Posts

Showing posts from May, 2021

অনলাইনে পড়া - মনীষা ঘোষ

Image
অনলাইনে পড়া         মনীষা ঘোষ আমাদের এই শৈশবটা আসবে না আর, ভাইরাসের কারণ তরে। যাচ্ছে মুছে স্কুলের ওই গন্ডি,  এখন শুধু অনলাইনে পড়া পড়া খেলা। পরীক্ষা সব গেছে উঠে, সবাই এখন পাস ফেল হয় না কেউ আর। এখন কাঁদে বই ক্লাস রুমের ওই বেঞ্চ, এখন আর কেউ চাই না ছুটি, পড়া শোনায় দেবে না ফাঁকি। কাঁধে আমার বড্ড ব্যথা,  মুছে গেছে আজ সে সব কথা। আকাশটা আজ বড্ড ছোট্ট,  ভাইরাসের ভিড়ে। খেলার মাঠ যাচ্ছে হারিয়ে, শুধুই কি ? অট্টালিকার ভিড়ে।

ভালো থাকুক হলদে পাতারা - সৌভিক দেবনাথ

Image
ভালো থাকুক হলদে পাতারা          সৌভিক দেবনাথ চিরহরিৎ সবুজ পাতাদের ভীড়ে নুইয়ে পড়ে হলদে পাতারা, সময় হলেই ঝরবে পড়বে বার্ধক্যের সাথে। চোঁয়াল ঝুলে পড়েছে বয়সের ভাড়ে, মোটা চশমার আড়ালে চোখ দুটো আজ বড্ড ফ্যাঁকাসে, মেদহীন চামড়ার ভাঁজে ভাঁজে বার্ধক্য ঢেউ খেলে যায় আপন মনে। তারপর একদিন গাছের মায়া ছেড়ে হলদে পাতাগুলো ঝড়ে পড়ে বৃদ্ধাশ্রমের মাটিতে, পাশের সঙ্গী হলদে পাতাদের সঙ্গে সযত্নে মাটিতে হামাগুড়ি খায় হাওয়ার দোলায়, ঘুম না এলে গল্প শোনে রাজকুমারের। তারপর একদিন সময়ের ব্যবধানে মাটিতে মিশে যায়, কালো কালো অক্ষরে মাটির বুকে ছাপ যায় কিছু মমতা মাখা পিছুটান। বৃদ্ধাশ্রমের কাশফুলের মত সেই সাদা চুলগুলো আদুরে পরশে আবার সজীবতা পাক, মাটিতে ঝড়ে পড়েও ভালো থাকুক সেইসব হলদে পাতারা।

জীবন - পৌষালী সেনগুপ্ত

Image
জীবন      পৌষালী সেনগুপ্ত আমরা সকলে জীবনে, উপরে উঠতে চাই! নিজের জীবনে আমরা পাহাড়ের চূড়ায় উঠে , আমরা সেই না পাওয়া তাকে, জীবনের সেই ব্যর্থতার ব্যথা ভুলে থাকতে চাই! জীবনে আমরা সবাই এভারেস্টের চূড়ায় উঠে জীবনে শীর্ষ জায়গায়  যেতে চাই!

মাটির শহর - সৌভিক দেবনাথ

Image
মাটির শহর         সৌভিক দেবনাথ আমি হেঁটে চলেছি পিচ ঢালা সাদা কালো ফুটপাতে, দুধারে ছোট-বড় কংক্রিটের অন্ধকার শহরে। হঠাৎ পায়ের তলার ফুটপাত সুতীক্ষ্ণ চিৎকার করে ওঠে_  থামাও-আমাকে থামাও,  নইলে আমার বুক চিরে বেড়িয়ে পড়বে শত শত নরমুন্ড, শত শের ওজনের কালো চাকার ভাড় সহ্য করতে পারবে না ঘর হীনা পাখিরা। শত শত কালো কালো মুষ্টিবদ্ধ হাত_  ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দিয়েছে হাই ড্রেনের স্ল্যাবের উপর বেঁচে থাকা শুষ্ক স্বপ্নগুলো, তারপর গড়ে তুলেছে একটা অন্ধকার শহর। চাঁদের আলোয় শহরের কালো মেঘ গুলো ছুটে চলেছে রক্ত চোষার নেশায়‌। একদিন সব আলো নিভে যাবে,  থাকবে না কোন বিদীর্ণ কোলাহল,  চারিদিকে শুধু স্তব্ধতা আর স্তব্ধতা!  অবিরাম ছুটে চলা পদ যুগল, একেবারে নিস্তেজ! আর রুক্ষ শরীর গুলো পিঁপড়ের মতো নিজের কবর নিজেই খুঁড়বে। চারদিকে শুধু মাটি আর মাটি, মাটির তলায় বসে দেখবে নিজের পাপ‌।

হাইকু ১ - মনীষা ঘোষ

Image
হাইকু ১       মনীষা ঘোষ মুক্তি পাবেই একদিন সময় করোনা থেকে। 27/05/2021

সহমর্মিতা - পৌষালী সেনগুপ্ত

Image
সহমর্মিতা     পৌষালী সেনগুপ্ত মানুষ মানুষের জন্যে, নিজের সঙ্কীর্ণ মানসিকতার বেড়াজাল, নিজের হিংসের ঘেরাটোপ পেরোতে জানতে হয় ছাড়িয়ে যেতে হয়! মানুষকে সাহায্যের হাত, বাড়াতে শিখতে হয়! বিপদে আপদে একে অপরের পাশে দাঁড়াতে হয়! মানুষকে এক কথায় মানুষ হতে জানতে হয় !

