Posts

Showing posts from December, 2020

ঘোমটা - সোমা বিশ্বাস

Image
 'ঘোমটা'  সোমা বিশ্বাস ঘোমটা ঢাকা নতুন কনে          লক্ষ্মীমন্ত বৌ, সারাক্ষণই 'ঘোমটা ঢাকা          মুখ দেখেনি কেউ । ট্যাপার ছেলে খ্যাপার গিন্নি          ক্ষ্যান্তো বুড়ির নাতনি বিন্নি, মিষ্টি কথায় মন ভোলায়,          রান্নাঘরে খুন্তি নাড়ায় । কাজ করে বেশ, রাঁধে ভালো,          ঘরে যেন জ্বলছে আলো । লক্ষ্মীবধূর নাম ছড়ালো          দশপাড়াতে দেখতে এলো । " শুনেছি খ্যাপা তোর বৌটা          কখনো দেয় না মুখ ঝামটা, লক্ষ্মীমন্ত বৌটা খাসা         আলো করেছে তোর বাসা, গলার স্বর কোকিল কন্ঠী         রাঁধুনিতে দ্রৌপদী । মুখ দেখবার শখ হয়েছে,         দেখি কেমন বৌ হয়েছে !" বৌ শুনে তো পালিয়ে বেড়ায়,         গ্রামবাসীও দাপিয়ে বেড়ায় । মুখ দেখবেই, মুখ দেখবে        নাহলে একঘর করবে । তবুও বৌ নয়তো রাজী,        ভাবছে খ্য...

চলে যাও করোনা - রাজু দত্ত

Image
 চলে যাও করোনা  রাজু দত্ত  মহাকাল, তুমি কেন এমন নির্মম সংহার ডানা মেলছো?   বিশ্ব প্রলয়কে খেলনা ভেবে এভাবে পুতুল খেলা খেলছো।  বিশ্ববাসীকে আজ আতঙ্কিত করেছে নোভেল করোনা ভাইরাস  যার সূচনা জ্বর, শুকনো কাশি, পরে কষ্ট নিতে গেলে শ্বাস।  চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে এই সংক্রামক রোগটি আবির্ভূত,   ইতালি, স্পেন, জাপান, থাইল্যান্ড, নেপাল, ফ্রান্স দক্ষিণ কোরিয়াসহ ভারতও কবলিত।  রোগ মোকাবিলায় পরাস্ত চিকিৎসা তাই বেড়ে চলেছে মৃত্যুর ভেলা  সময় থাকতে সচেতন হোন ভুলেও করবেন না তুচ্ছ ভেবে অবহেলা।   চিকিৎসকদের করণীয় পরামর্শ যথাযথভাবে সবাই নিও কানে  বাড়ির বাচ্চা, বয়স্ক ও ইমিউনিটিলেসদের  রেখো বিশেষভাবে সাবধানে  সাবান কিংবা  স্যানিটাইজার দিয়ে বারবার ধোও মুখ হাত  জনতা কার্ফু অমান্য করলে সংক্রমণে নিজেই হবে কুপোকাৎ।   ভীড় এড়াও বাড়ির বাইরে ও হাঁচি কাশিতে মাক্স যেন পড়ো সবাই   লকডাউন অমান্য ও  কালোবাজারি করলে প্রশাসন দেবে না রেহাই।   প্রিয়জনদের এই চৌদ্দ দিন না হয় হোম কোয়া...

