এপ্রিল ব্লগজিন সংখ্যা






আলোর দিশা সাহিত্য পত্রিকা 
 বিশ্ববঙ্গ বাংলা সাহিত্য একাদেমী অনুমোদিত 
Registration number - (BBSA/GM/132/2021) 
আলোর দিশা সাহিত্য পত্রিকার ওয়েব ম্যাগাজিন সংখ্যা 
ব্লগজিন : দ্বিতীয় বর্ষ, চতুর্থ সংখ্যা : এপ্রিল ব্লগজিন সংখ্যা 
প্রচ্ছদ শিল্পী : বিপ্লব সরকার 
আলোর দিশা সাহিত্য পত্রিকার 
প্রকাশ তারিখ -  ৩ এপ্রিল ২০২২
এপ্রিল চতুর্থ সংখ্যা 
প্রতিষ্ঠাতা এবং সম্পাদিকা: সোমা বিশ্বাস 
উপদেষ্টা : সোমনাথ নাগ, তপন কুমার তপু, অরবিন্দ মাজী, অমল ভট্টাচার্য্য, শিবপদ মন্ডল 



সম্পাদকীয় :
আলোর দিশা সাহিত্য পত্রিকার ওয়েব ম্যাগাজিন সংখ্যা প্রকাশিত হলো। সকল কবি ও সাহিত্যিক ও পাঠক-পাঠিকা বন্ধুকে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
                            - সোমা বিশ্বাস 


লেখা পাঠানোর ঠিকানা - aalordishasahityapotrika@gmail.com 
ওয়েবসাইট - aalordishasahityapotrika.blogspot.com

লেখার দায় লেখকের, সম্পাদকের নহে। 



সূচীপত্র :
১)পুড়ছি আমি 
২)যুদ্ধ
৩) কবিতা তুমি এসো ফিরে বারেবারে
৪) সেকাল-একাল 
৫) কুশীলব
৬) ভাল লাগে না  
৭) বৈশাখ
৮) আমার কবিতা 
৯) এক ঝাঁক পায়রা 
১০) কৌমুদি অন্ধিকা 
১১) প্রকৃত পুরুষ 
১২) প্রাক্তন 
১৩) বাবা 
১৪) তবুও আগুন





পুড়ছি আমি
অমল ভট্টাচার্য


ছোট থেকেই পুড়ছি আমি,
সে কষ্ট জানেন অন্তর্যামী।
পুড়ছে কিশোর,পুড়ছে কিশোরী,
কেউ বলে আহা মরি মরি।
পুড়ছে বাসা, পুড়ছে ভালোবাসা,
বলছে কেউ হয়েছে বেশ খাসা।
পুড়ছে পোষাক, কেউ খুলছে পোষাক,
মুখোশ গুলো নিপাত যাক।
কেউ ফেলছে ভাত, কেউ খুঁজছে ভাত,
কেউ দিচ্ছে কেটে বাঁচার হাত।
জ্বলুক চিতা, জ্বলুক শ্মশান,
আমি তুমি হই মহান।


 যুদ্ধ 
তপন কুমার তপু 


যুদ্ধ মানে মানুষের প্রতি মানুষের অবহেলা, 
যুদ্ধ মানে মৃত্যুকে নিয়ে মানুষের  যত খেলা। 

যুদ্ধ মানে দূর্বলের প্রতি 
সবলের অবহেলা, 
যুদ্ধ মানে ধ্বংস যজ্ঞের এজগতে কত লীলা।।

আর কত যে রক্তের স্রোত বহিবে এ ধরায়,
যুদ্ধে কি শুধু অসহায় মানুষের প্রাণের মৃত্যু হয়। 

অবলা  কত যে শিশু ও   কিশোরআর কত শত নারী, 
ইউক্রেনে মরছে মানুষ 
করে কত আহাজারি। 

মানুষ ই মারছে মানুষ যে আজ যুদ্ধ যুদ্ধ করে, 
রক্তের হোলি বইছে কত 
মানুষই যাচ্ছে মরে। 

