Posts

Showing posts from January, 2024

আলোর দিশা সাহিত্য পত্রিকা - জানুয়ারী সংখ্যা ২০২৪

Image
আলোর দিশা সাহিত্য পত্রিকা  ব্লগজিন - জানুয়ারী সংখ্যা ২০২৪ প্রতিষ্ঠাত্রী ও সম্পাদিকা - সোমা বিশ্বাস  প্রকাশক - আলোর দিশা প্রকাশন  শ্রীরামপুর, হুগলী  যোগাযোগ - ৬২৯১৭৫৬৫২৪  ইমেল - aalordishasahityapotrika@gmail.com  স্বাধীনতা অমল ভট্টাচার্য্য  একটা চায়ের দোকানে আড্ডা চলছিল, রাজনৈতিক নেতা, কর্মী,সমাজসেবী, বিদ্বজ্জন,  মানুষের মতো দেখতে কিছু সাধারণ মানুষ ছিল। আমিও মুখোশ সরিয়ে মানুষ সেজে তাদের মধ্যেই ছিলাম।  স্বাধীনতা দিবসের আগের সন্ধ্যে, চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে কথা উঠল স্বাধীনতার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে। শুনলাম দলমত নির্বিশেষে সবাই স্বীকার করে নিলেন যে কাঙ্খিত স্বাধীনতার থেকে আমরা কয়েক যোজন দূরে। সকলের গলাতেই আক্ষেপের সুর। আমি চুপচাপ ছিলাম দেখে সকলে আমার মতামত জানতে চাইলেন।  মুখোশ যখন সরিয়ে মানুষের মতো সেজেছি তখন আমিও সত্য কথা সত্য ভাবেই ব্যক্ত করলাম।  আপনারা দেশের জনতা, নেতা,  বিদ্বজ্জন, সমাজকর্মী সবাইকেই অপমান করলেন।  আসলে আমার দেশ সম্পূর্ণ স্বাধীনতার স্বাদে ভরপুর,  স্বাধীনতার ছবি প্রস্ফুটিত হয...

কবি বিকাশ ভৌমিকের কবিতা

এই মনের যন্ত্রণা   বিকাশ ভৌমিক  --------------------------- ২২/০১/২৪ ---------------------------- কাটছে সকাল ----কাটছে বিকাল------- পড়ন্ত রোদের আলো -------- ক্লান্ত মনের গুনগুন ----না পাওয়া ইচ্ছার ভিড়  !     এক অজানা যন্ত্রণার ঘ্রাণ। করি  আস্বাদন  প্রায়। কবিমনের কল্পনা -----স্বপ্নের বিলাসিতা ! এক কাপ চায়ে----স্বর্গসুখের মৌতাত । স্বপ্নের আবেশ। সবুজ মনের আনন্দ। কত সুখের শৈশব !মনে মনে অবগাহন। স্মৃতির ভাণ্ডারে কত না অজানা রত্নধন । পাওয়া না পাওয়ার আনন্দ বেদনা। অলক্ষ্যে রোদন । কৈশোরের স্বপ্নের দিনগুলো -----বসন্তের নববাতাস । প্রাণে শিহরণ। প্রাক--যৌবনের অজানা আবেশ । ভীরু মনের আনাগোনা । স্বপ্নের শুরু । উত্তাল যৌবন । প্রেমরসে মজেছিলো মন ।  দখিনা মাতাল বাতাস ।পুলকিত দেহমন । প্রিয়ার অপেক্ষায়। স্বপ্নে গানে শয়নে জাগরণে কেটেছে সময়। অদেখা অচেনা প্রিয়ার ছোঁয়ায় । কর্মব্যাস্ত জীবন এখন । মন ডুবে আছে সংসার সাধনায় । কল্পনার ছোঁয়া নাই এই বাস্তবের দুনিয়ায় । তবু আজো কখনো ব্যাকুল হয় এই মন ------যৌবনের রঙে রাঙ্গানো না দেখা প্রিয়ায় । চলে অণ্বেষণ । যদি খোঁজ মিলে তার । যা...