শিরোনামহীন কবিতা - বাপ্পী শেখ

Image
 শিরোনামহীন কবিতা বাপ্পী শেখ হাসিনা অনেকটা হারিয়ে যাওয়া কোন পথিকের মতো...  হারিয়ে গিয়েছিল সে , বৃস্টিস্নাত কোন এক কৃষ্নচূড়া বিছানো পথ দিয়ে সেই হারিয়ে যাওয়া পথে খুঁজেছি তাকে অনেকটা দিশাহীন পথিক হয়ে , সেই হারিয়ে যাওয়া মানুষটাকে  যাকে হারানোর পর হয়েছিলাম বাউন্ডুলে.... যার কাঁধে মাথা রেখে কেঁদেছিলাম ভাষাহীন শিশুর মতো করে.. যার চুলের ছাঁয়াতলে ছিল আমার কত অভিমান, সঙ্গাহীন ভালোবাসার অভিব্যক্তি যার চোখের গভীরে লুকাতাম আমার না বলা শত কস্টকে সমাধী করে যার চুলের মাদকতায় আমি ছিলাম উন্মাদ আসক্ত...  যে কিনা শিখিয়েছিল স্বপ্ন আর বাস্তবের খেলা যার বৃষ্টিতে আমি হতাম নীড়হীন কোন এক পথিক একদিন কোন এক ঘটনায় হারিয়ে গেলো...  অনেকটা অভিমান নিয়ে...  দূর কোন শীতের পাতা ঝড়া বরফের দেশে... আমার কান্নার সব গুলো অশ্রু নিয়ে... সেই কৃষ্ণচূঁড়া বিছানো পথ ধরে অনেকটা চেনা মানুষের রূপ ধরে  অচেনা মানুষ হয়ে...

শিক্ষা - সত্যরঞ্জন বণিক

Image
 শিক্ষা          সত্যরঞ্জন বণিক  ☆ পাটীগণিত বীজগণিত জ্যামিতি, সবেতেই ছিল আমার খুব ভীতি। ক্লাসের অঙ্ক, ভীষণ আতঙ্ক। অঙ্কে ফেল করে পড়াটি হলো ইতি।  ☆ প্রতিদিনই স্কুলে বরাদ্দ ছিল চড় থাপ্পর, শাস্তি এক পায়ে দাঁড়িয়ে বেঞ্চের উপর। হোমটাস্কে ভীষণ ফাঁকি, সিলেবাসের সবই বাকি। অঙ্কেতে মাথাব্যথা শরীরে আসে জ্বর। ☆ অশিক্ষিত লোক বলে অবজ্ঞা সমাজে, অমানুষিক পরিশ্রম লেবারের কাজে। অবহেলায় জীবন নষ্ট, জীবনেই দারুণ কষ্ট। নিরক্ষর লোকই নিরক্ষরতার জ্বালা বোঝে। ☆ " শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড "- সম্পূর্ণ খাঁটি, অশিক্ষায় পরাজয়ের গ্লানি জীবন মাটি। শিক্ষা আলোর দ্যুতি অশিক্ষা আনে দুর্গতি। চড়াই উৎরাই জীবন পথে আঁধারের ভ্রূকুটি।                                     -----সত‍্য রঞ্জন বণিক                      -

প্রেমময় কবি ও কবিতা - তপন কুমার তপু

Image
প্রেমময় কবি ও কবিতা তপন কুমার তপু অজস্র বেদনার সূখ যখন ম্লান হয়ে আসে চারিদিক, বেদনার ক্ষত বেড়ে যায় মাঠের আবাদি জমির মত,, বোনা বীজ যদি অঙ্কুরোদগম না হয়- অসহ্য বেদনা হতো। পৃথিবীতে বেঁচে থাকার ভালোবাসাটা হারায় দিকবিদিক।। কবিতার পাতা ধুয়ে কি আর শস্যকণা জন্মায়, পেটের চাহিদা মেটে - মেটে কি বেঁচে থাকার সুখ  এভাবেই প্রেয়সী আমার বলতে থাকে মলিন হয় সুন্দর মুখ। অথবা আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে পোড়া কপাল হায় হায়!! তবুও কবি কবিতা লিখে যায় শুধু লিখে যায় , চশমার ফাঁক দিয়ে তাকায় ভালোবাসার প্রেয়সীর দিকে,, তারপরও লেখে প্রেয়সী আমার ভালোবাসা প্রিয়জন বিষন্নতা কেন মুখে। একদিন তুমিও উঠবে হেসে ওই সুন্দর মুখে আসবে সুসময়।। কবির কবিতাগুলো খাতার পাতায় অপ্রকাশিত রয়ে যায়, কবিও হারিয়ে যায় প্রেয়সী হারায় কবিতা শুধু কবিতা হয়ে,, রয়ে যায় প্রকাশ পায় কি দারুন কবিতা সবাই দেখে যে চেয়ে। কবি বেঁচে ওঠে মানুষের কাছে চিরদিন কবি হয়েই পূজিত হয়।                                        

