আলোর দিশা সাহিত্য পত্রিকা ওয়েব ম্যাগাজিন - ৬



আলোর দিশা সাহিত্য পত্রিকা 
 বিশ্ববঙ্গ বাংলা সাহিত্য একাদেমী অনুমোদিত 
Registration number - (BBSA/GM/132/2021) 
আলোর দিশা সাহিত্য পত্রিকার ওয়েব ম্যাগাজিন সংখ্যা 

 ষষ্ঠ সংখ্যা : চতুর্দশপদী সংখ্যা 

আলোর দিশা সাহিত্য পত্রিকার 
প্রকাশ তারিখ - ১ ডিসেম্বর ২০২১
প্রতিষ্ঠাতা এবং সম্পাদিকা: সোমা বিশ্বাস 
উপদেষ্টা : সোমনাথ নাগ, তপন কুমার তপু

প্রচ্ছদ : বিপ্লব সরকার 

সম্পাদকীয় :
আলোর দিশা সাহিত্য পত্রিকার ওয়েব ম্যাগাজিন সংখ্যা প্রকাশিত হলো। সকল কবি ও সাহিত্যিক ও পাঠক-পাঠিকা বন্ধুকে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
                            - সোমা বিশ্বাস 


লেখা পাঠানোর ঠিকানা - aalordishasahityapotrika@gmail.com 
ওয়েবসাইট - aalordishasahityapotrika.blogspot.com

লেখার দায় লেখকের, সম্পাদকের নহে। 


সনেট সংখ্যার সূচীপত্র :

রানারের মৃত্যুশয্যা - অরবিন্দ সরকার
দিনলিপি - সুতপা ব‍্যানার্জী(রায়)
সর্বকালের সেরা - শাশ্বতী দেব
বিষাদের জল - অক্ষয় বৈদ্য 
তবু কথা হলো না - বিপত্তারণ মিশ্র 
দেখা - তপন কুমার তপু
তারাখসা রাতে - সুখময় মণ্ডল          
বেহুলার দেশ - সুমিত বৈদ্য 
প্রতিদিন রৌদ্র ছায়ায় - বারিদ বরন গুপ্ত
দুটি মন -প্রাণ - রবি শঙ্কর মুখোপাধ্যায় 
প্রকৃত ভালোবাসা - সোনালী বসু
হার জিৎ - শান্তি রঞ্জন দে
ঘুড়ি - ভাস্কর দাস
নীরবতা - প্রশান্ত মন্ডল (শিলিগুড়ি) 
The world is a trap- Oladele Mike (Nigeria) 
দেখা - তপন কুমার তপু 
তৃষ্ণা - সোমা বিশ্বাস 

কবিতা :

রানারের মৃত্যুশয্যা
অরবিন্দ সরকার

সুকান্ত ভট্টাচার্যের রানার জীবিত,
অবিভক্ত ভারতের ডাকের বাহক,
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রানার ধাবিত,
তার লক্ষ্য গন্তব্য স্থল নৈমিত্তিক ছক্।

রাস্তায় ডাকাত ভয় পূবে লালে ভীত,
ঝুমঝুম ঘণ্টা শব্দে বুক ঠকঠক্,
সকালে খবর পৌঁছে বিশ্রাম চকিত,
হিসাব নিকাশ দিয়ে,পেট কোলে ধক্।

স্বাধীন দেশে রানার বেশ উজ্জীবিত,
মোটরবাইকে চেপে হর্ণ পকপক্,
অফিসে কার্পেট পেতে,অতীত মুছিত,
আটঘণ্টা কাজে ফাঁক নেই তার ঝক্।

বেতন কাঠামো আছে,নেই সে রানার,
মৃত্যু শয্যায় শায়িত সুকান্ত ব্যানার।


দিনলিপি
সুতপা ব‍্যানার্জী(রায়)

নদীর বুকে ভাস্কর চঞ্চল,অস্থির,
দিনমানের প্রখরিত তেজে আলাপ,
ছলাৎ ছলাৎ শব্দে আপন প্রলাপ,
ভাটার পরে কমা জ্বরে হয় সুস্থির।
রাত নামে ঐ চন্দ্রমা নিয়ে ভিন্ন রূপে,
মাঝি গায় যে ভাটিয়ালি জ‍্যোৎস্না মেখে,
থামা দাঁড়ে ভাবুক নয়নে মাথা রেখে,
ঘরণী তার অন্তরে আসে চুপে চুপে।

