয়েছে তার মধ্যে মাত্র গোটা 15 বার ছিল ছাত্র সংক্রান্ত আন্দোলন। লক্ষ্য করে দেখবেন ভারতের রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে অধিকাংশই পারিবারিক দলে পরিণত হয়েছে। নেতার পর তার পুত্র কন্যাদেরই দলের সর্বোচ্চ পদে পাকাপাকি অধিকার। এবং তারা কেউই কিন্তু কোন আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ওঠেননি দল একটা শক্তপোক্ত জায়গায় গেলে তবেই তাদের উদয় হয় এবং তারা অচিরেই দলে সর্বোচ্চ পদটাকে দখল করে নেন । আর তৃণমূল স্তর থেকে উঠে আসা সাধারণ নেতাকর্মীদের সামনে ও সামান্য কিছু প্রাপ্তির গাজর ঝুলিয়ে কাজ আদায় করে নেওয়া হয়।

এই প্রেক্ষাপটে নেতাজির একটি অসাধারণ প্রশ্ন আছে। বাংলার যুবসমাজের কাছে ।এই ক্ষমতালোলুপ রাজনীতিবিদদের ঝগড়া ছেড়ে নীরবে আত্মোৎসর্গ করতে পারে এমন কর্মী কি বাংলায় আজ নেই।
সমস্যা কি এবং সমাধান কি দুটোই কিন্তু নেতাজি খুব সুন্দর ভাবে আমাদেরকে বুঝিয়ে দিয়ে গেছেন উনি বলছেন। আমাদের অসীম শক্তি আছে নেই আত্মবিশ্বাস। আমাদের সবই আছে, নেই শুধু এক বস্তু নিঃশেষে আত্ম বলিদান একটা আদর্শের পিছনে আমরা অন্তরের সঙ্গে দেশ কে ভালোবাসি না স্বজাতিকে ভালোবাসি না গৃহে বিবাদ করি তাই এখনো আমাদের মধ্যে মির্জাপুর ওমের চাঁদের জন্ম হয়।
আত্মবিশ্বাসী হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর কথা বলে উনি বলছেন আমরা অন্ন চাই, বস্ত্র চাই, শিক্ষা চাই কিন্তু মূল সমস্যার দিকে তাকালে বোঝা যাবে বৈষম্যের প্রধান কারণ ইচ্ছা শক্তি ও প্রেরণার অভাব। সকলের সাহায্য গ্রহণ করতে দোষ নেই কিন্তু নিজেদের চেষ্টায় আমাদের আগে অন্ন,বস্ত্র শিক্ষার ব্যবস্থা আগে করতে হবে।
দরকার ছিল কি নতুন জীবনবোধকে তৈরি করা। অধিকাংশ মানুষের কাছেই জীবনের কোন লক্ষ্য তৈরি হয়নি নেতাজির কোথায় বারবার ফুটে উঠেছে।
আজকাল স্কুল ও কলেজে ভালো ছেলে নামে এক শ্রেণীর জীব দেখতে পাওয়া যায়। আমি তাদের কৃপার চোখে দেখি বইয়ের বাইরে তাদের কোন অস্তিত্ব নেই এবং পরীক্ষার প্রাঙ্গণেই তাদের জীবন পর্যবসিত হয়।
এই বাধা ধরা চক্কর থেকে বেরিয়ে এসে নেতাজির আহ্বান ছিল মানুষ হবার আহ্বান। উনি বলছেন ভাইয়েরা এসো আমরা একসঙ্গে বলি আমরা মানুষ হবো । নির্ভীক মুক্ত খাঁটি মানুষ হবো। নতুন স্বাধীন ভারত আমরা ত্যাগ সাধনা প্রচেষ্টার ফলে গড়ে তুলব এইব্রত উদযাপন করে আমরা আমাদের জীবন ধন্য করব।

ভালোবাসার কবিতা 
 কৌশিক গাঙ্গুলী

ঈর্ষা মোছা যায় ,
কিন্তু ভালোবাসা মোছা যায় না। 
যা অমরত্বের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় ,
নানা স্বপ্নের ভেতর দিয়ে ,
কোন নাগপাশের বন্ধনে 
তাকে আটকাতে পারবেনা হায়নার দল ।
কবিতা আর ভালোবাসা ছাড়া 
আর কিছুই নয়, মরে যেতে যেতে 
যেন একদিন, একটা জীবন্ত কবিতা 
হয়ে উঠতে পারি ।


নববর্ষ 
সোমা বিশ্বাস 

পুরনো বছরকে বিদায় জানাই নতুনকে করি স্বাগত। 
নিদারুণ যন্ত্রণার মাঝেই সুখ সর্বদা আগত। 

ধন্যবাদ 


Comments

Popular posts from this blog

মাটির শহর - সৌভিক দেবনাথ

কবি বিকাশ ভৌমিকের কবিতা