অনুভূতির মৃত্যু - সাগর হালদার

Image
অনুভূতির মৃত্যু                              -সাগর হালদার                                          এক আমার দিকে ওভাবে কেন তাকিয়ে আছে মেয়েটা, ও কি আমায় চেনে? না, এসব ব‍্যাপারে নিজেকে জড়িয়ে না ফেলাই ভালো। বাইকটা স্টার্ট দিয়ে শ‍্যামল বেরিয়ে পড়লো বড় রাস্তার দিকে। আজ তার অনেক কাজ। বাজার করবে তারপর বাবার একজন বন্ধুর কাছে কাজের ব‍্যাপারে যাবে। গ্রাজুয়েট করে শ‍্যামল বসে আছে বাড়িতেই। ফার্স্টক্লাস মার্কস থাকলেও বাজারে এখন দারুণ প্রতিযোগিতা। তাই নিজের হাতখরচাটুকুর ব‍্যাবস্থা বাবা একজন বন্ধুর সাথে কথা বলে করে দিয়েছে।                                     দুই একজন সোফায় বসতে...

মরণে - মরণে = সৌমেন্দ্র দত্ত ভৌমিক

মারণে-মরণে সৌমেন্দ্র দত্ত ভৌমিক স্বজনহারাদের কান্নায় ও শোকে বাতাস ভারী। অমানবিক মুখগুলো তবুও বেড়ায় ঘুরে ছোঁয়াচে রোগ যদি তাকেও স্পর্শ করে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা শায়িত নিথর মৃতদেহ শ্মশানে যাওয়ার রাস্তা পায় না খুঁজে। এমন করুণ কাহিনী যেন ক্যানভাসে অঙ্কিত বীভৎসতায় বহাল অমানুষিক ভাবনায়। কবে শূন্যের ঘরে পালাবে এই মহামারী? কবে টানা হবে এরকম মূত্যুর দাঁড়ি? আবার গঙ্গা-যমুনায় এবং আরো নদীতে ভাসে সারি সারি লাশের ভয়াল মিছিল আর বালির চরে পোঁতা মৃতদের সারি। ওৎ পেতে অতি মুনাফার চকচকে লোভে এদিকে ব্যস্তবাগীশ অনেক অসাধু কারবারী। অসুস্থদের হয়রানি মিনারের চরম শিখরে নয়তো গতায়ুর অসম্মান প্রতি পদে পদে। মানুষ হয়ে মানুষের দুর্দশায় কেন শকুনেরা অতি তৎপর দুঃখে-কষ্টে কখনো না কেঁদে? কবে সমাজচ্যুত হবে মারণরোগ করোনা? কবে কবে স্বাভাবিক হবে যমে-মানুষে কাড়াকাড়ি? শ্রীরামপুর, হুগলী-৭১২২০১, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।

প্রতিক্ষালয় - সৌভিক দেবনাথ

Image
প্রতিক্ষালয়        সৌভিক দেবনাথ অগণিত প্রহর পরে  আসিয়াছিলে সেবার ফিরে,  নিঙরায়ে দিতে মোরে  বুকের জমানো ভালোবাসা।  আসিলে ফিরিয়া শুনিলে আমি ঘরে,  ভাবিয়াছো তবে হয়তো অভিমানে  মুখখানি রাখিয়াছি বালিশে লুকায়ে।  হেনকালে যবে প্রবেশিলে ঘরে  দেখিলে মোরে বিছানার 'পরে।  মলিন বদনে পলকহীন চক্ষে,  যেন বিস্ময়ে দেখিতেছি তোমারে।  কহিলে তবে, "কি দেখিছ অমন করে? ওঠো এবে, ছাড় মান,  খোল অধরের তালাখানি।  বল শুনি মধুর বাণী,  জুড়াই এ প্রাণ প্রিয় স্বরে।  কি হল এবে, কথা কওনা কেনো তবে?  ছাড় মান দিওনা কষ্ট প্রাণের সখীরে।  দেখ চাহি, সাজিয়াছি তোমার লাগি_  বেনারসি শাড়ি, কাঁচের চুড়ি,  সিঁথির সিঁদুর, লাল টিপ, আরও কত কি, এই দেখ চাহি!  কিগো, কথা কওনা কেনো তবে?"  এবার হৃদয়খানি উঠিবে কাঁপি,  তবে কি মোরে ধরিছে স্তব্ধতা?  ব্যাকুল হৃদয়ে যবে ছুঁইবে আমারে,  দেখিয়া শীতল দেহখানি।  বুঝিবে তখনই, মোর পরাণ গিয়াছে উড়ি,  তাইতো শূণ্য খাঁচাখানি।  যারে তুমি ডাকো, সে তো আজ নাই, ...

রবি ঠাকুর - রূপালী গোস্বামী

Image
রবি ঠাকুর          রূপালী গোস্বামী  রবীন্দ্রনাথ তুমি কি ঠাকুর,  নাকি কবি গুরু? তোমাতেই সব মেশে শেষে, শূণ্যতা মাঝেই আবার হয় শুরু।  কেন তুমি সকল ভাবনার আকর, আমার সকল কথার ভাষা? কিছু স্বাধীনতা পারতে দিতে, জানাতে মনের আশা। কেন সকল পূজার মন্ত্র তুমি,  দয়িতের আকুল আকুতি? না হয় সাধন হত ভিন্ন, থাকত অপূরণ প্রেম আহুতি।  বারো মাসের তেরো পার্বণে  কেন তোমার অনিবার বিচরণ? তোমার কি হত ক্ষতি বল, না করলে তোমার স্মরণ? সকল অনুভূতি তোমার করলিত  আসন সবার হৃদমাঝারে,  যদি বল শুধু একবার রচনায় করে স্নান, বেড়াব সাঁতরে। সন্ধ্যার মেঘমালা তুমি,  নিভূত প্রাণের দেবতা  তোমার আশীষ চাই কবি গুরু  ঘোঁচাতে মলিন মনের ভীরুতা,  পরাণ সখা থেকো সাথে, স্মরি যেন তোমায় স্বয়নে,স্বপনে। । 9/5/2021