দূরের কুঁড়েতে মৃদু কুপি জ্বলে সেথা,
অপেক্ষার প্রহর গুনছে দাওয়ায়,
সামান‍্য ফেরার চিন্তা ওর চাওয়ায়,
এক ঘটি জল আর পান্তা আছে হোথা।
তবুও সুখের ঘুম দিনান্তের শ্রমে,
এর বেশী তো কিছু চায় না ভুলক্রমে।

(পেত্রার্কীয় সনেট
রীতি- অষ্টক-কখখক/কখখক
যষ্টক-গঘঙ/গঘঙ)

সর্বকালের সেরা
শাশ্বতী দেব

জন্ম নিলে একসময় সম্ভ্রান্ত ঘরে,
বড় হতে লাগলে জোড়াসাঁকোর ঘরে ।
বৈশাখের পূণ্য লগ্নে জন্ম নিলে তুমি,
তোমার আগমনে পবিত্র হল ভূমি ।
ছোটবেলায় পড়াশোনা করনি তুমি,
বাঙ্গালীর নাম উজ্জ্বল করলে তুমি।
কৃষ্টি - সংস্কৃতি তোমার লেখায় পাই,
গানের ভুবনে শুধু সুরে সুরে গাই।
নোবেলজয়ী তুমি থাকবে স্বর্ণাক্ষরে,
থাকবে কবিতায় কবিদের অন্তরে ।
রাখীর বন্ধনে হলে তুমি বিশ্বসেরা,
বড় বাড়ির ভেতরে তুমি সর্বসেরা ।
স্মৃতি পড়ে ধরা কর্ণেল বাড়িতে কত,
চিরদিনই শুনি কীর্তী তোমার শত ।

বিষাদের জল 
অক্ষয় কুমার বৈদ্য 

বালির ভিতরে জমে বিষাদের জল, 
আলুথালো এলোকেশী আকুল পরাণ। 
শ্রাবণী সমীরণে সে ঝরায় নয়ন, 
অভিমান বেদনায় সাগর অতল। 
ঘনায় আকাশ জুড়ে মেঘের কাজল
জীর্ণ কোলাহল থামে নির্বাক জীবন 
এই পরাজিত সুখ সহজ মরণ
স্পর্শের কণা ঘুমায় বিছিয়ে আঁচল। 


অতীতের জ্বালা শুধু দু'ভাঁজ এ মনে 
 হারানো নির্জন সুখ স্মৃতির স্বপ্ননে। 


অবিরত পোড়ে বুক সীমানা পেরিয়ে 
ভেসে যায় এ দহন নীলাভ সাগরে
তোমার ক্ষণিক ছোঁয়া গিয়েছে হারিয়ে 
অনিঃশেষ অন্ধকার মৃতের শহরে। 


ফরাসী সনেট. মাত্রা ৮+৬
                           অষ্টক, সমিল দ্বিপদীকা, চতুষ্ক


তবু কথা হলো না 
            বিপত্তারণ মিশ্র 

ভালোবাসাকে কি আর লুকোতে পারিস?
ভরা যৌবন যেমন পোশাকে ঢাকেনা, 
ফুল ফুটে সে সুরভি চাপতে পারেনা, 
চোখের আলো কি আর ঢাকতে পারিস?

যতই সুর পাল্টাস, করিস ছলনা, 
ঠিকই জানিস তুই, আমি তোর কথা
শুনতে পেলেই ব্যস, ভুলে যাই ব্যথা --
আমার সামনে দিস কথা-আলপনা!

তুই কতো খুশি হোস আমাকে দেখলে 
আমি জানি খুশি খুশি, মর্মে মর্মে সব,
তুইও জানিস জানি, রূপোলি বাস্তব -- 
তোর হাসি জাগে, হাসি আমার মাখলে।

তুই আমি আজ দূর, ভাবি বার বার,
সেই কথা কোনোদিন বলা হবে আর?