কবি অনুপ কুমার জানার কবিতা

তুমি   অনুপ কুমার জানা  চাঁদের মতো মুখখানি  উঠেছে ফুটে দ্যুতি ,  কপালে টিপ , স্মৃতিতে সিঁদুর  যেন স্বপ্নপুরির শ্রীমতি ।  চিবুকে , গালে আলোর ছটা   রেডিয়াম সম বিচ্ছুরণ ,  নয়ন দু'খানি প্রেমের বার্তা ,  হরণ করেছে মন ।  সোনালী-লাল নেকলেস সেট  মানিয়েছে বেশ বুকে ,  যেন জ্যোৎস্না ভরা পূর্ণিমাতে  ধ্রুবতারা আঁকে ।  ওষ্ঠ যুগল গোলাপ সুধা , পরশ পেতে চায় ; লজ্জা রাঙা প্রেমিকা আমার  মুখটি ঘুরিয়ে নেয় ।  কাজল কালো নয়ন যুগল  বলছে কত কি যে!  প্রেম মরুদ্যানে নব পথিক   পড়েছি শুধুই লাজে !   ভাষাতে তোমার মার্জিত কত স্বভাবেরও নেই তুলনা ,  হৃদয় তোমার শুভ্র কুসুম  মৌমাছির অবাধ আনাগোনা । কত গুণের অধিকারিনী তুমি  রাজহংসী সম পাখনা ,  কলঙ্ক তোমায় পারেনি ছুঁতে   শুচিস্মিতায় তব কামনা ।  সাগর দেখেছি অতল কত নীলাভ ইমেজে ঢাকা ,  তোমার মনের গভীরতা আজও  হৃদয়ে আসেনি আঁকা ।  বলো না ওগো সাবলীল ভাবে  কি আছে তব অভিলাষ?  আমি যে তোমার প্রেম সাগরে...

কবি বিশ্বরঞ্জন ভট্টাচার্য্য মহাশয়ের কবিতা

Image
দেব প্রতিষ্ঠা বিশ্বরঞ্জন ভট্টাচার্য্য  তারিখ :- ১৯/০১/২০২৪ [ একটি চতুর্দশপদী কবিতা ] দেবের সৃষ্ট হয়ে কর দেব প্রতিষ্ঠা! না জানি মাহাত্ম্য তাঁর, না করি বিশ্বাস বহু মূল্য অভ্রভেদী রচিয়া মন্দির.... অসার অপপ্রয়াস, মিথ্যা পরাকাষ্ঠা। প্রস্তর মূরতি মহা করিছ নির্ম্মান! 'সে মন্দিরে দেব নাই', তুমি ভালো জান ; এ শুধু অহমিকার মরিয়া প্রকাশ -- হায় রে মনুষ্য,এ কী দর্প-আস্ফালন! কর্মহীন হেথা হোথা কাঁদিছে নিরন্ন, সে সবে উপেক্ষা করি করিছ উৎসব? ভাব ভক্তি ছাড়ি শুধু মত্ত উন্মাদনা... মনুষ্যের হাতে পড়ি দেবতা বিপন্ন ! সতত জগতীতলে তিনি নিরাকার, হৃদয় দেউলে কর স্থাপনা তাঁহার।

কবি লিয়াকত শেখের কবিতা

প্রযুক্তির ব্যবহার   লিয়াকত সেখ তাং........২০,০১,২৪ বন্ধ ঘরে অন্ধ হয়ে থাকবো না আর মোরা, স্বপ্নগুলো করতে সফল চলবে ছুটে ঘোড়া । ঘরে বসেই বিশ্বটাকে যায় যে এখন জানা, প্রযুক্তির ওই পরশ পেতে নেই তো কোনো মানা । আকাশ থেকে মরুর খবর প্রযুক্তিতে বন্দী, ঘরে বসে সব জানা যায় করলে শুধু সন্ধি । জটিল হিসাব করতে এখন আর লাগে না কষ্ট, সিঁড়ি ভেঙে সরল করে হয় না সময় নষ্ট । প্রযুক্তিটা ভালো কাজে ব্যবহারে আলো, খারাপ কাজে পতন ডেকে  জগৎ আঁধার কালো ।