ঝড়- পৌষালী সেনগুপ্ত

Image
ঝড়        পৌষালী সেনগুপ্ত ঝড় উঠেছে! ঝড় উঠেছে প্রকৃতির কোলে! তান্ডব সমুদ্রের মাঝে! ভেঙে গুঁড়িয়ে দেবে আজ, সবকিছু যা প্রিয়! ভাঙবে সব নদীর পাড়, ভাঙে গরিবের ঘরের দেয়াল! নদীর স্রোত আজ করবে কামাল! ঘরে ঘরে জ্বলছে মোমবাতি! পড়ুয়ারা আজ বেহাল! আকাশে আজ তান্ডব, হৃদয় মাঝে বাজছে ধ্বংসের খেয়াল! গরিবের আশ্রয় আজ ত্রাণ শিবির, কাটছে না ভয়ের রাত! ঝড় নিয়ে গেল সুখের চাদর করে গেল বেহাল ৷

বেরঙিন কাটাকুটি - মৈনাক দাস

Image
বেরঙিন কাটাকুটি             মৈনাক দাস কবিতা তোমায় শোনাবো বলেই খাতা কলমে বেরঙিন কাটাকুটি । হিসেবে তোমার প্রেমের কৌতুহল মাপকাঠিতে দোষের পরিহাস । জাদুকাঠির আলতো ছোঁয়ায়  গগন চুম্বি সাগরের হাতছানি । তীব্র কন্ঠে রহস্যের আবরণে তোমায় খোঁজার সাধ্য নেই । বর্বর হয়েছি বারংবার জেনেও চা কফিতে নস্টালজিকের ছোঁয়া । দৃঢ় বিশ্বাস আর প্রতিজ্ঞার ভীড়ে  অহেতুক কিছু মেকি হাসি ঠোঁটে । চেনা অচেনা জাতিস্মরের সম্মুখে  ইতিহাস কতো রয়েছে লেখা । দুমুঠো প্রেমের তর্জনীতে -  বুনেছি সুখ অন্তরালে । বাক্সবন্দী ক্যাবিনেটের ভিতর  জমা থাক লুপ্ত সৌরভের ঠিকানা । তোমাকে দেওয়া চিঠির কাগজেই  বন্ধ হোক মেলামেশা ।

বিদ্রোহী কবি - পৌষালী সেনগুপ্ত

Image
বিদ্রোহী কবি        পৌষালী সেনগুপ্ত      তুমি জন্মেছিলে চুচুড়ার পরিবারে , তুমি জন্মেছিল বাংলার দুর্দিনে! তুমি বিদ্রোহী তোমার কলমের জোরে, তুমি লিখেছো নানা সাহিত্যের মালা , তুমি সাহিত্যের দরবারে, নিজেকে করেছ প্রতিষ্ঠিত! তুমি কালজয়ী রচয়িতা, নতুনের গান,অগ্নিবীণা,ধূমকেতু, তোমার একের পর এক রচনা দিয়ে সাহিত্যের জগৎ কে করে তুলেছো তুমি অনন্য! তুমি একাধারে লেখক,গানের সৃষ্টিকর্তা, পদ্ম ভূষণে ভূষিত তুমি, তুমি সেই নক্ষত্র  যে আজও সাহিত্যের আকাশে বিদ্যমান!

তুমি বিদ্রোহী নজরুল ইসলাম - মামুধ আনসারী

Image
তুমি বিদ্রোহী নজরুল ইসলাম        মামুধ আনসারী বিদ্রোহের সুরে বাঁধিলে তুমি সাম্যবাদের গান,  লহ প্রণাম তুমি মোদের বিদ্রোহী কবি  কাজী নজরুল ইসলাম। যেখানেই অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার, অসাম্য—সেখানে উচ্চারিত হয় জাতীয় কবির নাম। সব ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে গাহিলে তুমি মানবতার জয়গান। হে জাগরণ ও যৌবনের কবি তুমি ব্রিটিশের কারাগারে নিক্ষিপ্ত হইয়া বারংবার  তবু থামেনি তোমার বিদ্রোহীর গান। চুরুলিয়ার বীর সন্তান, হে কবি তুমি বিপ্লবী, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অন্যতম প্রাণপুরুষ। তোমার লেখনী আজও রয়েছে ক্ষিপ্ত তুমি বিপ্লবী- সাম্যবাদী, তুমি বিদ্রোহী নজরুল ইসলাম।

প্রণমী নজরুল - রূপালী গোস্বামী

Image
প্রণমী নজরুল         রূপালী গোস্বামী তেরোশো ছয়ের এগারোই জ্যৈষ্ঠ চুরুলিয়া গ্রাম আলো করে এক - নবজাতক হল ভূমিষ্ঠ। সেদিন কেউ বাজায়নি কোন শঙ্খ, শোনা যায় নি কোন আজান। গরীবের ঘরে জন্ম তাঁর, দুখু ছিলেন গরীবের জান - প্রাণ। বহু বাঁধা  অতিক্রম করেছেন গর্ব আর গৌরবের সাথে। সারাটা জীবন কাটিয়েছেন কষ্টে, বহু ঘাত - প্রতিঘাতে। "সঞ্চয়িতা, বিষের বাঁশি, সর্বহারা , কাণ্ডারী হুশিয়ার", সাহিত্য ,সঙ্গীতে তার অবদান কত বলবো আর। সবার মনের মাঝেই আছেন তিনি, তাতে নেই কোন ভূল। তিনি আর কেউ নন, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল।। রচনা কাল : 24/5/2021

মনখারাপ- পৌষালী সেনগুপ্ত

Image
মনখারাপ পৌষালী সেনগুপ্ত মনখারাপের দিনগুলো উতলা করে যায়, এতদিনের অভিমানগুলো মনের কোণে ভিড় করে আসে, বলে কত কথা, না বলা কথাই তোলে, মনের ভিতরে ঝড়, যা মনের ভিতর জমে থাকা, কান্নাগুলো মনের দরজায়  টোকা দিয়ে যায়!