দেখা
তপন কুমার তপু

হৃদয়ের কাছে কাছে শুনি বার বার,
আমিই বা কে বলোনা-আমিই বা কার,
পৃথিবীর কাছে করি প্রশ্নটা আমার।

কি যে কাজ কিবা করি এ জগতে হায়,
কেনই বা জন্ম হলো জগতে আমার,
নিরব নিঃশব্দে কেন প্রাণটা হারায়।

ভেবেছি কত যে আমি একাকী জীবনে ,
শব্দ শূন্য মনিহার পরেছি গলায়,
 বিবেক বলে না আমায় থাকে আনমনে।

কেন যে প্রাণটা আসে কেন চলে যায়,
পৃথিবীর গ্রহ থেকে গ্রহ - গ্রহান্তরে
আমার আমিত্ব নিয়ে কোন বা আশায়।

কিবা পায় -কি বা হারায় একাকি একা,
বলে না কখনও কারো- হবে যে দেখা ,
স্বর্গ নরকে কি কারো হয় বলো দেখ।।
                    
তারাখসা রাতে 
 সুখময় মণ্ডল           
             
কেন একাকিনী কিনি তারাখসা রাতে
 বিষাক্ত বিষণ্ণ বিষ, বিষাদ-পানীয় ! 
 শুকতারা, সূর্যদেব নিত্যদিন প্রাতে
 নিজ নিজ কক্ষ ধরে নিশ্চিত জানিও। 
 অথচ পরম প্রিয় আপনার জন 
 জীবনের দণ্ড পল স্তব্ধ করে দিয়ে 
 ভালোবাসা নামধেয় জীবনের ধন
 সিঁধেল প্রণয়ী আহা, পালিয়েছে নিয়ে।

কক্ষচ্যুত চিরতরে সুহৃদ স্বজন
দূরের নীহারিকায় আলোকবরষ 
পার হয়ে পাড়ি দিল, ভেঙে দিয়ে মন-
কলিজা দলনী আজো রেখেছে পরশ।

দেহটুকু আছে শুধু হয়ে প্রাণহারা
আঁখি অন্ধ, তবু গণি আকাশের তারা।

বেহুলার দেশ
সুমিত বৈদ্য 

এমনি করে কেটে গেল একটি রাত
ধূসর স্বপ্নের মতো; ঠিক কেটেছিল 
বেহুলার যেমন, লৌহ-বাসর ঘরে;
তারপর একরাশ কান্না বুকে নিয়ে
নিভল রাতের আঁধার উষার পরে,
নববধূর সোহাগ লীন হলো নীল
কালনাগিনীর বিষে- সেই থেকে আর
আসেনা স্বপ্নের দল বেহুলার দেশে।

আমার স্বপ্নটা মরেছিল একদিন 
লখিন্দরের মতো তোমার উপেক্ষার
ছোবলে; সেইদিন থেকে ভেসেছি জলে
এক নবজীবনের অপেক্ষায়। তবু'
এই শবদেহ ভালো, যত বেকারের
সব দেহ হতে - বুঝিয়াছি ভালো করে।

প্রতিদিন রৌদ্র ছায়ায়
বারিদ বরন গুপ্ত

প্রতিদিন দিন কাটে রৌদ্র ছায়ায়!
ঘুরে বেড়াই আতঙ্কের জঙ্গলে জঙ্গলে
জীবন ভাসে আশা-নিরাশার কুয়াশায়
পাগল মন চলে আলো-আঁধারির খেয়ালে;
অভিশাপের দিনগুলো তাড়া করে ফেরে
শুধুই ছুটিয়ে মারে সারাদিন
জানিনা শেষ ঠিকানা কোন দোরে?
এলোমেলো ভাবনার নীলিমায় বিলীন।

হাজার প্রশ্ন ভিড় করে ক্ষনে ক্ষনে
বিভ্রন্ত মন উত্তর খুঁজে চলে
সারাদিন প্রতিদিন আপন মনে মনে
জড়িয়ে পড়ি অদৃশ্য মাকড়সার জালে,
ভালোবেসে চলেছে জীবন প্রতিক্ষণে
হারিয়ে ফিরে আবার শূন্যে দোলে।

দুটি মন -প্রাণ   
রবি শঙ্কর মুখোপাধ্যায় 

বেঁধেছি তোমায় বাহুডোরে, একান্ত আপন করে, 
ছাড়ব না আর কোনদিন কোন কিছুতেই ;
যতই বিপদ -শঙ্কা আসুক, রাখব হৃদ মাঝারে; 
কেটেছে কত কাল তোমার অপেক্ষাতেই। 