কবি অমল ভট্টাচার্য্যের লেখা কবিতা

Image
আকাশীর কথা অমল ভট্টাচার্য্য  -----------------------  আমার একটা ঠাম্মা আছে, আমি সারাদিন ঠাম্মার কাছেই থাকি। ঠাম্মা আমাকে কতো গল্প শোনায়, রূপকথার গল্প, রাজা রাণীর গল্প আর চোখ বড় বড় করে শোনায় ভূতের গল্প।  এই দেখো, আমার নাম বলতেই তোমাদের ভুলে গেছি, আমার নাম আকাশী, আমার মনটা আকাশের মতো বড় তো তাই আমার নাম আকাশী , এটা আমাকে ঠাম্মা বলেছে। আমি পাঁচ বছরের একটা মেয়ে, আমার দিন কাটে স্কুল করে আর ঠাম্মার কাছে গল্প শুনে। ঠাম্মার যখন রাগ হয় আমার উপর, ঠাম্মা বলে মরলে বাঁচি,  সগ্গে যেতে পারলে বেঁচে যাই। আমি ভাবি, ঠাম্মা সগ্গে কেন যেতে চায় ? সগ্গ টা কতদূর, কোথায় ? তবে আমি ঠাম্মা কে বলেছি, বড় হয়ে আমি স্মার্ট ফোন হতে চাই। ঠাম্মা বলে কেন কেন ? আমি বলি, মা বাবা দুজনেই স্মার্ট ফোনকে সাথে সাথে নিয়ে ঘোরে, যেখানেই যায় স্মার্ট ফোন নিয়ে যায়, নিয়ম করে স্মার্ট ফোনকে চার্জ দেয়, মাঝে মাঝেই স্মার্ট ফোন কে চুমুও খায়। আমি স্মার্ট ফোন হলে , মা বাবার সাথে সাথে থাকতে পারবো, মা বাবার সাথে সব জায়গাতেই যেতে পারবো, মা তো আমাকে খাইয়েও দেয় না,  মা আমাকে চুমুও খায় না । স...

কবি অরবিন্দ সরকারের কবিতা

১৮/০১/২০২৪               ত্রেতাযুগে রাম              অরবিন্দ সরকার       রাম কারো বাপের না, এই হিন্দু স্থানে, সরজু নদীর তীরে, অযোধ্যার রাজা, ন্যায়ের প্রতীক তিনি, জনগণ প্রজা, উল্লেখ পাওয়া যায়,লেখা রামায়ণে। পিতৃ আদেশ পালনে, তিনি যান বনে, এখনকার সন্তান, বাপ্ মাকে সাজা, বৃদ্ধাশ্রমে বনবাস, দুঃখ তরতাজা, কলিযুগে কেলো কীর্তি, শ্রীরাম বিহনে। রামায়ণ মহাকাব্য, বাল্মীকি রচিত, কৃত্তিবাস ওঝা তিনি, বাংলা অনুবাদে, মহান রাজা হিসেবে, তারকা খচিত, রামকে ঘিরে ভারত, জড়ায় বিবাদে। ভোটের তরণী পারে, ছুঁচোর কীর্ত্তন, সাম্প্রদায়িক শক্তির, দ্বন্দ্ব মূলধন।

কবি অনুপ কুমার জানার কবিতা

Image
মকর সংক্রান্তি  অনুপ কুমার জানা  মেঘলা আকাশ বইছে বাতাস       যবু থবু সবাই শীতে ,   সাত সকালে উঠেছে মায়েরা      সংক্রান্তির পূজো দিতে ।    লক্ষ্মী পূজো প্রতি ঘর ঘর   ‌ ‌ শিব , শীতলা মন্দিরে ;  ঘরের , বাহিরের পূজোর আয়োজন    মা-ঠাকুমার সময় নাই রে !   টগবগ্ টগবগ্ ফুটছে জল     স্নান হবে অতি প্রভাতে ,   শুভ্র শুচিতায় থাকবে সবাই    লক্ষ্মীদেবীর আরাধনাতে ।   পূজোর আয়োজন সকাল সকাল        ব্রাহ্মনের দেখা নাই ,   রয়েছে উপোস মা-বোন-ঠাকুমা        ভক্তি শ্রদ্ধায় সবাই !    শশা শাকালু আদা পাটালি       কড়াই শুঁটি আর কুল ,  কিশোর-কিশোরী যাচ্ছে সেজে        শুচিতায় সবাই আকুল !   মকর দেবে পূজোর আয়োজনে         হৃদয় খোলা সবার ,   বন্ধু প্রীতি তাই জেগেছে গভীরে     এ...