আতঙ্কে থেকে - মনোজ কুমার রথ

Image
আতঙ্কে থেকে    মনোজ কুমার রথ    দূরত্বরা আজকে জরুরি ভীষণ,   কাছাকাছি এখন আসাটা অন্যায়;   জীবাণু থেকে রক্ষা পাওয়া মিশন,   কাছে আসি না কেউ আসে না। হায়!    মুখ ঢাকানো মহা এক কর্তব্য,   নইলে বিপদ রক্ষা নেইকো কারও;   সভা বাতিল জমায়েত ও বক্তব্য,   লৌকিকতার অনুষ্ঠানও ছাড়ো।   হাত ধুয়ে নাও যত ইচ্ছে পারো,   নাকে মুখে একবারও হাত নয়;   নইলে কিন্তু রক্ষে নেইকো কারও,   আয়ুর হবে এক্কেবারেই ক্ষয়।   থাকতে সুস্হ রাখতেও অন্যজনে,   দূরত্ববিধি অবশ্যই পালনীয়;   এসো সবাই থাকি সচেতনে,   স্যানিটাইজ বারে বারে করে নিও।   প্রাণবায়ু কই কোথায় প্রাণের বায়়ু,    সিলিন্ডার নাই কিংবা পুরোই ফাঁকা!   গাছেদের যখন হরণ করো আয়ু,   এ'সব কথা মনে থাকে না কাকা?     আজকে যখন শ্বাসের কষ্ট প্রবল,    বার্তা পাঠাও কিংবা হত্যে দাও;    ফোনের পর ফোন করে যাও কেবল;    জ্বলছে চিতা অবিরাম দাউ দাউ!    বিশ্ব যখন সেঁধিয়ে গ্যাছে গুহায়,    ভোটপাখিরা কোথায় যেন...

শিক্ষার্থী - সোমা বিশ্বাস

Image
শিক্ষাত্রী           সোমা বিশ্বাস আমি অজ্ঞ, শিক্ষা গ্রহণ করতে চাই । চারিদিকে দেখি শুধু অজ্ঞানতার খাঁই । শিক্ষা জ্ঞানের আলো, অজ্ঞানতা কালো, শিক্ষার আলো সর্বত্র ছড়াতে চাই । কিন্তু আমি মূর্খ, শিক্ষা পাবো কোথায় ? সেই আশাতে পা ফেলেছি চোখ চাইছে যেথায়  মানুষ বড় হিংস্র, নিজেও সে নিঃস্ব, স্বার্ধান্ধতা অভিযোজন - বাঁচার প্রথম উপায় । প্রকৃতি বললো, "জ্ঞান লাভ করবে তুমি এসো ।" মেঘ বললো, "পরিস্থিতির সাথে তুমি ভাসো ।" মনটা হোক আকাশ ছড়াও প্রেমের সুবাস বাতাস বললো, "অক্সিজেন হয়ে সর্বজনে মেশো ।" পাহাড় বললো, "ইচ্ছাগুলো সুবিশাল হোক ।" সূর্য বললো, "ন্যায়ের আলোয় খোলো তোমার চোখ । হিংসাকে ডেকো না আঁধারকে মেখো না, জেনে রেখো, দিন সুখ, রাত হলো শোক ।" গাছ বললো, "আমিও প্রাণ, আমাকে মেরো না প্রাণে, গাছ লাগালে ভালো থাকবে, তুমিও বাঁচবে জানে । সাগরের মত হও দানী জলকে আমরা সরল মানি বিশ্বাস করো কেবল নিজের চোখ আর কানে ।" ঝর্ণা বলে, "হাসতে শেখো হৃদয় উজার করে ।" জোৎস্না বলে, "গুণগুলো পড়ুক তোমার ঝরে । বাবা-মাকে ভালোবেসো দুঃখ ভুলেও মিষ্টি হেসো জীবিত ঈশ্বর...

জীবন - পৌষালী সেনগুপ্ত

Image
জীবন      পৌষালী সেনগুপ্ত জীবনের মায়া বড় মায়া! জীবনে কেউই কারুর নয়, অনেকটাই অভিনয় আর স্বার্থ সিদ্ধির জয়, জীবনে অনেক কিছুর সাথে জড়িয়ে , পড়াটা মায়ার খেলা! যদিও এই মায়া থাকে জীবন ভর, মায়ার ঘোরে থাকে মানুষ সারাজীবন ৷ কত টান,কত সম্পৰ্ক, কত মায়া, কত অভিনয়  কেটে যায় জীবনটা  মিথ্যে থেকে যায় সত্যিটা ৷

আলোর দিশা - মনীষা ঘোষ

Image
আলোর দিশা           মনীষা ঘোষ হারিয়ে গেছে আমার মাতৃভূমির আলোর দিশা, হেথায় খুঁজি হোথায় খুঁজি সারা বিশ্ব জুড়ে। হাত দিও না আমার শরীর, মরণব্যাধি রোগ যে, বললো কেঁদে বিশ্ব জননী! কোন দেশেতে আছে আলো,  কোথায় গেলে পাবো বলো। কার কাছে তে করবো বলো এই মিনতি, আজ- কে দেখাবে আলোর দিশা। মরণব্যাধি এই রোগ যে সারা বিশ্ব জুড়ে দিয়েছে হানা, মৃত্যুর মিছিলে শুধুই কান্নার হাহাকার। মুছে গেছে আলো আজ, অন্ধকারের কালো মেঘে। তোমরা সবাই মিলে খুঁজে আনও, ওই আলোর দিশা ওই আলোর দিশা।

