Posts

Showing posts from January, 2021

কবিতা - মাগো তুমি দাওনি কেন শিক্ষা - বুদ্ধেশ্বর পৈলান

Image
 মা-গো তুমি দাওনি কেন শিক্ষা,                                    অভিজিৎ হালদার  মা - গাে কেন বা জন্ম দিলে ছেলে  কেন বা দেখালে আলাে ।  সমাজে তার অত্যাচারে  আর চলেনা মা - গাে  জন্ম যদি দিলে মা - গাে  দাওনি কেন শিক্ষা , দুদিন পর সমাজেতে চাইতে হবে ভিক্ষা  মা - গাে তুমি দাওনি কেন শিক্ষা,  তুমিও নারী আমিও নারী নারী ধরিত্রী মাতা ,  সমাজ টাকে নােংরা করে দিচ্ছে পাপিরা   মা - গাে তুমি দাওনি কেন শিক্ষা ।  মা - গাে বাজেনা তালি এক হাতেতেই  প্রশ্রয় দিচ্ছ তুমি অন্যায়টাকেই মাগাে প্রমান তার হাতে নাতেই , দিতে যদি একটু শিক্ষা মা-গো হতো বড়ো ভালো। তোমার সন্তান সব থাকতো মা-গো দেখতো তারা আলো  মা - গাে তুমি দাওনি কেন শিক্ষা   মা - গাে তুমি দাওনি কেন শিক্ষা।।

কবিতা - স্বপ্ন - বুদ্ধেশ্বর পৈলান

Image
কবিতা - স্বপ্ন   বুদ্ধেশ্বর পৈলান তোমায় নিয়ে দেখেছিলাম কত স্বপ্ন,  রোজ ভরে মনে পড়তো তোমার মুখখানা,  তোমার প্রেমেতে আমি আজীবন মগ্ন,  তোমার জন্য যাব আমি অন্ধপুরির জেলখানা।  তোমায় নিয়ে দেখেছিলাম কত স্বপ্ন,  তোমায় নিয়ে ভেবেছিলাম অনেক কিছু,  তোমায় পেয়ে আজ আমি হয়েছি ধন্য,  সারাজীবন গিয়েছি তোমার পিছু পিছু।  তোমায় নিয়ে দেখেছিলাম কত স্বপ্ন,  সব হারিয়ে গেছে গভীর সমুদ্রের মাঝে,  তোমায় নিয়ে করেছিলাম কত আনন্দ,  তোমার প্রেমের গান আজও হৃদয়ে বাজে। 

অন্তিম পরিণয় - দেবস্মিতা মন্ডল

Image
 অন্তিম পরিণয়          দেবস্মিতা মন্ডল  ঝিমলি, ইমলি আর রিমি তিনজন খুব ভালো বন্ধু। তারা ছোটবেলা থেকে একসাথে পড়াশোনা করেছে। এখন আলাদা বিষয় নিয়ে যে যার মতন আলাদা কলেজে পড়াশোনা করে। তবে তারা যেহেতু একই পাড়ায় থাকে, তাই সময় সুযোগ পেলেই তারা একসাথে আড্ডা মারতে বেরিয়ে পরে। এমনই এক ছুটির দিনে ইমলি বললো চল অনেকদিন হয়েগেলো আমাদের সেই নদীর পাড়ে বসে গল্প করা হয়নি, দেখা হয়নি সেই দূর থেকে আসা নৌকা গুলোকে। তাঁদের বাড়ির পাশেই ছিল একটা ছোটো নদী। সেখান থেকে মাঝে মাঝেই একটা-দুটো নৌকা যাতায়াত করতো। বিকেলে তারা একসাথে এসে বসলো সেই নদীর ধারে। এবার একথা সেকথা বলতে বলতে ঝিমলি হঠাৎই বলে উঠল- জানিস সেদিন একটা অদ্ভুত বিবাহের গল্প শুনলাম। রিমি আর ইমলি বললো কিরকম? ঝিমলি বললো শুনবি তোরা? ওরা বললো হ্যাঁ বল বল,ঝিমলি বললো তবে শোন।             আমরা জানি, বিবাহই পারে দুটো মানুষকে এক পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ করতে। দুটো প্রাণকে এক আত্মায় মিলিয়ে দিতে। কিন্তু সেই বিবাহটা ছিল একদম অন্যরকম। একটা ছেলে আর একটা মেয়ে দুজন খুব ভালো বন্ধু ছিল। তাদের বন্ধুত্বটা ধীরে ধীরে ভালো...