কবি দেবব্রত মাজীর কবিতা

Image
চুরি উপাখ্যান  দেবব্রত মাজী তারিখ: ১৭/১/২০২৪ অবলাকান্ত বলছে আজ                     উপাখ্যান সব যত চুরি! লাগবে তার ঘরের বাসন                    সিঁদ কেটে করলো চুরি। অনেক নামের আছে চুরি                    করছে কেউ ছুঁড়ি চুরি, ভাগিয়ে নিয়ে ঘরের বউ                    কেউ করছে বউ চুরি। মুড়ির মাসী মুড়ি রেখে                    চললো করতে চপ চুরি, সুযোগ বুঝে ভিখারী তার                    করলো সব মুড়ি চুরি। ধান কেটে গেছে চাষা                     কাছে বাড়ি খেতে মুড়ি, পাশেই ছিল কাকা নগেন                    করলো তার ধান চুরি। কিনতে গেছে দামী শাড়ি           ...

কবি শেখ আশরাফের কবিতা

Image
  আফিম   শেখ আশরাফ দুঃখের কুটিরে সুখের আবাস, সুখের বাসরে দুঃখের নির্যাস; মানুষের অন্তরে অন্য মানুষ, রাতের আঁধারে পোড়ে ফানুস।। আঁখি বোঝে আঁখির কথা, বুকের মাঝে মরণ ব্যথা; দিনের শেষে আপন দেশে, নদীর বুকে শশাঙ্ক মেশে।। অনলের মতো মনের দহন, আঁখির কোণে জমে কাঁদন; প্রভাত শেষে ঘাসের কোলে, মৃত্যুর মুখে শিশির ঢোলে। চিতার পরে সোনার কায়া, কবর মাখে বসুধা মায়া; জীবন তরী হাতড়ায় মোহনা, বাউল ফকির ছড়ায় বন্দনা। নিবিড় তিমিরে জোনাকির আসর কিশোরীর চোখে দোসরের বাসর জলন্দির বিলে ডাহুকের বিলাস, সাপের বদনে অমাবস্যার উল্লাস; সহজ সরল সাধারণ জীবন, ত্রিকালের ত্রিবেণী ঘাটে মন্থন; আদুড় শরীরে অসীম অভিযান, ধূসর উঠোনে আফিম প্রতিদান। ১৩ জানুয়ারী ২০২৪

কবি দেবব্রত মাজীর কবিতা

Image
  ফেসবুক সাহিত্য দেবব্রত মাজী ঘুম জড়ানো চোখে                 হাত খুঁজতে থাকে, মাথার কাছে ফোন                 নমস্কার করে তাকে। লিখতে হবে কবিতা                 দিতে হবে সকালবেলা, সাড়া দেবেনা কেউ                 যদি দেয় সন্ধ্যাবেলা। টিপতে থাকে দু'হাতে                 রেখে মাঝে মুঠোফোন, কেউ করেনা পছন্দ                 পরে থাকা ল্যান্ডফোন। থাকতে এমন যন্ত্র                 কাগজ কলম দূরে, দেখেনা কেউ ভুলে                 আছে টেবিলে পড়ে। কবিতা লেখা শেষ                 গরম কফি এলো, খুলে গেলো গ্রুপ                 ফেইসবুকে পোস্ট হলো। ভাবনা সব ফুটেছে          ...