প্রেমালাপ - মুহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন।

Image
প্রেমালাপ           মুহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন। আমায় ছেড়ে তুমি দূরে, কষ্ট অশেষ বুকে, কথাকলি ভেবে তোমায় আছি অনেক দুঃখে?  কষ্ট হলেও থাকো সখি লাগছে বুঝি একা, ভাবো যখন বন্ধ চোখে পাবে আমার দেখা। রাগো যদি আমার উপর বলো মনের কথা, ভালোবাসার ঝগড়া সুখে, মিটিয়ে দিব ব্যথা। ভালোবেসে রাখবো বুকে, ভরসা করো আমায়, জীবন দিয়ে রাখবো সুখে, জীবন সখী তোমায়। তোমায় নিয়ে স্বপ্ন হাজার, বুনছি দিনে রাতে। তুমি আসলে পূর্ণ হবে, স্বপ্ন সাধ যে তাতে। কত কথা বলছি তোমায় শুনতে যদি ক্ষণে, চুপটি করে আছো কেনো রেখো আমায় মনে। আমার ভাষা বুঝলে পরে, করবে আমার আশা, যখন আমি থাকবো না আর রইবে ভালোবাসা।

ছেলে বাছাই পর্ব - পৌষালী সেনগুপ্ত

Image
ছেলে বাছাই পর্ব         পৌষালী সেনগুপ্ত চলছে খোঁজা! চলছে! ছেলে খোঁজা  চলছে! কেউ হাই স্যালারি! কারুর হিংসে মোড়া স্বভাব! কারুর পয়সার দিকে টান! কারুর পে পেকেজ জানা চাই! একটা মেয়ে যে টাকা রোজগারের মেশিন সেটা আগের থেকে জানা ছিল না ! সেটাও গেল জানা! শেষে জুটলো বর, হলো ঘর, সাজানো তার সংসার! হরেক রকম পে পেকেজে, হরেক রকম ছেলে বিভিন্ন রকমের চাহিদা, সহজ সরল গঙ্গারাম পেয়ে গলে গেল তার মন! বাজলো সানাই, যখন হলো শুভক্ষন!

ঝন্টু গানওয়ালা - সাগর হালদার

Image
ঝন্টু গানওয়ালা         -সাগর হালদার সময়টা বৈশাখ মাস। গুমোট একটা ভাব থাকলেও অকাল বর্ষণের জেরে সেই অসহনীয় গরমটুকু নেই। এখন একপাল কালো মেঘ এসে দিনকে অন্ধকার করে আনে যখন তখন। 'ঠান্ডা ঠান্ডা পানি সে নাহানা চাইয়ে'-এর জায়গায় 'টিপ টিপ বরষা পানি' গান ভেসে আসছে বাথরুম থেকে। ও হল ছোট্ট ঝন্টু, বয়স নয়-দশ বৎসর। চান করার সময় মাথায় জল পড়লে সবাই একটু গেয়েই ওঠে, তার জন‍্য গান জানা লাগে না, যাকে বলে বাথরুম সিঙ্গার। সুর-তাল-লয় সব ঠিকরে বেরিয়ে বেসুরো আওয়াজ এসে লাগে বাইরের লোকের কানে। না...না...ঝন্টু সেরকম গায় না, গলা খুব সুন্দর, খালি গলাতেই বাজিমাত করে দিতে পারে। সেই গল্পতেই আসবো, ছোট্ট ঝন্টুর পাড়ার সন্মান বাঁচানোর কাহিনী এই গলা দিয়েই।                         এক ছোট্ট ঝন্টু পাড়ার খুব আদরের, পড়াশোনাতেও ভালো, ক্লাস ফোরে পড়ে, বুদ্ধিও খুব ঘষামাজা। গলার জন‍্য পাড়ায় বেশ নামডাক, এই তো সেদিনই... পাড়ার '২৫ শে বৈশাখ' অনুষ্ঠানে গানের প্রতিযোগিতায় রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে প্রথম পুর...

মনে পড়ে - সৌমিত্র মুখার্জি

Image
  মনে পড়ে       সৌমিত্র মুখার্জী মনে পড়ে সে রাতের লুকোচুরি খেলা।  দুটি মন পুড়ে ছিলো জোনাকির গায়ে,  দুটি ঠোঁট ছিলো কাছাকাছি,  গোলাপের বুকে  নীরবে নিভৃতে...   হাতে হাত ছিলো ওগো চোখে চোখে আঁকিবুকি খেলা,  দেহে দেহে কতো প্রেমালাপ!  সব কিছু মনে পড়ে আজ।  তবু কেন চলে গেলে ছেড়ে?  কথা দিয়ে আলেয়ার ঘরে।  ওগো সখী মিছে কথা দিলে আকাশের গায়ে, জোৎস্নার হাটে।  আঘাতের ঢেউ ভেঙেছে বুক চেনা বিশ্বাসের ভেজা চাদরে।  যেই বাসরের তারারা গেছে নিভে স্মৃতি গুলো বন্দী আছে নরম পাঁকে।  বেদনার শেষ তরী এঁকে চলি বুকে,  আহত ঘুঘুর মতো থাকি শুধু পড়ে।

বাতাস চোর - সোমা বিশ্বাস

Image
বাতাস চোর          সোমা বিশ্বাস যদি বাতাস চোর এসে কোনোদিন তার      ছিপ দিয়ে বাতাসকে ধরে           তার ঝুলিতে পুরে                চলে যায় কোনও অচিনপুরে, তাহলে ভেবে দেখেছো কী        কী হতে পারে এই পৃথিবীর,               গাছ-পালা, পশু-পাখি, প্রাণীর?                    যদি না ভেবে থাকো, ভাবো... যদি কখনো বাতাস চোরের প্রেমে পড়ে       গাছগুলো আত্মহত্যা করে             ভেবে দেখেছো কী                    মানুষগুলো বাঁচবে কী করে? যদি কখনো এমন হয়,      বাতাস চোর বেছে বেছে অক্সিজেন নেয়            পরিবর্তে দেয় শুধু কার্বন-ডাই-অক্সাইড                   তুমি কি নেবে বলো, অক্সিজেন মাস্ক? কতদিন? কতদিন? আর ক...