খেলবে কত রংয়ের খেলা 
এসোনা একটু ভাবি, 
যুদ্ধ বন্ধে মানুষ বাঁচাও 
মানবতার করি দাবী।।

যুদ্ধে কি আর শান্তি মেলে 
শুধু অশান্তির ঢেউ, 
তুমিও মরবে আমি ও মরবো
রাজারা দেখবেনা কেউ।। 



কবিতা তুমি এসো ফিরে বারেবারে 
গৌরী মন্ডল

জীবন ক্যানভাসে যখন কালো মেঘের আনাগোনা....
উষ্ণ তপ্ত মরুরবুকে উঠলো বালুর ঝড়.... 
দমকা হাওয়ার দাপট এসে এক লহমায় উড়িয়ে দিলো! 
 যখন সবকিছু তছনছ,,,,!!
তখনই তুমি এলে হৃদে ;বাড়িয়ে দিয়ে হাত,,,,,,!  
   তোমার স্নিগ্ধ শীতল ছায়ে
পরিচয়হীনা পেলো পরিচয়,,,হলাম আত্মনির্ভর। যখন মৌনমুখ কথার মালা গুমরে মরে কাঁদে! তখনই শব্দের ’’পর শব্দ দিয়ে সাজিয়ে তুলি তোমাকে । 
যখন অক্ষর-শব্দ-ছন্দমালা ভিড় করে আসে,,,
জীবন পাতার সাদা খাতায় তা কবিতা হয়ে ভাসে! 
অব্যক্ত যত মনের বেদন রঙ তুলিতে আঁকি,,,,
ছিন্ন রিক্ত কষ্টগুলো জলছবিতে ঢাকি,,,,!! 
কবিতা, আমি তোমার জন্য দেবো পাড়ি
 শতেক যোজন পথ ,,,,,
শব্দমালায় সাজিয়ে দিয়ে গড়বো স্বর্ণরথ!!
আমার হৃদয় পূর্ণ আজি তোমায় আমি পেয়ে,,,,
বারেবারে এসো ফিরে জীবনের গান গেয়ে,,,,!! 


সেকাল-একাল
বিমান প্রামানিক 

বন্ধু সকল আয় সাথে,
খেলবো বসে এই ঘাসে।
কে এসেছে, কে বসেছে? 
আজকে সে সব হারিয়ে গেছে।
ফিরেছি বাড়ি দিনের শেষে,
মা,বাবা যে ডাকতো এসে।
পুরোনো সেই দিনগুলো সব,
হারিয়ে গেছে সেই শৈশব।
এখনকার আছে শিশু যত
মোবাইল গেমে সর্বদা ব্যস্ত।
বাড়ির কাজে যেই বা ডাকুক
অনিচ্ছাতে ফোটে কথার চাবুক।
আজও দুপুর শেষে বিকেল হয়
খেলার মাঠ যেন নীরব রয়।
পুকুর পাড়ের সবুজ মাঠ
উঠে গেছে আজ খেলার পাট।
ঘরের কোণে বা গলির কোণে
আড্ডা জমে আজ হাতে ফোনে।
কিবা সকাল, কিবা দুপুর রাত,
আদিখ্যেতা! ভাবি এরা কিসের জাত?
       

কুশীলব
সমীর কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়

ফেলে আসা দিন
ফিরে পাওয়া যায়না
সম্পর্কের ঋণ
শোধ দেওয়া যায়না
তবু আসা যাওয়া
কিছু কুড়িয়ে পাওয়া
সেটুকুই সম্বল রেখে যাওয়া
আর সব ছাই হয়ে যাওয়া
খোলামাঠে পঞ্চাঙ্ক নাটক
হাসি খেলি গান গাই মোরা কুশীলব।।