আবার ফিরে পাওয়া - সাগর হালদার

Image
 ছোটগল্প - আবার ফিরে পাওয়া লেখক -  সাগর হালদার                ছুটির রবিবার। নামের মধ‍্যেই একটা কোথায় অবসর লুকিয়ে আছে। রবি'র অবসর, নিত‍্যনিয়ত রুটিনের বাঁধাধরা কর্মের থেকে বিরতি, কিছুটা আলসেমি, মৃদু চালে চলা। রবি কথার অর্থে দু'টো দিক উন্মোচিত হয়, একদিকে আলোকদাতা সূর্য অপরদিকে সাহিত্যের বটবৃক্ষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আমার গল্পের রবি এর কোনোটাই নয়, সে একজন প্রতন্ত গ্রাম অঞ্চলের দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তার বাকি পরিচয় দেওয়ার আগে বর্তমান অবস্থাটা জানিয়ে রাখা ভালো, বাবা মায়ের অক্লান্ত পরিশ্রমে এখন তাদের অভাব কিছুটা ঘুচল বটে, আর্থিক দিক থেকে নয় রবি'র শিক্ষার দিক থেকে। রবি এখন মহাবিদ‍্যালয়ের ছাত্র। বয়স ওই আঠারো-ঊনিশ এই বয়সে তাকে শিশু বলা চলে না, কিন্তু সমাজ ধেড়ে খোকা বললেও শিশুসুলভ মন, সরলতা, সাদা-মাটা স্বভাব তার পিছু ছাড়েনি। এখন রবি'র মনস্তাত্ত্বিক অর্থাৎ মনের ভাবনা, চিন্তাধারার প্রকৃতি কিছুটা পরিবর্তন ঘটছে কিনা জানি না, তবে সে দিন-দিন মুষড়ে পড়ছে সেটা লক্ষ্য করছে তার সবচেয়ে ভালো বন্ধু সৌম‍্য ও তার খেলার সঙ্গী দোলন। ভালো বন্ধু তৈরি হয় স্কুলের গন্ডিতেই...

অন্বেষণ - কবি সত্যরঞ্জন বণিক

Image
  অন্বেষণ  সত্যরঞ্জন বণিক  দারিদ্র্যতা এক অভিশাপ নিদারুণ,  শূন‍্য জঠরে ক্ষুধার জ্বলন্ত আগুন। জীবন জীবিকা শুরু ভোর থেকে রাত, বেঁচে থাকার লড়াই একমুঠো ভাত। বর্তমান ভবিষ্যত অন্ধকার কালো, দু-চোখের অঙ্কুরিত স্বপ্ন এলোমেলো।  মধুর সোনালী শৈশব অবহেলায়, মেয়েবেলা মাটিতে লুটায় অছিলায়। সূঁতোয় ভারসাম্যের খেলা উদয়াস্ত, অন্নের অন্বেষণে এই জীবন ন‍্যাস্ত। অর্থের বিনিময়ে মৃত্যুর পরোয়ানা, ভয়ে বুক দুরু দুরু গভীর সাধনা। জীবন যুদ্ধের লড়াই বড় কঠোর,  ক্ষুধা উপশমে শ্রম ক্ষুধার্ত জঠর।               -----সত‍্য রঞ্জন বণিক

অণুগল্প - দাদার প্রসাদ - বাপ্পাদিত্য পান্ডে

Image
 দাদার প্রসাদ ¤ বাপ্পাদিত্য পাণ্ডে  সে কি দাদা ! আপনি এই আধ ভিখারি চাষা গুলোর মেঝেয় বসে পান্তা ভাত খাবেন ! আপনি তো মাংস ছাড়া ভাতই খেতে পারেন না ।       ওরে এ আমাদের সখের খাওয়া । ওদের সাথে খেয়ে বোঝাতে চাই আমি ওদের মতোই মাটির মানুষ। ওদের মাথায় দৃশ্য হাত আর অদৃশ্য পা রেখে আমরা সবাই  নেতা মন্ত্রী হই ।     দাদা ও চামচা চাষির মেঝেতে পান্তা খেতে খেতে চুপিচুপি চামচাকে বলল - এখন ক্যামেরার সামনে পান্তা খাচ্ছি রাতে কিন্তু ফ্রাইড রাইস আর চাখুম চুখুম একটা পিস চাই । তবে আজ মদ খাবো না । মদ খেলে চাখুম চুখুম খেলাটা জমে না ।      চামচার চোখেও খুশির ঝিলিক।  চামচা দাদার প্রসাদ পাবে যে ।