অন্য পৃথিবী - পৌলমী দত্ত (রাজকন্যা)

Image
অন্য পৃথিবী           পৌলমী দত্ত (রাজকন্যা) :- আমায় ভালোবাসবে পৃথ্বিশ? :- দেখো কৌটিল্যা তুমি আমি আলাদা দুই পথের পথিক, আমাদের জীবন দুই সমান্তরাল সরলরেখায় চললেও আমরা কোনোদিনই এক হতে পারব না।  :- কেন পৃথ্বিশ? কেন বলছ এভাবে? :- দেখ কৌটিল্যা, তুমি আমায় চেনো না সম্পূর্ণভাবে, তাই আমার সাথে এক হতে চাইছ!  :- আমি জানতে চাই তোমায় পৃথ্বিশ সম্পূর্ণভাবে, বলো আমায়!  :- বেশ্ শোনো তবে আমার অতীত! যদি তারপরও আমার সাথে একাত্ম হওয়ার কথা বলো, তখন মেনে নেব। :- বেশ, ঠিক আছে। :- আমি ছিলাম বাংলাদেশের ফরিদপুরের ছেলে, খুব গরিব পরিবারের একমাত্র ভরসাস্থল। মাত্র ১০বছর বয়সে বাবা মারা যান, কলেরায়। পরিবারে তখন আমি আমার তিন বছরের ছোটো এক ভাই আর মা। পড়াশোনা আর হল না, রাজমিস্ত্রির কাজে যোগ দিলাম। কোনোরকমে সংসারটা চলে যাচ্ছিল। এমনই একদিন একজনের কাছে খবর পেলাম বিদেশে কাজের জন্য লোক নিচ্ছে, সেখানেই থাকতে হবে বাড়িতে মাসে মাসে টাকা পাঠাতে পারবো। তাই আর চিন্তা- ভাবনা করার সময় পাইনি, চলে এসেছিলাম। এই অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা না ভেবেই পা বাড়িয়েছিলাম এই বিদেশের মাটিতে। তখন জানতাম ন...

লকডাউন - সমীর কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়

লকডাউন       সমীর কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়  সাতটা থেকে দশটা খোলা দোকান বাজার এলোমেলো মাথাটা সমস‍্যা যে হাজার দশটা থেকে দুটো ব‍্যাঙ্কে বাঁধি খুঁটো দুটোর পরে মিষ্টির ঘরে তারপর ফেরার পথে ওষুধ হাতে জমা হই বন্দীঘরে হাওয়া দিঈ হাঁপড়ে।।

কবিতায় কি লিখি তোমাই - অভিজিৎ হালদার

কবিতায় কি লিখি তোমাই         অভিজিৎ হালদার কি লিখি কবিতায় তোমাই মন বলেনা লিখতে কিছু শুধু মরি আমি সাহিত্যর ভাষাতে মন বলেনা তোমারে দেখতে তবু কেন চোখের কোণে জল ঝরে। আজ এক নাম না জানা কোনো এক কবিতা খুঁজতে চাই তোমারি হৃদয় তোমার মনের সঙ্গি হয়ে ডুব দেবো প্রেমের সাগরে। আকাশ যখন তোমার চোখে ভালোবাসা তখন তারার দেশে মেঘ হয়ে জমে থাকা রাগ বৃষ্টি এসে ঝরিয়ে দেয় অনুভব। তোমারে না পাওয়ায় বাসনা তিলে তিলে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয় আমারে বিস্ময়ের এক উদাসীন রাতে কষ্টের ঝোড়ো বাতাস প্রশ্ন লিখে যায় আমার কাছে; জেগে আছে শুধু কবিতার পাতা উত্তর দিয়ে যায় কিছু ভালোবাসাতে। নিভে যাওয়া কত আলো টেনে দেয় অন্ধকারের রেখা, নিরাশার বেদনার স্রোত জীবনকে নিয়ে যায় কেড়ে।।

ছদ্মবেশী মায়াজাল - পর্ণা বিশ্বাস

Image
ছদ্মবেশী মায়াজাল            পর্ণা বিশ্বাস         আজ না হয় ২০১২ সালের একটা ছোট্ট গল্প বলি তখন আমার বয়স ১৮ , উচ্চমাধ্যমিক দিয়ে দিয়েছি । পড়ার ইচ্ছা ছিল আইন নিয়ে । আমার বাবা একজন নামি উকিল । তাই বাবার সাথে বাবার চেম্বারে যাচ্ছিলাম ১ মাস ধরে । হঠাৎ এক সোমবার বাবার সাথে তার পূর্ব পরিচিত একজন পুলিশ আঙ্কেল দেখা করতে আসেন । তিনি একটা অদ্ভুত কেস নিয়ে আসেন বাবার কাছে । তিনি বলেন , " ওই পরিতোষ , শোন না , তোর কাছে একটা জটিল কেস নিয়ে এসেছি । মামলাটা মাল্টিপল ডিসঅর্ডার - এর । যার এই রোগ তার নাম রঞ্জন । রঞ্জন নাকি তার প্রেমিকা কে খুন করেছে । রঞ্জনের তার প্রেমিকা ছাড়া কেউ ছিল না । ওর মা তো জন্মের ১০ বছর পরেই মারা যায় আর ওর বাবা ৫ বছর আগে মারা যায় । শুধু ওর প্রেমিকা রাগিনী ছিল ওর সম্বল । তাকে ও যে মেরে ফেলবে এটা আমি মানতে পারি না রে পরিতোষ । আমি তোকে পার্সোনালি রিকুয়েস্ট করছি কেসটা তুই দেখ । যদি রঞ্জন নির্দোষ হয় তাহলে ও যেন ছাড়া পায় । "  সব শুনে আমার বাবা বললেন " বুঝলাম পুরো ঘটনা । আচ্ছা আমি নিলাম কেস টা । কিন্তু তার জন্য তো আমায় ক...