ভাল লাগে না 
 কৌশিক গাঙ্গুলী 
 
বাতাসে পোড়া গন্ধ 
কিংবা মাটিতে রক্তের দাগ 
আমার ভাল লাগেনা । 
কোন অবৈধ টাকার ভাগ নিয়ে ঝামেলার খবরে ভয় লাগে , 
প্রশাসন অথবা অন্ধকার 
সাধারণের পাশে থাকেনা , 
তাই ভিড়ের মিছিলে একা হেটে যাই আর ফিরি , পরণে ছেঁড়া পোশাক আর কাধে ঝোলা । 
চায়ের দোকান আমার শিক্ষালয় , বিড়ি ও চা আমার নিঃসঙ্গতার সাথী , ভালবাসা । 
কোন রাজনৈতিক দলের শেখানো বুলি আওড়াই না । 
কবিতা লিখি , আপনজন খুঁজি 
বিশ্বাস ,আদর্শ ও সততাকে হারিয়ে যেতে দেখলে কান্না পায় , গণতন্ত্রকে ধর্ষিত দেখলে রাগ হয় , শব্দ ছুড়ি জনসমুদ্রে একরাশ যন্ত্রণা নিয়ে ,সবাই বিক্রি হয়না , 
বাতাসে পোড়া গন্ধ 
মাটিতে রক্তের দাগ 
আমার ভাল লাগেনা ।


বৈশাখ
অঞ্জলি দে নন্দী, মম

বৈশাখে
আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু শাখে শাখে।
সঠিক সময়ে এরা সবাইই পাকে।
মৌমাছি লাখে লাখে লাখে
ঝাঁকে ঝাঁকে ঝাঁকে
মধু জমায় মৌচাকে।
সবিতা তাপ ঢালে কেশহীন টাকে।
'ফটিক জল' - পাখি ডাকে।
"ডাব চাই" - ফেরিওয়ালা হাঁকে।
বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় সাত পাকে।
বেল পাকে - ঠোক্কর দেয় কাকে।
মা ছাঁকনিতে লেবু-পুদিনার শরবত ছাঁকে।
বাবার পাতে ঘরে পাতা দই থাকে।
কুকুর হাঁপায় লাল-ঝরা জিভে, জোর-নিঃশ্বাসী নাকে।
আলো চাল বাটায় আঙুলে আল্পনা আঁকে,
ঠাকুমা পূজো করে মুখে শব্দ ছড়ায় শাঁখে।
তার পুজিতা শ্রীলক্ষ্মী মা'র ধন-কলসী শোভিতা কাঁখে।
সে পূজো করে বড় জমক-জাঁকে।
তার পড়া পাঁচালিতে সারা পাড়া ঢাকে।
আমি পূজি আমার গর্ভধারিনী মাকে।


আমার কবিতা 
রবি শঙ্কর মুখোপাধ্যায় 

আমার কবিতা কখনই -
নেতিবাদের কথা বলবে না। 
সংকট যতই আসুক না কেন! 
সে ইতিবাদের গানই গাইবে 
সে দুর্বোধ্য কিম্ভুতকিমাকার
কোন কল্পলোকে পাড়ি দেবে না; 
কোন অবাস্তব গল্প ফাঁদবে না
কোন অলীক স্বপ্ন দেখবে না।

আমার কবিতার ভাষাও 
যথা সম্ভব প্রাঞ্জল, বোধগম্য হবে। 
বাস্তবতার মাটিতে দাঁড়িয়ে -
সে আমৃত্যু সংগ্রাম করবে 
অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, প্রতিরোধ করবে ;
সংকট নিরসন না হওয়া পর্যন্ত।


বারিদ বরন গুপ্তের কবিতা :


এক ঝাঁক পায়রা

বারিদ বরন গুপ্ত

১: রাতের আধারে অপ্সরী আমি

রাতের আধারে অপ্সরী আমি
ভালো লাগে ভালোবাসি
পশুদের দাপাদাপি
শিকার কাড়াকাড়ি!
রাতের আধারে অপ্সরী আমি!

জঙ্গলের রণক্ষেত্রে দেখি
লুকিয়ে রেখেছি চাবিকাঠি
হিংসা থেকে হিংসা
আঘাত থেকে সংঘাত
একটার পর একটা
শতাব্দী আঁতুড়ঘর
 স্বার্থপর সমাজ! তুমি
রাতের আধারে অপ্সরী আমি!