শ্রমিক ও শোষক - সোমা বিশ্বাস

Image
 শ্রমিক ও শোষক সোমা বিশ্বাস শ্রমিকের পেটে লাথি মেরে শোষক নেয় খাবার কেড়ে । শ্রমিককে করে তীব্র শোষণ, শোষক দেহরক্ষী করছে পোষণ । নিজে করছে ভুরিভোজ-আরাম,  এদিকে শ্রমিকের হয় না বিরাম । অন্ন-বস্ত্র জোটে না তাও শোষক বলে, "পরিশ্রম বাড়াও ।" শ্রমিককে করে অকথ্য অত্যাচার, শোষক করছে ফলাও আহার । টাকার পাহাড়ে শুয়ে থেকে অঙ্গ রেখেছে রত্নে ঢেকে । তবুও তাদের কমেনি লোভ, শ্রমিকের বাড়ছে ভীষণ ক্ষোভ । একদিন যখন শ্রমিকরা রেগে শক্তি প্রয়োগ করবে বেগে, সেদিন শোষক কুপোকাৎ, শোষক হবে ধূলিসাৎ । একতার বল যে দেশে আছে, সেই দেশ স্বর্গের খুব কাছে; থাকে না সেখানে ঝগড়া-বিবাদ, সেখানেই হয় সুখের আবাদ । রচনা -  ২৯ নভেম্বর ২০১৬, শ্রীরামপুর

অন্তর দহন - তপন কুমার তপু

Image
 অন্তর দহন তপন কুমার তপু হৃদয় গুলো পুড়ছে একা, ঘরের কোণে, সাত সকালে পুড়ছে যে শ্রম, জগতের সুখ,, অন্তরালে নেই তো আগুন, রৌদ্র বিমুখ। স্বপ্ন নিয়ে বাঁচতে চাওয়া,ক'জন জানে।। মন বাতাসে- সবুজ পাতা- হাসছে কতো, চাওয়া পাওয়ার মেঘ আকাশে বৃষ্টি হলো,, রোদ বৃষ্টি শ্রম পেরিয়ে মানুষ গুলো। লাগতো ভালো তবুও যদি সুখী হতো। ঐতো পাখী উড়ছে তার ই নীল আকাশে, সুখের মতো মানুষ যে তার পায়না দেখা,, পুড়ছে মানুষ উড়ছে মানুষ,জন্ম থেকে একা একা। কষ্ট দুঃখ ,জন্ম-মৃত্যু জগত জুড়ে এমনি হাসে।।

বেসরকারি ভালোবাসা - কিশোর ভট্টাচার্য্য

Image
 বেসরকারি ভালোবাসা            কিশোর ভট্টাচার্য্য আজি বাজেট হইল পেশ, দুঃখের নেই শেষ! বরাদ্দ কিছু হয় নি, ভালোবাসার খাতে!! যা হোক চালিয়ে নিতুম পূর্বের বরাদ্দতে। কিন্তু ঐ যে একখান কথা, বাড়িয়ে দিলো ব্যথা! ভালোবাসা হবে বিলগ্নীকরণ! নুপুর হীন হবে রাইয়ের চরণ! শেয়ার দেবে বেচে! আপনার ভালোবাসা,রবে না কাছে! আহত হলো সকল আশা! বেসরকারি হবে ভালোবাসা!!

ভালোবাসার গোলাপ - অজয় ভট্টাচার্য্য

Image
 ভালোবাসার গোলাপ  অজয় ভট্টাচার্য্য  ভালোবেসে একটা গোলাপ দিতে চাই সবাইকে--- আত্মীয় স্বজন বন্ধুবান্ধব পাড়াপ্রতিবেশি  বিশ্বসংসার-- বপন করেছিলাম ভালোবাসার বীজ  অঙ্কুরিত হয়েও মহীরুহ হয় নি।  প্রবীণে নবীনে দ্বন্দ্ব টুকরো টুকরো ঘর টুকরো টুকরো আত্মীয়তা ভালোবাসা সংকীর্ণ গণ্ডীতে আবদ্ধ।  সমঝোতার আপ্রাণ চেষ্টা  সম্পর্ককে একটু একটু করে জুড়তে ।  অবহেলা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য  নখদন্তের আঁচড়ে ফালা-ফালা হলেও  জানি -- ভালোবাসার কুঁড়িটা ফুটবে একদিন ।  ভালোবাসার রক্ত গোলাপটা আমার অঞ্জলিবদ্ধ হাতে ধরা থাকবে  শেষ দিন পর্যন্ত -- তোমাদের জন্য।