ফেলে আসা কিছু স্মৃতি - অর্পিতা দে (কলকাতা)

Image
ফেলে আসা কিছু স্মৃতি       অর্পিতা দে (কলকাতা)  দীর্ঘ ৫টা বছর হয়ে গেলো আমরা উভয়ের প্রাক্তন হয়েছি....স্বাভাবিক ভাবেই  কিছু স্মৃতিচিহ্ন উভয়ের কাছেই রয়ে গেছে যা আর ফেরত দেওয়া হয়ে ওঠেনি.... তেমনি আজ আমার ঘরের বইয়ের সেলফটা পরিষ্কার করতে গিয়ে হঠাৎই খুব যত্নে রাখা লাল কাপড়ে মোড়া একটা ডাইরি পেলাম...কৌতূহলী হয়েই খুলে দেখলাম ডাইরিটা...শুধুমাত্র কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই হাজারও স্মৃতি ভীড় করে এলো আমার চারদিক... প্রথম পাতায় প্রথম স্মৃতি একটা *গোলাপ*(একদমই ধূসর হয়ে যাওয়া) সাথে একটা স্বাক্ষর...স্বাক্ষরটি গন্ধ কালিতে লেখা হলেও, সেই কালির গন্ধ আজ হারিয়েছে তোর সাথেই...ডাইরির প্রতিটা পৃষ্ঠাই স্মৃতি বিজরিত😌...জীবনের অনেকটা সময় একসাথে কাটিয়ে আজ আমরা এই জায়গায়, যেখানে একে-অপরের ফোন নম্বর থাকলেও তা ডায়াল করা মানা☎️❌....          একসময় ডাইরি লিখতে খুবই ভালোবাসতাম। এখন সময়ের অভাব এবং কাজের চাপে খুব একটা লেখা হয়ে ওঠে না....তাই আজ পুরোনো ডাইরিগুলোকেই আঁকড়ে রেখেছি সাথে তোর দেওয়া সেই ডাইরিটাও📕...তোর আমায় ছেড়ে যাওয়ার কারণটা অজানা হলেও তো...

হারিয়ে যাওয়ার অসুখ - সৌরভ দে

Image
হারিয়ে যাওয়ার অসুখ         সৌরভ দে (শিলচর)  আমার আমিকে হারাতে বসেছি স্বপ্ন যাচ্ছে ফুরিয়ে নিভু নিভু জ্বলছে প্রদীপ জীবনের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে। কবিতা লেখার ডায়েরি হারিয়েছি গাইতে ভুলেছি গান, বেচেঁ আছি শুধু এটুকুই সার আসলে ভিতরে নিষ্প্রাণ। চোখেতে পরেছে ছানি আমার চশমা চোখে দেখছি তোমার, হাসি মাখা রাঙা মুখ, বুড়ো হয়েছি, তাই হয়েছে বুঝি হারিয়ে যাওয়ার অসুখ। হারিয়ে গেছে পুরোনো দিনগুলো স্মৃতি হয়ে গেঁথে আছে মনে, হারিয়ে যাওয়া সুখগুলোকে আজ আগলে রেখেছি মনে। হারিয়ে গেছে প্রাণের বন্ধু হারিয়েছি আপন জন, যাকে ভালোবেসে হারিয়েছিলাম যৌবনে আমার মন। হারিয়ে যাওয়া গানগুলো আজ প্রাণে দেয় সুখের দোলা, বন্দী দেওয়ালের মনের কোঠরে  দখিনের জানালা খোলা। হারিয়ে যাওয়া জীবনটাকে পাবো কি নতুন করে? পেলে একবার, হারাতাম আবার সেই চির চেনা সুরে।

মৃত্যুঞ্জয় - বিষ্ণুপদ বিশ্বাস

  মৃত্যুঞ্জয়             বিষ্ণুপদ বিশ্বাস  তিলোত্তমার সদ্য  কিশোর  মৃত্যুঞ্জয়ের বাবা, ভোটে গিয়ে ফিরলো ঘরে খেয়ে মারণ থাবা!  ভোরে শুরু গতর  ব্যথা  কাহিল  হলো জ্বরে, বিনা মেঘে  বজ্র  হঠাৎ পড়লো মাথার 'পরে!  কাশির সঙ্গে তাজা রক্ত পড়লো কাড়ি কাড়ি,  একলা  পুরুষ  পরিবারে  মরলো  ভয়ে নারী! ঘোর বিপদে মানুষ কোথা খুঁজে পাবে খাঁটি ?  হঠাৎ যেনো সরে গেলো পায়ের তলার মাটি! পরিচিত কয়েকজনকে লাগিয়ে তার কাজে, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে খবর পেলো বাজে! হৃদয় যেনো থমকে গেলো খবর শুনার সাথে, হাজার চেষ্টা করেও আর ঘুম এলো না রাতে! বেড খালি নাই কোথাও হায় চেষ্টা হলো বৃথা, সাধারণ এক  গৃহবধূ  কে  শুনবে  তার কথা! বুঝতে পারে পাকিয়ে যায় পেটের নাড়ি দলা, ভাবতে থাকে দুখের  খবর কাকে যাবে বলা! মনে পড়ে পাশের  ফ্ল্যাটে থাকে সেলেব দিদি, বলে  কয়ে  একটা  কিছু  করতে  পারে যদি!  কুয়োয় পড়া একলা  নারীর কান্নাকাটি শুনে, দিদি এলো এগিয়ে  তার  মহৎ  স্বভাব গ...