নিদ্রাহীন কত রাত কেটেছে অবিরত! 
সে কথা আজ বৃথা, পতন হবে ছন্দ, 
তবে তোমার কথাই ভেবেছি নিয়মিত;
ভেবে ভেবে আমার মনটা হল যে মন্দ।

আজ সব ভুল ভেঙে, হয়েছে একাকার, 
বুঝেছি কে যে কার, কত আপনার!
তাই আজ চোখ দুটো করে ছল ছল;

আপনার জনকে নিয়েছি চিনে, আপন ভাবে, 
মনে পড়ে প্রথম দেখেছি তোমায় কবে! 
আজ দুটি মন -প্রাণ বিরামহীন প্রেমে মগন।

প্রকৃত ভালোবাসা
সোনালী বসু

এতো কেন হারাবার ভয় তুমি পাও?
অন্তরের ভালোবাসা যায় নাতো ভোলা
মনেতে যেকথা বলে তাহা শুনে নাও,
মনের  বাঁধন কভু নাহি যাবে খোলা।
দেহ নয় আত্মাটির ঘটিলে মিলন,
দু'জনার দু'টি মন হয় চেনাজানা 
সুখে -দুখে মিলেমিশে থাকে আজীবন।
মনোদামে মন নিতে কভু নেই মানা।

ভালোবেসে মন বোঝা কভু নহে ভুল, 
নিভৃতে নিরব মনে প্রেমোসুর সাধো, 
অন্ধবিশ্বাসেতে কতো হারায় স্ব-কূল!
দুটি প্রাণ একাত্মায় মিলনেতে বাঁধো।
চোখে চোখ রেখে বোঝো হৃদয়ের ভাষা,
মোহহীন ভালোবাসা খাটি ভালোবাসা।

হার জিৎ 
শান্তি রঞ্জন দে 

হেরেই বসে আছি যে জীবনের কাছে 
লাভ ক্ষতির হিসেব কষা তাই মিছে 
তবু মাঝে মাঝে নিজেকে যাচাই করি 
কিছু ভাবনা আমাকে নিয়ে যায় পিছে /
কিছু আশা প্রত্যাশা মনে আশা জাগায় 
সুগন্ধ ছড়ায় ভালোবাসা প্রতি ক্ষণে 
হেরেও সুখের অনুভূতি মিষ্টি লাগে 
বাঁচার ইচ্ছে সহসা দৃঢ় হয় মনে /

ইচ্ছেরা তবু খেলা করে নানান রূপে 
হতাশার মাঝে আমাকে সজীব রাখে 
নিজেকে ভালোবাসতে ইচ্ছে হয় খুব 
অবুঝ হৃদয় সোহাগী আতর মাখে /
 বাঘ বন্দী খেলায় হারতে নই রাজি 
আজ তাই অবশেষে বহুরূপী সাজি।

ঘুড়ি 
ভাস্কর দাস

 যখন দেখি আকাশে ঐ ঘুড়ির মেলা -
 ঘুড়িদের সাথে ওড়ে আমারও মন , 
 স্মৃতির সরণী বেয়ে অতীতের ক্ষণ 
 ডেকে আনে কবেকার সেই ছেলেবেলা। 
 সারা দিন মাঠে-বাটে কত শত খেলা
 - হাডুডু, বুড়ি-বসন্ত আর লুকোচুরি ;
 স্নানের কালে ডুবন জলে হুড়োহুড়ি , 
 ভর দুপুরে লুকিয়ে ঘাটে ছিপ-ফেলা। 

 ফেলে-আসা সেই মাঠ, সেই ছোট্ট নদী, 
 সেই পলাশের বন আর মেঠো পথ ;
 রূপকথায় বোনা সে অলীক জগত 
 আবার পেতাম ফিরে সবকিছু যদি। 
 সুতোর বাঁধন-ছেঁড়া ঘুড়ির মতন
 সবই হারিয়ে গেছে কোথায় কখন!