মিছিলের মুখ - কিশোর ভট্টাচার্য্য

Image
  মিছিলের মুখ           কিশোর ভট্টাচার্য্য           মুখের মিছিল                চাই না গো,           চাই মিছিলের মুখ।          ঐ মুখটিই লড়াই করে,             আনবে দেশে সুখ।          ঐ মুখটিই পাড়বে দেখো,              দূর করতে ভুক।            সেই মুখ আর,               দেখা মেলে না;            এটাই মোদের দুঃখ।

বিশ্বকবি - রাজু দাস

Image
  বিশ্বকবি  রাজু দাস নত হবে আমার মাথা হে তোমার চরণ ধূলি তলে, নয়নে আসিবে জল তোমার প্রেমের সন্ধিক্ষণে।  ভুলিতে পারিব না আর তোমার প্রেমের ধূসর ঘরে, দেখা দিও আবার সূর্যের কিরণ তলে।  হে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ তোমার চরণে ঠাঁই দিও হে।

সুখ ও দুঃখ - সত্যরঞ্জন বণিক

Image
সুখ ও দুঃখ  সত্যরঞ্জন বণিক সুখ আর দুঃখ নিয়েই জীবন গড়া, কষ্টের কাছে সুখ নিশ্চিত দেয় ধরা। কষ্টের পাশে সুখ, সুখ আনে অসুখ। সুখ দুঃখে আবর্তন চির পরম্পরা।

ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন - তপন কুমার তপু

Image
 ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন তপন কুমার তপু দেখছি এখন সবাই যেন হয়ে গেছে ডাক্তার, করোনা তে যে যার মত দিচ্ছে ওষুধ যার তার, বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরা  খাচ্ছে কত হিমসিম, জানিনা যে আমরা কিছু জমছে মাথায় থিম। এ করলে ভালো হবে এই কাজ টি করো, ম্যাছেন্জার ফেসবুকে খবর দিয়ে ভরো। আমার তোমার চিন্তা করে খাটছে বিশেষজ্ঞ, ছুটছি কত এদিক ওদিক সবাই আমরা অজ্ঞ। বিশেষ বিষয় চিন্তা করে বলছে থাকো ঘরে, বিপদ মুক্ত থাকবে সবাই থাকো ধৈর্য্য ধরে। ভাল্লাগেনা গুজব কথা বিপদ টা যে বড়ো, ঘরে থেকো নিরাপদে গুজব কথা ছাড়ো।

তোতাপাখি - তরু তালুকদার

Image
তোতাপাখি   তরু তালুকদার  বশ মেনেছে তোতাপাখি ,  আসে কাছে যখন ডাকি।  তোতাপাখির মুখের বুলি  আমার শেখানো যত ঝুলি।  তোতাপাখি আনছে খাবার ,  আমায় দিয়ে যাচ্ছে আবার।  খাবার তোতা ছিনিয়ে নেয় ,  বাসায় এনে আমায় দেয় ।  আমার নাম নেয়-না সে,  বারণ আছে বলতে যে।  তোতাপাখির অনেক গুণ ,  আমার কথায় দেয় সে মন।  পরের জিনিস করে চুরি ,  ওটাই তোতার বাহাদুরি ।  তোতাপাখিরা পড়লে ধরা,  নাম নিবেনা আমার ওরা ।  তোতাপাখির কু-কর্ম ,  যাচ্ছে করে নেই ধর্ম।  করছে এসব আমার তরে,  আমায় এখন কে-বা ধরে ?  বশ মেনেছে তোতাপাখি ,  আমার কাজে দেয়না ফাঁকি।  পুষবে নাকি তোতাপাখি ?  বলো যদি আনছি ডাকি।  তোতাপাখি পুষছে যারা ,  কোটিপতি হচ্ছে তারা ।

ঢাক - কিশোর ভট্টাচার্য্য

Image
       ঢাক         কিশোর ভট্টাচার্য্য উৎসবে বাজে ঢাক ড্যাং ড্যাড্যাং ড্যাং। আনন্দে বাজায় ঢাকি তুলে একখান ঠ্যাং। কিছু কথা রাখতে গোপন    করি রাখঢাক, মাছ কি আর ঢাকা যায়?     দিয়ে কিছু শাক! কথা কিছু করতে প্রচার      যারেই দাও ডাক,         যতই পারো হাঁক; ডেকে হেঁকে তোমার মাথায়        পড়ে যাবে টাক!    ভালো মনের বিচার       জানবে না কেউ আর!              বলি তাই...     নিজের ঢাক পেটান নিজে          নাহলে কেউ                  জানবে না যে।

