আমার রবীন্দ্রনাথ শ্রীমন্ত সেন আমার রবিকে খুঁজতে খুঁজতে মূর্তিপদতলে দাঁড়াই, প্রতিটি রৈখিক বিভাস বিভঙ্গ বড়ো মনোযোগে হাতড়াই, কোথায় কবীন্দ্র? অনুভবে পাই, নয়ন সমুখে কোথায়? পঁচিশে বৈশাখে বৃথা বেলা যায় স্তুতি বন্দনার বোঝায়। দেবত্বের দ্যুতি শুধুই দু’চোখ ধাঁধায়, অদর্শন তাঁর বড়ই মনেরে কাঁদায়। পরিশেষে তাঁকে আবেগের বশে খুঁজিনেকো আর বাইরে, আমার নিজের মনের গহনে খুঁজি আমি সব ঠাঁই রে। সেখানেই শেষে মানুষের মাপে পেয়ে যাই তাঁর হদিশ, সেখানেই দেখি সুখে বিরাজিত অতি পরিচিত কবীশ। বড় আপনার, বড়ই সহজ সরল, অমৃতে উছল, গরলে তেমনি উতল। বুঝি অনায়াসে ভেসে যান তিনি আমার প্রাণের ধারায়, বসন্ত বাতাসে সদা মনে হয় কী যেন কী মোর হারায়, ‘না বলা বাণীর’ ‘ঘন যামিনীর’ ব্যাকুল তামস বিভাস, তাঁরই ‘ভাবনা তারার মতন’ ছড়ায় আলোক আভাস। ‘জীবনমরণের’ ‘সীমানা’ ছাড়িয়ে সুদূর, হিয়ায় হিয়ায় তিনি সদা দিশা মধুর। একান্ত আমার, একান্ত আপন, তবু তিনি সারা বিশ্বের, মননে মননে ঠাঁই হোক বুকে অনুভবী সব নিঃস্বের।। তাং—০৯-০৫-২০১৮