নীরবতা
প্রশান্ত মন্ডল (শিলিগুড়ি) 

মুক্ত আকাশের নীচে বসে আছি একা
দূর দূরান্তে কেউ তো কাছে পিঠে নেই!
আকাশ উজ্জ্বল করে চাঁদ দেয় দেখা 
এখন রাত্রি গভীর, ঘুম জেগে নেই।

বহুদিন পর দেখি এই রূপ দৃশ্য 
সম্মুখে নদীর পাড় ঘাসফুল সারি
বাম দিকে চলে গেছে ছোটনদী বৈশ‍্য
চারিদিক শূন‍্যতায় মন টানে ভারী।

কত মুখ কত হাত ফিরে ফিরে চাই
প্রকৃতি প্রশান্ত বড়ো, ভুলে ভুলে যাই।

ছোট্ট এই জীবনেতে কতকি দেখেছি
প্রকৃতি মায়ের দান কখনো বুঝিনি 
চুপচাপ টুপটাপ অমৃত চেখেছি
নীরবতা দেয় প্রাণ, আগে তা খুঁজিনি।

The world is a trap
Oladele Mike (Nigeria) 

We've been trapped in this world.
This world of good,bad, sorrow cum happiness.
Nobody exits this world alive though we 
are born into it full of life.
The older we become the better 
we realize how much voidness in this world.
Nothing to hold on to here except 
the casket which houses our cadaver
for eternity.
Even the ground waits patiently to our carcasses when the
die is cast.

দেখা
তপন কুমার তপু

হৃদয়ের কাছে কাছে শুনি বার বার,
আমিই বা কে বলোনা-আমিই বা কার,
পৃথিবীর কাছে করি প্রশ্নটা আমার।

কি যে কাজ কিবা করি এ জগতে হায়,
কেনই বা জন্ম হলো জগতে আমার,
নিরব নিঃশব্দে কেন প্রাণটা হারায়।

ভেবেছি কত যে আমি একাকী জীবনে ,
শব্দ শূন্য মনিহার পরেছি গলায়,
 বিবেক বলে না আমায় থাকে আনমনে।

কেন যে প্রাণটা আসে কেন চলে যায়,
পৃথিবীর গ্রহ থেকে গ্রহ - গ্রহান্তরে
আমার আমিত্ব নিয়ে কোন বা আশায়।

কিবা পায় -কি বা হারায় একাকি একা,
স্বর্গ নরকে কি কারো হয় বলো দেখ।।
                   
তৃষ্ণা
সোমা বিশ্বাস

দমবন্ধ জীবন বিরক্তিকর শ্বাস
ভুলে ভরা ছন্দের কাব্যিক রুটিন
ধূসর কেরাটিন ও কালো নিকোটিন
রামধনু নীলাকাশে আলোর আভাস।
তৃষ্ণার্ত চোখ ও ক্ষুধার্ত ঠোঁট
হাতছানি দেয় সাতরঙা আলোক
কল্পনার দেশ সুখের মুলুক
অপ্রকাশ্য শব্দের ভয়ানক বিস্ফোট।
শান্তির ললিত বাণীর প্রচার
সৎ সঙ্গে স্বর্গ অসতে সর্বনাশ।
দূরদর্শন আপন, নিকটে দূরভাষ।
একঘেয়ে জীবন, চূড়ান্ত হাহাকার।
দুশ্চিন্তায় আচ্ছন্ন জটিল জীবন
পাপে আসক্ত তাই তৃষ্ণার্ত মন।
রচনা : ১ লা ডিসেম্বর ২০২১

ফটোগ্রাফার : সজল মন্ডল

ফটোগ্রাফার : সজল মন্ডল

Comments

  1. অনবদ্য প্রয়াস ۔۔۔নান্দনিক ও প্রশংসানীয় ۔۔۔۔۔প্রতিটি কবিতা সুন্দর ভাবনা রঞ্জিত ۔۔۔۔۔۔
    সম্পাদিকা সোমা বিশ্বাস মহাশয়া কে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই ۔۔۔শান্তি রঞ্জন দে , গড়িয়া , দক্ষিণ ২৪ পরগনা

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

আলোর দিশা সাহিত্য পত্রিকা - জানুয়ারী সংখ্যা ২০২৪

মাটির শহর - সৌভিক দেবনাথ

কবি বিকাশ ভৌমিকের কবিতা