জ্বলে যাচ্ছে সমাজ
জ্বালিয়ে গুমোট হাওয়া
বাতাস কটু গন্ধ মাখে
আকাশ দমবাধা কালো ধোঁয়া!

এইতো বেশ আছি
দিব্যি বেঁচে আছি
আলো আঁধারে মাখামাখি
কটু গন্ধ আর কালো ধোঁয়া
হিংসা লাঠালাঠি গুঁতোগুঁতি
চলুক তোলাবাজি
আর দখলদারি!
রাতের আধারে অপ্সরী আমি!

২: সাদা পায়রার ঠোঁটে

আমার কবিতাগুলো উড়ে যাক
সাদা পায়রার ঠোঁটে !
ঝাকে ঝাকে
দিকে দিকে পৃথিবী জেগে উঠুক
আঁধার পেরিয়ে আমি দেখব !

আমার কবিতাগুলো ভাষা পাক
সাদা পায়রার ঠোঁটে
 জেগে উঠুক পৃথিবী
দিকে দিকে চতুর্দিকে

আমার কবিতাগুলো উড়ে যাক
সেই সমুদ্র পাড়ে
যেথা ক্ষুদার্থ পৃথিবীটা
ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে
বাচাল ইতিহাস খোঁজে!!!

৩: রাক্ষসী পৃথিবীটা ক্ষুধার্ত হায়না

সেই সকাল থেকে
রাক্ষসী পৃথিবীটা ক্ষুধার্ত হায়েনার মতো চেয়ে আছে!
বীভৎস কদাকার
ভয় ভয় হয়
জানিনা কি চায় সে আজ?

আতঙ্কে মরি
আতঙ্কে বাঁচি
আতঙ্কে ছোটাছুটি
প্রাণহীন জীবন যাপন
ভয় ! শুধু ভয় !
বয়ে চলে অস্থির সময়!

৪: আধার পৃথিবীর কোল

আধার পৃথিবীর কোলে
সবাই জেগে আছে,
দেখছে
শুনছে
ভাবছেনা কেউ
সমাজ সংসার আজি
হিংসা বিদ্বেষ খুনোখুনি
অবিশ্বাস আর স্বার্থপরতার ঢেউ !

মাঝে মাঝে মনে হয়
আধার পৃথিবীর কোলে
আধমরা জীবনগুলো
শুধু বেঁচে আছে !
ভুলে গেছে প্রতিবাদ
বাঁচার অধিকার!


কৌমুদি অন্ধিকা
    মাজহারুল ইসলাম

দেখেছো রাতের আকাশের নক্ষত্র,
মিটি মিটি জ্বলছে হয়ে আঁধারের মিত্র।
দেখেছো কি! জ্যোৎস্না রাতে পূর্ণ শশী,
শীতল আলো বিলায় সে আঁধারে নিশি।
রাতের আকাশে দেখেছ কি কভু! উল্কা
ভ্রমণ করিতেছে সে, হয়ে উড়ন্ত বলাকা।
দেখেছো কি চেয়ে! স্নিগ্ধ চন্দ্রের পানে,
মনে হয় চাঁদের বুড়ি ডাকছে আপন উঠানে।
আর অনুভব করেছ কি! সেই মুহুর্ত,
যখন ফুটে জ্যোৎস্নাময় রাতে প্রকৃতির মুহুর্ত।
হালকা সমীর যখন বহে জ্যোৎস্না ঘটা রাতে,
কেমন লাগিবে তোমার প্রিয়জন থাকে যদি সাথে।
শুনেছ কি! নিঝুম রাতে লক্ষ্মী পেঁচার ডাক,
হৃদয় কাঁপিয়ে দেয় হুক্কা হুয়া শিয়ালের হাক।
বন্ধু অনুরোধ তোমার কাছে,
কোনো এক জ্যোৎস্না রাতে বের হয়ো পল্লীর মাঝে।
দেখিবে তুমি রাতের অপরূপ সৌন্দর্য,
প্রকৃতির রূপ লাবণ্য ও মাধুর্য।
কথা দিলাম রহিবে সারা রাত সাথে চন্দ্রিকা,
নিঝুম রাতে মনে পড়িবে আমার কবিতা কৌমুদী অন্ধিকা।