কবি অনুপ কুমার জানার কবিতা

Image
বঙ্গভূমি অনুপ কুমার জানা বঙ্গভূমিতে জন্ম আমার প্রণাম জানাই এ'মাটিকে , সবুজ সতেজ ক্ষেত সমূহ সোনালী ফসল দিকে দিকে । বিদ্যাসাগরের ভূমির মাটি মহানুভবতার সাড়া জাগায় , কাঁদতো প্রাণ অপরের দুঃখে সমস্ত উজাড় দয়ায় মায়ায় । মাতঙ্গীনির বীরাঙ্গনার পরশে উজ্জ্বলতম ভারত বিপ্লবীকতায় , দেশের জন্য তাঁর আত্মত্যাগ প্রাণও বলি কি নিঃস্বার্থতায় ! ক্ষুদিরাম বসুর স্বদেশ প্রীতি স্বদেশীকতা যে হৃদয়ে জাগে  , কত অল্প বয়সে দেশপ্রেম ভাবলে আজও আবাক লাগে!  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বপ্নভূমি শান্তিনিকেতন এক নব চেতনা , বিশ্ব মাঝে ওই বিশ্বভারতী ছাতিম তলায় কত ভাবনা!  নেতাজী সুভাষের ব্রিটিশ অনিহা আই সি এস খুশিতে প্রত্যাখ্যান , গৃহবন্দি থেকে বিদেশ পাড়ি বঙ্গ ভূমিরই গর্বের সন্তান । বিবেকানন্দের প্রগাঢ় হিন্দুত্ববাদ শিকাগো সম্মেলনে উষ্ণ বাগ্মীতা , বিশ্ব দরবারে ভারতের জয়গান , তারও জননী এই বঙ্গমাতা । সি আর দাশের পবিত্র বিপ্লবীকতা নড়েছে টনক ব্রিটিশ গভর্নরের , বিনয়-বাদল-দিনেশের সাহসীকতা জাগিয়েছে দেশাত্মবোধ সর্বস্তরের । পরাধীন ভারতে ব্রিটিশ অত্যাচার প্রতিবাদ শুরু এখান থেকে , প্রদ্যোৎ ভট্টাচার্য , ...

কবি দেবব্রত মাজী মহাশয়ের কবিতা

Image
বিচিত্র সাহিত্য দেবব্রত মাজী তারিখ: ১৪/১/২০২৪ বিচিত্র সাহিত্যের সম্ভার                    উঠেছে সাজিয়ে রূপ, মাধুর্য্য পরিপূর্ন ভাষা                    যেন লাগছে অপরূপ। বদলাচ্ছে তার রঙ                   অক্ষর সোপানের খেলা, আছে গণিতের শব্দ                   ভাবছে ভবের মেলা। অতীত হয়েছে দূর                   পড়েছে রঙিন কাপড়, খড়মড় আওয়াজ তার                   লাগছে লিজ্জত পাঁপড়। সুরেলা শব্দে স্নাত                   পেয়েছে কলমের জাদু, ঘুরছে নতুন অভিধান                   যেন বিলুপ্ত ভাদু। জানেনা কেউ ভবিষ্যত                    ভরছে কত খাতা, পেকে চুল সাদা   ...

কবি লিয়াকত শেখের কবিতা

Image
ঠান্ডার জাদু লিয়াকত সেখ তাং........১৩,০১,২৪ ঠান্ডায় হাত হয়ে গেছে কাত হারিয়ে দেহের বল, কুয়াশায় ঘেরা জীবনের বেড়া নাক দিয়ে আসে জল । শীতে কেঁপে মরি হায় কি যে করি মন বলে শুয়ে থাক, রবি দিলো ফাঁকি বেলা নেই বাকি শোনো শৃগালের ডাক । সকালের চায়ে লেপ দিয়ে গায়ে ভালো লাগে দিতে চুম, তেলে ভাজা আজ খেতে নাই লাজ চোকে নিয়ে মৃদু ঘুম । এই শীতে হায় স্নান করা দায় ঢাকিতে পারিনা লাজ ডেকে বলি বধূ আজ তুমি শুধু স্নান ঘরে করো রাজ । শিকারির বেশে শীত বলে হেসে দেখো সব মোর খেলা, কুয়াশার জাদু যুবা হলো দাদু দিবসে রাতের বেলা ।

কবি অনুপ কুমার জানার কবিতা

Image
স্বাধীনতা    অনুপ কুমার জানা  মুক্তি পেয়েছি ইংরেজ শাসনের        এখনও পাইনি স্বাধীনতা ,  বঞ্চিত মোরা মৌলিক অধিকারে         মেলেনি ন্যায়ের মান্যতা ।    শাসন ছিল জোর জুলুমের          ইংরেজ শাসন কালে ,         স্বচ্ছতা তবু ছিল সর্বত্র        উন্নয়নের বেড়াজালে ।       শিক্ষা ছিল উন্নতমানের      অপেক্ষা রাখে না বলার ,    সম্মান ছিল শিক্ষিত মানুষের    ছিল না বেকারত্বের জ্বালার ।     আইন ছিল যথার্থই দেশে         হয়তো একটু কড়া ,   সবাইয়ের জন্য সমান আইন        ভাঙলে শাস্তি চড়া ।      আইন প্রকৃত ছিল বলেই      পেয়েছি আজ স্বাধীনতা ,   ছিয়াত্তর বছর মুক্ত ইংরেজ     তবুও আবদ্ধ পরাধীনতা ।  কেটেছে আজ গরিবতা দেশের     ...