স্বাধীনতা - অরিজিতা ঘোষ

Image
 বিভাগ - গদ্য কবিতা। স্বাধীনতা। অরিজিতা ঘোষ। হাজারো শব্দের মাঝে গোঙানীর শব্দ। এ যেন এক যন্ত্রণা,যে যন্ত্রণা হাজারো শৃঙ্খলে আবদ্ধ। নেই কোনো উপশম,শুধুই আছে অপরিসীম কষ্ট। হাজারো বেতের বারি,লাঠির আঘাত,মাথা ফেটে রক্তের স্রোত, গুলির আঘাতে বিদ্ধ হওয়া শরীর,শরীরে অশুভ হাতের স্পর্শ, সবই মেনে ছিলাম পরাধীনতার শৃঙ্খল খুলতে।। শুধুই চেয়েছিলাম মুক্তি,চেয়েছিলাম কারাগারের শৃঙ্খল ভেঙে, স্বাধীনতার আলোয় পৃথিবীকে দেখতে।। কিন্তু সেই রক্তাক্ত স্বাধীনতা,একের পর এক বলিদান সবই আজ ব্যার্থ। যে নিঃস্বার্থ মনোভাবে মানুষ নিজেকে করেছিল কারাগারে বন্দী, আজ সেই মানুষই রক্ত পিপাসু, স্বার্থান্বেষী।। যে ভাই আর এক বিধর্মী ভাইয়ের আঘাতে হতো আহত। সেই ভাই ই আজ ধর্মের ধ্বজায় আর এক ভাই কে করছে ভিটে মাটি হীন।। আজ সবই গেছে পাল্টে, স্বাধীনতার গলা আজ হয়েছে বাকরুদ্ধ। তাদের গলায় আজ শুধুই ভয়ের গোঙানী,নেই কোনো প্রতিবাদ। শুধুই আছে প্রতিবাদকে দমন করার লাঠির প্রহার।। তাই প্রশ্ন জাগে মনে,এই স্বাধীনতাই কি ছিল কাম্য? কোথায় গেল সেই ঐকের স্বাধীনতা, কোথায় গেল সেই "এক বৃন্তে দুটি কুসুমের"স্বপ্ন? নেই কোনো উত্তর,শুধুই আছে স্বাধীনত...

হে মহাকাল - সৌভিক দেবনাথ

Image
 সহস্র নিয়তি বাঁকে এ ক্ষণের চিত্ররেখা, চিত্তে রাখিয়ো চীরসাক্ষী হে মহাকাল। চিত্তে রাখিয়ো নিরীহ আর্তনাদ,  ইতিহাসে কত রহিছে লিখিত। যুদ্ধ-নির্মমতায়,  কত অগুনিত প্রাণ নীরবে গিয়াছে ঝরে। তবু সেথা ছিলো স্বার্থের বিভাজন,  অভিন্ন স্বার্থ লইয়া কোন জাতি কবে মুখোমুখি হইয়া  উলঙ্গ তরবারি ঊর্ধ্বে তুলিয়াছে ধরিয়া। অনাহারী কিছু মুখমন্ডল,  বৃদ্ধ পিতার সন্নিকটে তুলিয়া দিতে অন্ন, যে বালক বার হইয়াছিল পথে,  অবাধে বারণ ভাঙিয়া, ফেরেনিকো কভু আর। ক্ষমতালোভী পাষন্ডের নির্মম আঘাত হানিয়াছে তাহার প্রাণ,  এমনি করিয়া শহস্র মাতৃ বক্ষ- শূন্য হইয়া গেল,  শান্তির বাণী কথা কহেনাকো, ককলে বধির মুক। ক্ষুদ্রের বেদনা বুঝিতে!  হে অসীম ক্ষমতাধর শত ধিক ঐ মুকুটের। যেথায় রাখিয়াছো মস্তক তম, লুকায়েছো যেথা মানবতা, দয়া, মায়া- শুধু নির্দয় অন্তর- বিকশিত করিয়া হাসিছো তব, মিথ্যা প্রলাপ বাণী। শুনিতেছো মম কন্ঠ- হায়রে ক্ষমতার কত বল, তব ম্লান বদনে মোরা সহিতেছি ব্যথা, যন্ত্রণা-গ্লানি। তবু সঞ্চারিয়ে বল, জনতার স্থির বৃক্ষ ধীরে ধীরে মেলিতেছে ডালা। পতন তাহার নিশ্চিত, ধ্বংসই তাহার নিয়তি। ত...