উলঙ্গ জনপদ - উদ্দীপক গঙ্গোপাধ্যায়

উলঙ্গ জনপদ     উদ্দীপক গঙ্গোপাধ্যায় এখনো আছি, তবুও আছি যদিও মুহূর্ত মগ্ন-নীল আকাশ,  যদিও চেতনার অন্ধকারে অন্তহীন শূন্যতার ঢেউ চরাচরে মৃত্যুর মত অপরিমিত চোখের জলে। সমাধান খোঁজে নির্বোধ পান্ডিত্য আনাচে কানাচে লুটেরা, শবাধার নীলবর্ণ উদ্বিগ্ন প্রহর জাগে আস্থাহীন বাসহীন মানবতাহীন সততায় একাকার নদীকূল। দর্শনিক শকুনের সবিনয় নিবেদন গভীর অসুখ শস্যক্ষেত, জলের শব্দে, মুখোশের আড়ালে আদিগন্ত নিরাপদ, চুপিসারে হাজার শবের ভীড়ে এ কোন উলঙ্গ জনপদ।           

কন্যা সন্তান - মৌমিতা শী

Image
কন্যাসন্তান মৌমিতা শী  সমাজ যতই এগিয়ে যাক, আধুনিকতা যতই ঘিরে ধরুক, এখনও সেই বিভেদটা মুছে যায়নি। দশমাস দশদিন গর্ভে ধারণ করে যে  পুত্র সন্তানের জন্ম দেন সেই কিন্তু কারোর কন্যাসন্তান রূপেই ভূমিষ্ট হয়েছিলেন পৃথিবীতে শুধু সময়ের পার্থক্য, তাহলে এখনও এই ভেদাভেদ কেন? এখনও শিক্ষিত সমাজের চোখে মেয়ে মানে কোথাও একটা খুঁতখুঁতে ভাব থেকেই যায়,একে তো শৈশব থেকে কৈশোর বয়সে পা দেওয়া মানেই কিছু বাধ্যবাধকতা এসে যায়, শারীরিক পরিবর্তন হতে হতে চারদিক  থেকে বাঁধনে বেঁধে রাখতে চায় আত্মীয় স্বজন পাড়াপড়শি। তারপর আস্তে আস্তে যৌবনে পা দিলেই দৃষ্টির ধরনটা অনেকটা আলাদা হতে থাকে আদৌ পড়াশোনা করছে নাকি তার নামে ধরাছোঁয়ার বাইরে গিয়ে লোকদেখানো হচ্ছে?আরে একটা  পুরুষমানুষের  সম্পূর্ণতা পেতে যেমন অর্ধাঙ্গিনী প্রয়োজন তেমন মেয়েদেরও পুরুষমানুষের সাহচর্য দরকার।এই কথাটা হয়ত বুঝতে বুঝতে যুগযুগধরে অনেক মেয়েকেই বহু কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে এখন ও হচ্ছে। বলি এক হাতে তো তালিবাজে না আর একজনম পূর্ণতা ও পায়না একে অপরকে ছাড়া। তাহলে বোধ হয় পারস্পরিক গুরুত্ব টা একটু বোঝা উচিত। সমীকরণের দুই দিকে সমঝোতা ...

তুমি - পৌষালী সেনগুপ্ত

Image
তুমি পৌষালী সেনগুপ্ত তুমি হলে তুমি! তুমি সত্যি আমার জীবনের অনেকটা! তুমি আমার জীবনের কান্ডারি, কিন্তু তোমার থাকাটা যতটাই গুরুত্বপূর্ণ ততটাই জটিল! তুমি আমার সাথে থাকলেও সেই থাকাটা আমাকে ক্ষতবিক্ষত করে অহরহ! তোমাকে ভালোবাসেও বুঝে উঠতে পারিনা আমি, না থাকাটা আরো বেদনাদায়ক! তোমাকে ছাড়া জীবনের পথ চলা আরো কঠিন! ক্ষতবিক্ষত হয় তোমার অনুপস্থিতিতে আমার মন! তোমার সঙ্গটা পেটের খিদের থেকেও স্পষ্ট! খাবার ছাড়া কিছুদিন মানুষ বাঁচে কিন্তু তুমি আমার জীবনের অক্সিজেন তোমাকে ছাড়া বাঁচতে আমি পারবো না কোনদিন! তোমার থাকার আর না থাকার সেই পার্থক্যটা বুঝি আমি! কারণ তোমার অস্তিত্ব পেটের খিদের মতো তাড়া করে বেড়ায় আমায় অহরহ! তোমার থাকাটা আমার অস্তিত্বের যেন একটা অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ!

ফাঁকা কাগজ - জিসা জানা

Image
ফাঁকা কাগজ  জিসা জানা ফাঁকা কাগজের ন্যায় আমার জীবন, নেই কোনো বিষয় এটির সম্পর্কে লেখার মত। দেখানোর মত নেই কোন অর্জন, নেই কোন কিছু ভালোবাসার কিংবা প্রশংসা করার মত। এটি কেবল অসীম সংগ্রাম এবং অপমানে পূর্ণ, নেই এর কোন দৃশ্যমান প্রান্ত। এটি কেবল নিয়মিত অপব্যবহার, তোমার পিছনে সবাই, যে কোন যুক্তি ছাড়াই, যা করে প্রতিনিয়ত, অদূর ভবিষ্যতেও যার নেই কোন অন্ত।

আমি কি ছন্দ রাজা - অশোক কুমার ঠাকুর

আমি কি ছন্দরাজা? অশোক কুমার ঠাকুর লোকে বলে 'ছন্দরাজ' ছন্দ গড়াই আমার কাজ তাই বলে কি ছন্দরাজ! ছিঃ ছিঃ ছিঃ বিষম লাজ! ছন্দ আমি গড়ি বটে দৃশ্যত যা ধরি ঘটে পাহাড় বন নদী তটে ছন্দ আঁকা আকাশ পটে। জগৎটা এক ছন্দ-ছড়া রূপ-রস-গন্ধ, ভরা শব্দ-বর্ণ ছন্দ গড়া এই তো আমার বিশ্বধরা বাতাস পাখি ছন্দ ছড়ায় শিশির-ছন্দ ভোরের ধরায় ঝর্ণা জলে ছন্দ গড়ায় পাতায় পাতায় ছন্দ জড়ায় ছন্দ ধরাই আমার কাজ তাই কি আমি 'ছন্দরাজ'! বলছে অনেক লেখক আজ ছান্দসিক ও ছন্দবাজ।