কবি রাম প্রসাদ রায়ের কবিতা

  অন্তিম পরিণতি রাম প্রসাদ রায়                          "সবই তো ঠিক আছে" ....বলেছিলে তাই-ই। তবে আজ ক্রন্দনরত কেন ? প্রশ্ন করে দেখো খুঁবলে খাওয়া হৃদয়টাকে। সেখান থেকে ধেয়ে আসা উত্তর হবে একটাই, তোমার তৃষাকে জাগিয়েছিলে অনাবশ্যক উত্তুঙ্গ মাত্রায়, পরিনামে হারিয়েছো সব। "সবই তোমার করায়ত্ব" ....বলেছিলে তাই-ই। তবে আজ বিমর্ষতার সাগরে নিমজ্জিত কেন ? কড়া নেড়ে দেখো হৃদয়ের ভাঙা কপাটে, উত্তর হবে একটাই। ক্ষমতা পাওয়ার মোহে, তোমার আত্মবিশ্বাস নিয়ন্ত্রন-রেখাকে অতিক্রম করেছিলো, পরিনামে হারিয়েছো সব। "সব সুখ বৈভব তোমার ইচ্ছাধীন" ....বলেছিলে তাই-ই। তবে আজ ভুলুন্ঠিত কেন ? জিজ্ঞাসো হৃদয়ের মরচে-ধরা জানালা'টাকে। উত্তর হবে একটাই। তব দ্বারা নিস্পেষিত অজস্র মানুষের অভিসম্পাত! পরিনামে হারিয়েছো সব। এখন ক্রন্দন'ই তো তোমার এক এবং অদ্বিতীয় পাথেয়। প্রাণ-বায়ু শেষ হবার আগেই তো শেষ হয় লোভ মোহ অহঙ্কারের স্তুপ, ক্রন্দনের পিচ্ছিল পথে ধরে। লাভপুর, বীরভূম।                         ১৩/...

কবি নদেরচাঁদ হাজরার কবিতা

Image
ঠোক্কর নদেরচাঁদ হাজরা রুক্ষ বাস্তবে ঠোক্কর খাই বারবার ছেলেবেলার কল্পনা স্কুল জীবনের স্বপ্নের জাল ভবিষ্যতের পরিকল্পনা সব ভেঙে যায়৷ পড়ে থাকে শুধু ঈর্ষার কঙ্কাল দিন পার করার একান্ত তাগিদ৷ বারবার মনে হয়, সবকিছু ছেড়ে সন্ন্যাস নিতে পারলে ভালো হত৷ তাও হয়না সংসারের আষ্ঠেপৃষ্ঠে টান, দায়িত্ব      কর্তব্য            আর অন্যের মন যুগিয়ে কাটানো৷ কেউ ভালো নেই এখন তবুও ভালো থাকার নাটক চলে ঠোক্কর খেতে খেতে এগিয়ে চলে এভাবেই একদিন পৃথিবীর সব দেনা মিটিয়ে চেলে যায় অন্যলোকে৷

কবি লিয়াকত শেখের কবিতা

Image
ভালোবাসার শীতল পরশ  লিয়াকত সেখ ভালোবাসার শীতল পরশ জীবন করে ধন্য, হাজার ব্যথা সহে মানুষ ভালোবাসার জন্য । ভালোবাসার মানুষ যদি  হাতটি রাখে হাতে, ভয় লাগে না চলতে তখন আঁধার কালো রাতে । ভালোবাসায় আঘাত পেলে বাড়ে বুকে কষ্ট, সুখের আশা ভেঙে বাসা জীবন হবে নষ্ট ! টাকা দিয়ে ভালোবাসা  কেনা নাহি যাবে, ভালোবাসার বিনিময়ে  ভালোবাসা পাবে । ভালোবাসার মানুষ পেলে  স্বর্গ মাটির ঘরে, সুখের পাখি ধরা দিয়ে জীবন আলো করে ।