কিঞ্চিৎ ভালোবাসা - রাজেশ জানা

Image
কিঞ্চিৎ ভালোবাসা                         রাজেশ জানা কিঞ্চিৎ ভালোবাসা মনে রাখ, কিঞ্চিৎ ওঠা নামা থাক থাক,  কিঞ্চিৎ স্বপ্নটা মুছে যাক,             কিঞ্চিৎ দিনগুলির পাতা'তে....,   কিঞ্চিৎ চোখের ওই ইশারা,  কিঞ্চিৎ মন দেয় পাহারা,  কিঞ্চিৎ শুকনো সাহারা,           কিঞ্চিৎ বন্দী অন্ধগলিতে। কিঞ্চিৎ ব্যথা আছে পরাণে.. ,  কিঞ্চিৎ দেহখানি শ্মশানে,   কিঞ্চিৎ পুড়ে গেছে আগুনে,               কিঞ্চিৎ কালো ছাই মাটিতে..,  কিঞ্চিৎ ভেসে যাই আকাশে,   কিঞ্চিৎ ছুঁয়ে যাই বাতাসে,  কিঞ্চিৎ এখনো হরষে..             কিঞ্চিৎ ভালোবাসা বাসি'তে।

বর্তমানের পরকীয়ার এক গল্প - ভালোবেসে সখী নিভৃত যত্নে - সাগর হালদার

Image
  ভালোবেসে সখী নিভৃত যতনে!                       - সাগর হালদার          শরতের মেঘগুলো ভাসতে ভাসতে কোথায় যে যায় তা এখনো জানা হয়নি তমালের। এ সময়টা কি এখনো মনে পড়ে সুমিত্রার? খালি পায়ে শিশির ভেজা ঘাসের উপর দিয়ে হেঁটেছিল যার সাথে শরতের দিনগুলি, সেসব দিনগুলি কি আর ভাবায় সুমিত্রাকে? সেসব মুহূর্তগুলো কি আর মনে পরে সুমিত্রার? তমালের মাথা ভোঁ ভোঁ করে ওঠে সেই বিকেলটার কথা মনে পড়লে। ওর   তো কোনো দোষ ছিল না; ওতো নিঃস্বার্থ ভাবে স্বপ্ন দেখেছিল সুমিত্রার! আরে তুই এখানে! নিচে কখন থেকে ডাকাডাকি করছে মামারা। কি যে দেখিস এতো আকাশে? নিচে যা এক্ষুনি, কারা যেন এসছে। তমাল বিন্দির দিকে গোল গোল চোখ করে তাকালো। বিন্দি আসলে পাশের ফ্ল্যাটে ভাড়াটিয়ার মেয়ে, মায়ের পছন্দতেই বেশিরভাগ সময় সে আমাদের বাড়িতে থাকে। তমাল আর কথা না বাড়িয়ে নীচে চলে গেল। তমাল প্রচণ্ড ঘামছে, হাঁটু থরথর করে কাঁপতে লাগলো। চিবুকে সেই চেনা তিল ঘামে চকচক করছে, এটা কাকে দেখছে এতবছর পর! কী করছে এখা...

শপথ পাঠ - রাজু দাস

Image
শপথ পাঠ  ✍ রাজু দাস  চলুন গড়ি মুক্ত সমাজ  নিজেদের মস্তিষ্কের জোরে।   শুনবো না অগ্ৰদূতের ভাষণ  কোন এক পথের মোড়ে,   অন্যায় কে প্রশ্রয় না দিয়ে  এসো হে করি শপথ পাঠ।   ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই  গড়ে উঠুক এই প্রতিবাদ,   একের থেকে দুই ভালো  দুইয়ের থেকে চার,   হাতে হাত রেখে আমরা করতে চাই  সমাজ কল্যাণ কাজ।