প্রকৃত পুরুষ
মহিমা বাউরী

জানিনা তুমি কেমন করে
আমার বাঁধা চূর্ণ করে।
এক নিমেষে উধাও হলে
একলা সেই যম গৃহে।
তোমায় ছাড়া কেমনে আমি
থাকব একা শূন্য গৃহে।
তোমার সাথে এক আসনে
 বসতাম যখন খেতে।
এখন দেখি নেই-কো তুমি পাশে
তোমায় ছাড়া অন্ধ গৃহে।
করব একা দ্বন্দ্ব 
তোমার আশায় থাকব চেয়ে।
আসবে তুমি বাতাস হয়ে
লাগবে বাতাস আঁখির পাতায়।
রাখব সেদিন আমি তোমায়
আপন হৃদয় খাঁচায়।

প্রাক্তন 
সুন্দর কুমার বাগ


বছর পাঁচেক পরে আবার হল দেখা, তোমার সাথে।।
ঠিক একই রকম ভাবে আছে হাতটা হাতে।।
বদলেছে শুধু পাশের মানুষ খানি।।
বদলায়নি আজ ও তোমার চোখের ভাষা।।
বদলায়নি আজ ও আমার ভালোবাসা।।
তাইতো দূরে আজকে আমি একা।।
তোমার ভালবাসার মানুষ তোমার পাশে।।


বাবা
অপূর্ব কর্মকার


কিছু স্মৃতি বাস্তব জীবনচক্র থেকে হারিয়ে যায় না,
প্রতিটা মুহুর্তে ঘোরাফেরা করে নিজের অগোচরেই।
জানো বাবা, আমিও এখন পুরানো জামাগুলো-
সেলাই করে বছর কাটিয়ে দিতে শিখেগেছি ।
অভ্যাস করেছি ছেঁড়া জুতো তে-
পায়ের পাতায় মাটির ঘ্রাণ নিতে।
চশমাতে ফেবিকুইক লাগিয়ে বিন্দাস 
ভাবে চলছে বছরের পর বছর।
মাঝে মাঝে একবার করে বাতের ব্যাথা টা বাড়ে,
সহ্য করি এই ভেবে, 
পরের বছর পাগলী মা টা মাধ্যমিক দেবে।
জানি না তোমার পরিপূরক হতে পেরেছি কিনা
চেষ্টা করি তোমার শেখানো মন্ত্রে,
নিজ সন্তান কে মানুষের মতো গড়ে তোলার।
তাই আজ আর ঘুম আসে না বাবা,
দায়িত্ব কর্তব্যগুলো ভীড় করে !!!
যখনি খুব ক্লান্ত লাগে ঠিক সেই সময়,
তোমার চিত্রপটে দাঁড়িয়ে থাকি সবার অগোচরেই।



তবুও আগুন
বিপ্লব সরকার

দিগন্তে নীল মেখলা -যেনো স্বপ্নে আঁকা ছবি,
ফুলের বনে উৎসবে আজ আলোয় মাখা সবই;
তবুও কেন জ্বলছে আগুন, বুক পুড়ে যায় তাপে,
ছারখার সব আত্মনিধন কিসের অনুতাপে?

জঙ্গলী আদিম মন, আমায় ডাকছে নির্বাসন,
জাগিয়ে শ্মশান বসে আছি মৃত্যুর খুব কাছে-
কান্না বুকের ভেতর, দহনে তাপিত চরাচর
নিভন্ত কাঠ-কয়লা হৃদয় আগুন হয়ে আছে...

Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

আলোর দিশা সাহিত্য পত্রিকা - জানুয়ারী সংখ্যা ২০২৪

মাটির শহর - সৌভিক দেবনাথ

কবি বিকাশ ভৌমিকের কবিতা